পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়
পায়ের যত্নে পিয়াজের ব্যবহার প্রিয় পাঠক পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও এর সঠিক সমাধান খুঁজে পাননি। এই আর্টিকেলে আমরা শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি যদি আপনি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
ভূমিকাঃ
মানুষের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে পা। শীতকালে পা ফাটা সমস্যা কম বেশি সবারই লক্ষ্য করা যায় বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার শীতকালে পা ফাটে। পায়ের মধ্যে তেল গ্রন্থি না থাকায় পা ফাটে। পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে নিয়মিত রাতে শোয়ার সময় পায়ে ভেসলিন ব্যবহার করত হবে
এতে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় হিসেবে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, খুব বেশি হাঁটাহাঁটি করা যাবে না, পায়ে ব্যথা পাওয়া যায় এমন জুতা ব্যবহার করা যাবে না, পা ঢাকা ঢাকা জুতার ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার পেডিকিউর করতে হবে এবং পায়ে মশ্চারাইজার ইউজ করতে হবে তাহলে পা ফাটা দূর করা সম্ভব হবে।
শরীরে ত্বকের যত্নের সাথে সাথে পায়ের আলাদা হবে যত্ন নিতে হবে তাহলেই পা ফাটা দূর করা সম্ভব। এ আর্টিকেলে পা ফাটা সম্পর্কে যে পয়েন্টগুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি সেগুলো নিয়মিত মেনে চললে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
শীতকালে পায়ের গোড়ালি বেশি শুষ্কশুষ্ক হয়ে যায় এজন্য পা ফেটে যায় এবং পায়ে ব্যথা হয় এবং পা ফাটার কারণে পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য মুখের ত্বকের মতো পায়ের বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। তাই পা ফাটা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় আছে। সেগুলো হলো-
গ্লিসারিন ও গোলাপজলঃ গোলাপজল জলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।
মধু ও পানিঃএক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে পা ফাটা দূর হবে এবং পা মসৃণ হবে।
ভেসলিন ও লেবুর রসঃ ভেসলিনের সাথে কয়েক ফোটা লেবু রোজ মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। মালিশের ফলে ভেসলিন ও লেবুর রসের মিশ্রণ শোষণ করে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল পা ফাটা সারাতে ভালো কাজ করে। তাই পায়ে নিয়মিত নারিকেল তেল মেসেজ করুন এতে পায়ের ত্বক নরম থাকবে এবং পা ফাটা দূর হবে।
লেবুর রস, লবণ ও শ্যাম্পুঃ হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস লবন শ্যাম্পু মিশাতে হবে এবং এর মধ্যে পা ডুবিয়ে 20 মিনিট রাখতে হবে।২০ মিনিট পর গরম পানি থেকে পা তুলে পিউমিক স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালি পায়ের পাতা ঘষে মৃত কোষ তুলে ফেলতে হবে। এতে করে পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার হবে, নরম হবে এবং পা ফাটা কমে যাবে।
মোমবাতি ও সরিষার তেলঃ মোমবাতির মোমের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিলে পা ফাটা সেরে যাবে।
শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়ঃ
শীতকালে পা ফাটা একটি সাধারণ বিষয়। পা ফাটা সমস্যা যেমন বেদনাদায়ক; তেমনি বিরক্ত কর। নারী পুরুষ উভয়ই পা ফাটায় সমস্যায় ভোগেন। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। অনেকের পা ফেটে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার মত উপক্রম হয় । ফলে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেনা।
মানুষের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় পা অত্যন্ত সংবেদনশীল। শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় একটু চাপ পড়লে পা ফেটে যায় এবং দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকার কারণে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। এজন্য শীতকালে মুখের ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পায়েরও বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। শীতকালে পা ফাটা দূর করার উপায় গুলো দেওয়া হল-
- পিঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে পায়ের গোড়ালির ফাটা স্থানে ব্যবহার করুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট মেসেজ করে পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহ এ মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে এভাবে ব্যবহার করুন দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ করবে হাঁটা তো দূর হবেই ,সঙ্গে দাগও মিলিয়ে যাবে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালিতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সরিষার তেল ,অলিভ অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ভাল করে মেসেজ করুন এবং পায়ে মোজা পড়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে পানি দিয়ে পা দুটো ভালো করে ধুয়ে নিন তাহলে দেখতে পাবেন পা ফাটা অনেকটাই কমে গেছে।
- শীতে পা ফাটা দূর করার জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল সামান্য কুসুম গরম করে নিয়ে ভালোভাবে পায়ে মালিশ করুন এভাবে নিয়মিত পায়ে তেল মালিশ করলে পা ভালো থাকবে এবং পা ফাটা সমস্যা দূর হবে।
- পা ফাটা দূর করার জন্য পায়ে অবশ্যই স্ক্রাবিং করতে হবে। এজন্য একটি বাটিতে সামান্য কুসুম গরম পানি নিতে হবে এবং এর মধ্যে কিছু কোন পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। পায়ের ত্বক নরম হতে শুরু করলে সুতি কাপড়ে সামান্য পরিমাণ চিনি নিয়ে পা ঘষতে হবে। এতে করে পায়ের ময়লা পরিষ্কার হবে এবং মৃত চামড়া দূর হবে।
- স্ক্রাবিং শেষ করার পর পায়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ইউজ করত হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার ফলে পা কোমল এবং নরম হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার ফলে হাঁটাচলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে ময়েশ্চারাইজার বেশিক্ষণ পায়ে স্থায়ী থাকে না।
- যদি একান্তই হাঁটাচলা করতে হয় তাহলে পায়ে অবশ্যই মোজা পড়তে হবে। এজন্য ময়েশ্চারাইজার রাতে ব্যবহার করাই ভালো। এতে পা থাকবে সুন্দর এবং পা ফাটা দূর হবে
গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়
শীতে পা ফাটার সমস্যার স্বাভাবিক। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে গরমের পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়। ত্বকের আর্দ্রতার অভাবে গরমেও পা ফাটা সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের পা ফাটা সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
জন্য পা ভালো রাখার জন্য সারা বছরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরী। শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় এক রকম আর গরমে পা ফাটা দূর করার উপায় একটু আলাদা। গরমে পা ফাটা দূর করার উপায় গুলো হলো-
অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ উপাদান। রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে পা ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে এবং অ্যালোভেরা জেল লাগাতে হবে লাগিয়ে নিতে হবে। এটি পায়ের দ্রুত কাজ করবে এবং পায়ের ফাটা দূর হবে।
কলার মাস্কঃ পা ফাটা দূর করতে কলার মাস্ক বেশ উপকারী। একটি পাকা কলা মেস করে ফাটা গোড়ালিতে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট লাগিয়ে লাগিয়ে রাখার পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ভালো কাজ হবে।
মাউথ ওয়াশঃ প্রথমত শুনতে একটু অবাক মনে হলেও মাউথওয়াশ পায়ের যত্নে খুবই কার্যকর। মাউথ ওয়াশ খুবই ভালো ব্যাকটেরিয়া দূর করে। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো। এক বালতি পানিতে মাছ দিয়ে ১৫ মিনিট পা ঢুকিয়ে রাখুন। এতে খুব ভালো কাজ হয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এ কাজ করতে পারেন। এর ফলে পায়ের ফাটা দূর হয়ে যাবে এবং পা সুন্দর থাকবে।
মধুঃ মধুর মধ্যে বেশ কিছু এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। তাছাড়া মধু তো নরম উজ্জ্বল ও পরিষ্কার। তাই পা পরিষ্কার করে মধু লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।এতে ভালো উপকার পাবেন।
সিয়া বাটারঃ সিয়া বাটার এর মধ্যে ময়েশ্চারাইজার উপাদান থাকে, যা ত্বকের জন্য খুব ভালো। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। দেখবেন কিছুদিন ব্যাপারে পা ফাটা সেরে গেছে।
জলপাই তেলঃ প্রতিদিন এই তেল দিয়ে পা মালিশ করলে পা ফাটার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায় এবং সাথে পা করবে উজ্জ্বল এবং কোমল।
পেঁপেঃ গ্রীষ্মকালে পা ফাটা দূর করতে পেঁপের কোন বিকল্প নেই। এটিকে থেতো করে পা ফাটার মধ্যে লাগিয়ে দিন এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন,এতে ভালো কাজ হবে।
পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়ঃ
শীতে পা ফাটা সমস্যা নতুন কিছু নয়। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হাত ও পা ফেটে যায়। শীতে এভাবে চুলের মুখের মুখের যত্ন নেন, তার চেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে পায়ের কারণ পা বেশিরভাগ সময় ধুলোবালি সংস্পর্শে থাকে। যেভাবে বাবাটা থেকে মুক্তি পাবো-
- শীতের পা ফাটা সমস্যা খুব ভোগায়। শীতকালে বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পায়ে মোজা ব্যবহার করতে হবে এবং পা ঢাকা জুতা পড়তে হবে। বিশেষ করে গোড়ালি ঢাকা জুতা ব্যবহার করতে হবে।
- প্রতিদিন কাজকর্ম শেষে বাড়িতে ফিরে অন্তত শ্যাম্পু মিশ্রিত উষ্ণ গরম পানিতে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন এবং ভালো করে ঝামা পাথর দিয়ে ঘষে নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে চটি পরে নিন।
সারাবছর পা ফাটাঃ
শুধু শীতকাল বা গ্রীষ্মকাল নয় অনেকেরই সারা বছরের পা ফাটে। এর কারণ হলো পায়ের গোড়ালির ত্বকের শুষ্কতা। অনেক বেশি হাঁটাচলা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা এবং ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি কারণে সারা বছর সারা বছর পা ফাটতে পারে। পা ফাটা দূর করতে কিছু কিছু ছোট বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি।
- পা ফাটা দূর করতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি বা পানি জাতীয় খাবার কম খেলে ত্বকের সুস্থতা,ঠোট ফাটা এবং পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
- প্রতিদিন গোসলের সময় পায়ের গোড়ালি, নখ এবং আঙ্গুলের ডগা পরিষ্কার করুন। কারণ মোরা কোষ জমে জমে পুরু স্থর তৈরি হয়। যার কারণে গোড়ালি শক্ত হয়ে যায় এবং পা ফাটে।
- যাদের সব সময় পা ফাটে তারা কখনোই পা শুষ্ক রাখবেন না। প্রতিবার ভেজানোর পর ভালোভাবে মুছে পায়ের গোড়ালি ও তালুতে জয়তুনের তেল ব্যবহার করতে হবে। এতে পায়ের ফাটা দূর হবে।
পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবেঃ
বর্তমানে পা ফাটা সমস্যা জোরালোভাবে দেখা দিয়েছে । সময়ে অসময়ে মানুষের পা ফাটছে। এর পিছনে যেমন আবহাওয়ার প্রভাব রয়েছে তেমনি কিছু শারীরিক, বংশগত বা ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি কারনও রয়েছে। শীতকালে পা ফাটার জন্য যেগুলো ভিটামিন দেয় সেগুলো হলো-
ভিটামিন বি ৩ঃ ভিটামিন বি.৩ এর অভাবে ত্বক শুষ্ক রুক্ষ হয়ে যায়। রোদে গেলে শরীর লাল হয়ে যায়। তাছাড়া পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় এই ভিটামিন বি ৩ কে।
ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি একটি ক্ষণস্থায়ী ভিটামিন। প্রতিদিন আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন পড়ে ।প্রয়োজন শেষে বাকি ভিটামিন টুকু নিজে নিজে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ভিটামিন সি শরীরে জমা থাকে না। আর এই ভিটামিন সি এর অভাবে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।
ভিটামিন ইঃ শরীর ভালো রাখতে ভিটামিন ই এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন সি ত্বকের শুষ্কতা ও পা ফাটার হাত থেকে রক্ষা করে।
পা ফাটা দূর করার ক্রিমের নামঃ
পা ফাটা সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা দূর করার জন্য বাংলাদেশের বেশ কিছু ক্রিম পাওয়া যায়। পা ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য এই ক্রিমগুলো বেশ কার্যকর এবং উপকারী। ক্রিমগুলো হল-
হিমালয়া ওয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিমঃ হিমালয়া ক্রিম সম্পর্কে নতুন কিছু আর বলার নেই। ফুট ক্রিম হিসাবে এবং পায়ের গোড়ালি ফাটার যত্ন নিতে এই ক্রিম খুবই কার্যকর এবং জনপ্রিয়। এটি ব্যবহারে পায়ের গোড়ালি নরম ও মসৃণ হবে।
আপনাকে পায়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিবে মাত্র তিন দিনে। রাতে শোয়ার সময় পা ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে ক্রিম পায়ের মধ্যে মেসেজ করতে হবে । এতে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা পুরোপুরি চলে যাবে।
দাম ১১০৳
ভাদি হার্বালস ফুট ক্রিম ক্লোভ অ্যান্ড স্যান্ডাল অয়েলঃ কোকোয়া বাটার লবঙ্গ ও চন্দন সমৃদ্ধ এই হারবাল ফুট ক্রিম আপনার ফাটা পায়ের গোড়ালের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি আপনার গোড়ালিকে ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে এবং রুক্ষফাটা গোড়ালি কে মোলায়েম করে তুলবে ৩-৪ দিনের মধ্যে।
দাম ১২১৳
পাতাঞ্জলি ক্রাক হিলক্রিমঃ এই ফুড ক্রিম মেডিকেটেড এবং ক্লিনিক্যালি প্রুভেন। এটি আপনার গোড়ালি , স্মুত করে তুলবে এবং এবং পরবর্তীতে গোড়ালি ফাটা থেকেও রক্ষা করবে। অ্যামাজনে এই ফুট ক্রিম আপনি পেয়ে যাবেন খুব সহজে।
রাতে শোয়ার সময় পা পরিষ্কার করে এই ক্রিম পায়ের গোড়ালি ও পায়ের তলায় ভালোভাবে মেসেজ করে নিতে হবে। তাহলে ভালো কাজ করবে। শীতে প্রতিদিন এই ক্রিম ব্যবহার করত হবে।
দাম ৬০৳
শেষ কথাঃ
পা ফাটা মুক্তির উপায় হিসেবে অনেকগুলো পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে। পা ফাটা কম বেশি সবারই রয়েছে তাই এগুলো নিয়ে চিন্তিত না হয়ে নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে পা পরিষ্কার রাখতে হবে বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
বাজারে পাফাটা অনেক ক্রিম আছে সেগুলো ব্যবহার কর করা যেতে পারে । কিছু ঘরোয়া উপায় আছে সেগুলো মেনে চললে পা ফাটা দূর করা যায় এবং তাকে সুন্দর ও মোলায়েম করা যায়। তাছাড়া এই আর্টিকেলে আমরা শীতকালে পা ফাটা দূর করার উপায় হিসেবে অনেকগুলো পয়েন্ট তুলে ধরেছি।
আশা করি সেগুলো মেনে চললে আপনাদের আর পা ফাটার কোন সমস্যা থাকবে না। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া- প্রতিবেশীদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url