বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে
বিসিএস প্রস্তুতি নিতে কতদিন লাগে? হ্যালো বন্ধুগণ, বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে সেটা জানার জন্য আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে, এজন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথায় সঠিক সমাধান খুঁজে পাননি। এই আর্টিকেলে আমরা সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছ। আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
এই পোস্টে আমরা বিসিএস ক্যাডার কি এবং কয়টি, বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় এবং আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
বিসিএস প্রতিটা মানুষের কাছে সোনার হরিণের মতো। একে পাওয়ার জন্য মানুষ ব্যাকুল। বিসিএস পারে একজন মানুষকে সম্মান, মর্যাদা ও অর্থ এনে দিতে। কমবেশি প্রতিটি ছাত্র- ছাত্রীর মধ্যে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সুপ্ত স্বপ্ন মনের মধ্যে লুকায়িত থাকে। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম সাধনা।
আর একমাত্র কঠোর পরিশ্রম ও সাধনাই এনে দিতে পারে একজন মানুষকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সাফল্য। বিসিএস এর অর্থ হল বাংলাদেশ সিভিল সার্জন আর এই পরীক্ষায় পাশ করে সরকারি প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে যোগদান করা যায়। তাই একজন বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
একজন বিসিএস ক্যাডার হলে হতে গেলে জানতে হবে বিসিএস ক্যাডার কি এবং কয়টি, বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিসিএস পরীক্ষার বিষয় সমূহ এবং মানবন্টন এবং বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে।
বিসিএস ক্যাডার কি এবং কয়টিঃ
বিসিএস এর পুরো অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। আর বিসিএস পরীক্ষা হচ্ছে এই সিভিল সার্ভিসে ঢোকার জন্য যে পরীক্ষা দেয়া হয় সেটা। সোজা কথায় বিসিএস হল একটি পরীক্ষার নাম। এই পরীক্ষায় পাশ করে সরকারি প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে যোগদান করা যায়।
প্রতিটি দেশে সরকারি চাকরি মোটামুটি দুই ভাগে বিভক্তঃ মিলিটারি আর সিভিল। মিলিটারি বলতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে বুঝায় আর সিভিল বলতে প্রশাসন, পুলিশ, ট্যাক্স, পররাষ্ট্র, কাস্টমস, অডিট, শিক্ষা ইত্যাদিকে বোঝায়। ক্যাডার মানে কোন গুন্ডা মাস্তান নয়।
বরং ক্যাডার হল সুনির্দিষ্ট কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একটি দল। সরকারি চাকুরীর সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে নিয়োগ প্রাপ্তদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়, তাই এদের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার বা বিসিএস ক্যাডার বলা হয়।
বাংলাদেশ সে বাংলাদেশ বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে ১৪ টি সাধারণ ও ১২ টি কি পেশাগত/কারিগরি, সর্বমোট ২৬ টি ক্যাডার রয়েছে।
১৪ টি সাধারণ ক্যাডার
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন
- বাংলাদেশ সেল সার্ভিস আনসার
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিরীক্ষা ও হিসাব
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সমবায়
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস শুল্ক ও আবগারি
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরিবার পরিকল্পনা
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস খাদ্য
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পররা রাষ্ট্র
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথ্য
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পুলিশ
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ডাক
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কর
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বাণিজ্য
- ১২টি প্রফেশনাল ক্যাডার
- বিসিএস সড়ক ও জনপথ
- বিসিএস গণপূর্ত
- বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল
- বিসিএস বন
- বিসিএস স্বাস্থ্য
- বিসিএস রেলওয়ে প্রকৌশল
- বিসিএস পশু সম্পদ
- বিসিএস মৎস্য
- বিসিএস পরিসংখ্যান, গবেষণা কর্মকর্তা
- বিসিএস কারিগরি শিক্ষা
- বিসিএস কৃষি
- বিসিএস সাধারণ শিক্ষা
বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
সাধারণত বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা অনেকটা শিথিল। বড় ধরনের শারীরিক কোন সমস্যা না থাকলে যে কেউ বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারে এতে কোন সমস্যা নেই। মূলত চার ধরনের যোগ্যতা বিবেচনা করা হয় বিসিএস প্রার্থীদের জন্য।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
বয়স সীমা
নাগরিকত্ব
শারীরিক যোগ্যতা
এই চারটি দিক বিবেচনা করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য কিনা। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর চার বছরের অনার্স পাস হলে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করা যায়। অর্থাৎ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। স্নাতক ছাড়া এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায় না।
এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত সবগুলো পরীক্ষার যেকোনো দুটিতে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমান এবং১ টি তৃতীয় শ্রেণি বা সমমান এর নিচে পেলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে না।
তবে কেউ যদি তিন বছরের অনার্স বা পাস কোর্সে পড়ে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই স্নাতকোত্তর বা মাস্টার্স পাস করতে হবে। তারপরে তিনি বিসিএস এ আবেদন করতে পারবেন।
জিপিএ থেকে শ্রেণী বের করার পদ্ধতিঃ
SSC এবং HSC এর ক্ষেত্রেঃ
৩ বা তদুর্ধ্ব প্রথম শ্রেণি
২ থেকে ৩ এর কম দ্বিতীয় শ্রেণী
১ থেকে ২ এর কম তৃতীয় শ্রেণী
অনার্সের ক্ষেত্রেঃ
৩ বা তদুর্ধ্ব প্রথম শ্রেণী
১.৬৫ থেকে২.২৫ এর কম তৃতীয় শ্রেণী
বয়সসীমাঃ
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা যাচাই করার জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার দেওয়ার মাসের প্রথম তারিখে বিসিএসে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২১-৩০ বছরের মধ্যে।
অর্থাৎ পিএসসি যে মাসে এই পরীক্ষার সার্কুলার জারি করবে সেই মাসের ১ তারিখে ২১-৩০ মধ্যে বয়স থাকলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তবে কিছু ক্ষেত্রে বয়স সীমা শিথিল যোগ্য-
মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েদের, প্রতিবন্ধীদের বা স্বাস্থ্য ক্যাডারে আবেদনকারীদের বয়সসীমা সাধারণের চেয়ে ২ বছর বেশি। ৩২ বছর পর্যন্ত এই প্রার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আবার সাধারন শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রজাতিদের ২ বছর বয়সসীমা বেশি দেওয়া আছে। অর্থাৎ ৩২ বছর পর্যন্ত তাদের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে।
নাগরিকত্বঃ
বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তি বিসিএস পরীক্ষার অংশ নিতে পারবে না। এমনকি সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করলে বা বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা করলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
শারীরিক যোগ্যতাঃ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। মেডিকেল টেস্টে পাস না করলে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায় না।
প্রার্থীর মেডিকেল টেস্টে সাধারণত উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি যাচাই করা হয় এবং মূত্র পরীক্ষা করা হয়। একজন পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ ফুট উচ্চতা এবং ৪৯.৯৯ কেজি ওজন গ্রহণযোগ্য। অপরদিকে মহিলা প্রাথীদের জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং ওজন ৪৩.৫৪ কেজি।
তবে পুলিশ ও আনসার ক্যাডারের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা ও ওজন যথাক্রমে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও ৫৪.৫৪ কেজি বাধ্যতামূলক। একই ক্ষেত্রে মহিলা প্রার্থীর সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ওজন কম হলেও বাড়ানোর সুযোগ দেয়া হয়।
চোখে কোন সমস্যা থাকলেও আপনি নিতে যায় চশমা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে চশমা ব্যবহারের পরেও যদি সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে এটি আপনার বিসিএসে অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। অনেকেই কালার ব্লাইন্ড হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও আপনি বিসিএস এর যোগ্য হবেন। তবে সেক্ষেত্রে এই তথ্য আপনার রিপোর্টে লেখা থাকতে হবে।
সবশেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোন প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হলে তা প্রার্থীকে এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে জানানো হয়।
বিসিএস পরীক্ষা বিষয় সমূহ ও মান বন্টনঃ
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস (মানবন্টন সহ) প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) । আবশ্যিক ও সংশ্লেষ প্রদ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার এই সিলেবাস পাওয়া যাবে পিএসসির ওয়েবসাইটে (https://bpsc.gov.bd) । নিম্নে বিসিএস পরীক্ষার বিষয় সমূহ ও মানবন্টন দেওয়া হলো-
সিলেবাস অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যিক বিষয়ের মোট নম্বর ৯০০। এর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র (১০০), বাংলা দ্বিতীয় পত্র (১০০), ইংরেজি (২০০), বাংলাদেশ বিষয়াবলী (২০০),আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (১০০), গাণিতিক যুক্তি( ৫০), মানুষের দক্ষতা( 50), মানসিক দক্ষতা (৫০), সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (১০০) নম্বর।
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়ঃ
২১ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন ব্যক্তি যতবার সার্কুলার পাবে, ততবার এই পরীক্ষা দিতে পারবে। অর্থাৎ, আপনার বয়স ২১ হওয়ার পর যে সার্কুলার প্রকাশিত হবে, সেই সার্কুলারেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অনুরূপ, ৩০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর যদি কোন সার্কুলার প্রকাশিত হয়, আপনি সেখানে আবেদন করতে পারবেন না।
আরো সহজ ভাবে বললে, পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করার পর আবেদনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি আপনার বয়স ২১ না হয়, তবে আপনি আবেদন করতে পারবেন না।
যদি শেষ দিনে ২১ বছর পূর্ণ হয়ে যায়, তবে আবেদন করতে পারবেন। আবার অনুরূপভাবে,আবেদন করার আগে যদি আপনার বয়স ৩০ পেরিয়ে যায় তবুও আপনি আবেদন করতে পারবেন না।
ঠিক ২১ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার পাবেন, ততবার আবেদন করতে পারবেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হওয়ার পরেই আপনি বিসিএস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গ্রাজুয়েশন যদি ২৫ বছর বয়সে শেষ হয় তবে ২৫ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার সার্কুলার পাবেন ততবার আবেদন করতে পারবেন
আমরা জানি ২১ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায় তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ৩২ বছর বয়স পর্যন্তও বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। যেমন- বিসিএস (স্বাস্থ্য ক্যাডার, প্রতিবন্ধী কোটা, উপজাতি কোটা মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত করা হয়েছে।
এসব কোটা থাকলে ২১ বছর বয়স থেকে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে, ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন।
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পরপর হয়ঃ
পরীক্ষা হল বিসিএস পরীক্ষা হলো সারা দেশব্যাপী একটি সারাদেশব্যাপী পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা যা PSC-Public Service Commission কর্তৃক পরিচালিত। বিসিএস পরীক্ষার মূলত তিনটি ধাপে হয়ে থাকে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইবা এ তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনি বিসিএস ক্যাডার বলে গণ্য হবেন।
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় আমরা জানি, বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর। ৬০ বছর বয়স হলে অবসান নিতে হয়। এতে প্রতিবছর শূন্য কোটা হয়। এই শুন্য কোটা পূরণ করার জন্য প্রতিবছর বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিসিএস ক্যাডার কত গ্রেড এবং বিসিএস ক্যাডার বেতনঃ
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বিসিএস ক্যাডারদের বেতন হয় নবম গ্রেডে। এবিসিএস ক্যাডারের মূল বেতন বা বেসিক ২২,০০০-৫৩০৬০/- হয়ে থাকে। যা মূল বেতনের সাথে অন্যান্য ভাতা সহ প্রায় দ্বিগুণ বেতন পেয়ে থাকেন মূল বেতনের তুলনায়।
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের সময় বেতন ২২০০০ হয়ে থাকে যা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ৫৩০৬০ টাকা হয়ে থাকে। বিসিএস ক্যাডারের বেতন এবং অন্যান্য ভাতা সমূহ নিজে তুলে ধরা হলো-
মূল বেতনঃ ২২,০০০ টাকা(তবে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার পদের প্রার্থীগণ যোগদান কালেই দুইটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন।
বাড়ি ভাড়া ভাতাঃ৮৮০০/- জেলা শহরে নিয়োগ পেলে বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫০% পাবেন।
চিকিৎসা ভাতাঃ সকল কর্মচারী মাসিক ১৫ হাজার টাকা পাবেন।
বাংলার নববর্ষ ভাতাঃ মূল বেতনের ২০% পাবেন।
ভ্রমণ ভাতাঃ কোন কারনে চাকুরীর স্থান পরিবর্তন করলে কিংবা বদলি হলে বদলিজনিত ভাতা বা ভ্রমণ ভাতা পাবেন প্রতি ১০০ কেজি মালামালের জন্য দুই টাকা কিলোমিটারে হারে পাবেন।
উৎসব ভাতাঃ মুসলমানগন দুই ঈদে মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা পাবেন এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীগণ তাদের যে কোন একটি উৎসবে দুইটি ভাতা একসাথে তুলতে পারবেন।
শিক্ষা সহায়ক ভাতাঃ দুই সন্তানের জন(৫০০* ২) ১০০০ টাকা হারে সন্তানের বয়স ২১ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত পাবেন।
টিফিন ভাতাঃ২০০ টাকা হারে (মাসিক)
কার্যভার ভাতাঃ ১৫০০ টাকা (মাসিক)
যাতায়াত ভাড়াঃ৩০০টাকা (মাসিক)
পাহাড়ি ভাতাঃ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি প্রভৃতি পার্বত্য জেলা সমূহ সমূহে পোস্টিং হলে মূল বেতনে ২০% হারে অতিরিক্ত ভাতা পাবেন।
এছাড়াও সময়ে সময়ে ট্রেনিং, বিদেশ সফরসহ বিশেষ ক্ষেত্র সমূহে অন্যান্য ভাতা সমূহ বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ
বাংলাদেশের উচ্চ মানের সরকারি চাকরি পাওয়ার মূল মন্ত্র হচ্ছে বিসিএস। এই বিসিএস এ একজন মানুষকে বাংলাদেশের উচ্চ মানের সরকারি চাকরির পাশাপাশি এনে দিতে পারে অর্থ সম্মান মর্যাদা ইত্যাদি। তাই উচ্চমানের সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিসিএস এর কোন বিকল্প নেই।
আর শুধু মুখে বললেই হবে না বিসিএস পাওয়ার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, অনুশীলন আর সাধনা। তাই আর্টিকেলে আমরা বিসিএস ক্যাডার হতে হলে কি করতে হবে, বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য আরো পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধু - বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url