তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় প্রিয় বন্ধুরা তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ নিয়ে আপনারা খুবই চিন্তিত এবং ঠিকমতো কথা এর সমাধান খুঁজ পাননি। এই আর্টিকেলে আমরা আপনার এ সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি । আর্টিকেলটি যদি আপনি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
নিচে এই পোস্টে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়, মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম ইত্যাদি অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ভূমিকাঃ
মুখের ত্বকে ব্রনের সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। বেশিরভাগ কিশোর- কিশোরীরাই এই সমস্যায় ভোগেন। যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে তারাই বোঝে এই সমস্যার কি জ্বালা। কিন্তু অয়েলি স্ক্রিনে এই সমস্যা ভয়ংকর আকার ধারণ করে। অয়েলি স্কিনের লোকজন রাস্তায় বের হলেই রাস্তার ধুলাবালি ত্বকের মধ্যে জমে এই সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে।
তাই এদেরকে একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। তাই তৈলাক্ত তোকে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে কিছু পদ্ধতি আছে যেমন-মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে হবে, বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, ভালো কোন ক্লিনজার দিয়ে স্ক্রিন পরিষ্কার করতে হবে, ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলে তৈলাক্ত তোকে ব্রণ দূর করা সম্ভব হবে।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
ত্বকে সুন্দর রাখতে সব ঋতুতে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। একেক ত্বকের যত্ন একেক রকম।বিশেষ করে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত। যতই সুন্দর করে মেকআপ করা হোক না কেন কিছুক্ষণ পরেই আবার সেই তেল চিটচিটে মুখ। তৈলাক্ততার কারণে বাইরে বের হলেই রাস্তার ধুলা-ময়লা তৈলাক্ত ত্বকে আটকে গিয়ে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা।
এর জন্য ত্বকে দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বাইরের কেমিক্যাল সমৃদ্ধ প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো বেশি কার্যকর। মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় এর কোন তুলনা হয় না। তাই তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দেওয়া হল-
মুলতানি মাটির মাস্কঃ মুলতানি মাটির মাস্ক ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি ও গোলাপজল নিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।এরপর পেস্টি ভাল করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে খুব দ্রুত তৈলাক্ত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কমলার ফেসপ্যাক: মুখের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে কমলালেবুর খোসার জুড়ি নেই। ২ চামচ কমলা লেবুর খোসার গুড়া,৪চামচ দুধ, ১ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করার পাশাপাশি ত্বককে করে তুলবে গ্লোয়িং। এই প্যাক সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন।
বেসন, হলুদ ও টকদইয়ের ফেস প্যাকঃ এক চামচ বেসনের সঙ্গে অল্প পরিমাণ হলুদের গুঁড়া ও টক দই একত্রে মিশিয়ে তা কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে এতে মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
শসা ও কনফ্লাওয়ারের ফেসপ্যাকঃ শসার রসের সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি মুখে ও গলা ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
জোজোবা তেল মাস্কঃ জোজোবা তেল দিয়ে তৈরি মাস্ক সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার প্রয়োগ করলে ত্বকের হালকা ব্রণগুলো কমে আসে। তবে এটি বেশি ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। বাজারে এখন বাহারি মোড়কে ব্রণের দাগ সরানোর ক্রিম, সিরাম, ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। তবে এসব প্রসাধানিতে থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়ঃ আমাদের ত্বকে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে।সিবাম হচ্ছে এক ধরনের চর্বি দিয়ে তৈরি একটি তৈলাক্ত পদার্থ যার কাজ ত্বককে রক্ষা এবং ময়েশ্চারাইজার করা। তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন করা জটিল।
স্বাভাবিক ত্বকের তুলনায় তৈলাক্ত ত্বকে যেকোনো ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধুলাবালি ও ময়লা জমে থাকে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো হলো-
নিমের পেস্ট ব্যবহার: নিম পাতা নানা ধরনের সংক্রমণ রোধে কাজ করে। নিম পাতার পেস্ট ব্রনের উপর লাগালে অনেক উপকার মিলবে। আবার চাইলে এর সাথে অ্যালোভেরাও যোগ করতে পারেন। প্রথমে অ্যানিভারের সাথে নিম পাতা ভালো করে যোগ করে নিন এরপর সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে নিন।
তুলসী পাতার ব্যবহারঃ তুলসী পাতা কেবল শরীর সুস্থ রাখতেই কাজ করে না ত্বক ভালো রাখতেও কাজ করে। ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেনি পাতা। কিছু তুলসী পাতা বেটে নিয়ে এরমধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ বড় ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
চন্দন ব্যবহারঃ চন্দনের রয়েছে অনেক গুণ। তো ভালো রাখতে এটি বিশেষভাবে কার্যকরী। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে চন্দন ব্যবহার করতে পারেন। চন্দনের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা রং দূর করতে সাহায্য করবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়ঃ
ব্রণ এবং ব্রণের দাগ এমন একটি সমস্যা অধিকাংশ নারী-পুরুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে কিশোর- কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া ত্বক থেকে ব্রণ গেলও ব্রণের দাগ সহজে যেতে চায় না। এতে মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই কমে যায়।
তাই তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায় প্রয়োগের পাশাপাশি কিভাবে তৈলাক্ত ত্বকের ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করা যায় সে সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো-
- অ্যালোভেরা জেলঃঅ্যালোভেরা জেল দিয়ে দিয়েও ব্রণের জেদি দাগ দূর করা যায়। এজন্য সকালে ও রাতে মুখে জেল লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। ধীরে ধীরে দাগ চলে যাবে।
- তুলসী পাতাঃ আয়ুর্বেদিক সমৃদ্ধ তুলসীর পাতা ত্বকের যত্নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। ব্রণের দাগ দূর করতে তুলসী পাতা অনেক উপকারী। নিয়মিত এই পাতার রস ব্যবহারের ব্রণের দাগ দ্রুত চলে যাবে।
- লেবুর রসঃ লেবুর রসের প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য ব্রণের কালো দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে লেবুর রস ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে।
- মধুঃ মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি দাগ নিরাময়ে সাহায্য করে। দাগ গুলিতে অল্প পরিমা প্রয়োগ করুন এবং ধুয়ে ফেলার আগে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল মশ্চারাইজার করতে পারে। অল্প পরিমাণ নারিকেল তেল ত্বকে লাগান এবং ভালোভাবে মেসেজ করুন। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের দাগ আস্তে আস্তে হালকা হয়ে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিমঃ
ত্বকে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কারো কাছে কাম্য নয়। তাই ব্রনের দাগ সরানোর জন্য বাজারে বেশ কিছু ক্রিম পাওয়া যায় নিজে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
নিভিয়া হোয়াইট্রেনিং অয়েল কন্ট্রোল ময়েশ্চারাইজার ফর ম্যানঃ যেসব ছেলেদের ত্বক খুব তৈলাক্ত তাদের ত্বকের মূল সমস্যা হলো তেল ও সেবাম। শুধুমাত্র যে ছেলেদের ওই সমস্যা হয় তা নয় মেয়েদেরও এই সমস্যায় পরতে হয়। তাছাড়া যারা দিনের বেশিরভাগ সময় ধরে বাইরে থাকে তাদের ত্বকে অনেক ধুলোবালি জমে থাকে তাদের জন্য এই মশ্চারাইজার ক্রিমটি খুব ভালো কাজ করে। এটি ২-৪ ঘন্টা আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে রাখবে তার সাথে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
দামঃ ১২০৳
গার্নিয়ার ম্যান অয়েল ক্লিয়ার ফেয়ারনেস ক্রিমঃ তৈলাক্ততা যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয় সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত অবশ্যই এই ক্রিমটি ব্যবহার করা। এটি ব্রণ এবং ব্রণের দাগ সরাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
দামঃ ২২০৳
ম্যানকাইন্ড অ্যাকনেস্টার রিমুভাল জেলঃ এটি হলো একটি ক্লিন্ড্যামাইকিন নিকোটিনামিড জেল। যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত দূর করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় ।এই ক্রিম ছেলে-মেয়ে উভয় ব্যবহার করতে পারবে। আবার যাদের ব্রণ এবং ব্রণের দাগের সমস্যা আছে এটি তারাও ব্যবহার করতে পারবে।
দামঃ ৯৫৳
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়ঃ
বরফের অন্যতম সেরা বৈশিষ্ট্য হলো প্রধাহবিরোধী, যা ব্রণ নিরাময়ে সহায়তা করে। এটি ত্বককে শীতল রাখতে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলোর আকার হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারের ফলে তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন হ্রাস করে।
একটি পরিষ্কার কাপড়ে দুই- তিনটি বরফের টুকরো পেঁচিয়ে নিয়ে কাপড়টি ব্রণের উপর আলতোভাবে ১০ মিনিট মালিশ করুন। এতে ব্রণের লালচে ভাব দূর হবে এবং ব্রনের আকারও ছোট হয়ে আসবে। প্রতিদিন ব্যবহারে ব্রণের প্রকোপ থেকে বাঁচা যেতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
ব্রণ দূর করার ক্রিমঃ
ব্রণ মানুষের মুখে ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতাকে নষ্ট করে দেয়। এছাড়া ব্রণ চলে গেল রেখে যায় ব্রণের দাগ ও ক্ষত। তাই বিশ্বব্যাপী কম বেশি সবার কাছেই ব্রণ একটি আতঙ্কের নাম। আর সেজন্য দরকার ত্বকের সঠিক যত্ন ও নিজের স্ক্রিন টাইপ অনুযায়ী সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করা।
সেই জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। আর নিজের স্কিন টাইপ অনুযায়ী বেঁচে দিতে হবে সঠিক প্রোডাক্ট। চলুন তাহলে জেনে নেই ব্রণ দূর করার সহজ ও কার্যকর কিছু ক্রিমের নাম-
নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিমঃ অয়েলি, কম্বিনেশন আর একনি প্রোন স্কিনে ব্রণের প্রবণতা থাকে সবচাইতে বেশি। এই সমস্যার সমাধানে বায়োজিনে আছে নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিম। যা ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত। এই ক্রিমের একটিভ উপাদান হিসেবে আছে স্যালিসাইলিক এসিড,প্যান্থেনল এবং স্কুয়েলেন।
যা আপনার স্কিনে ব্রণ,ইম্পিউরিটিস, মেকআপ ও ময়লা দূর করে।স্যালিসাইলিক এসিড ত্বকে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকে ব্রণের ব্রেকআউট হওয়া প্রতিরোধ করে। জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লালচে ভাব দূর করে। আর স্কুয়ালেন ত্বকের হাইড্রেটর হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এতে থাকা ফুলের নির্যাস ও অন্যান্য হারবাল উপাদান স্কিনকে রাখে সতেজ, ব্রণ মুক্ত এবং উজ্জ্বল।
নরম্যাকনে একনি স্পট ট্রিটমেন্টঃ ব্রণ চলে যায় কিন্তু ব্রণের দাগ ত্বকের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলে। এই সমস্যার ইমার্জেন্সি সলুশন হচ্ছে ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডেড Normacne Acni Sport Treatment. যা ব্রণের দাগ দূর করার পাশাপাশি স্কিনের এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।
ফলে স্কিনের মৃত জমে থাকা কোষগুলো সরে যায় এবং স্কিনের বন্ধ পোরসের মুখ খুলে দেয়। ফলে স্কিন হয় দাগ মুক্ত, মসৃণ ও উজ্জ্বল। এতে থাকা Salicylic Acid ব্রণের দাগ ও স্ক্রিন এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে স্কিনের বন্ধ পোরস গুলো খুলে দেয়।
আর Lauric Acid, Myristic Acid ও Oleic Acid এর সমন্বয়ে এর Oil Control Complex ফর্মুলা- স্কিন থেকে মৃত কোষ দূর করে, স্কিনের তেল চিটচিটে ভাব দূর করে। আর তোকে আনে নিখুঁত ও উজ্জ্বল ভাব। এই ক্রিমের Transparent formula এটিকে সারাদিন ব্যবহারে ব্যবহারে উপযোগী করেছে।
ডার্মাডিকস অ্যান্টি- একনি সিরামঃ ব্রণের সহজ সমাধানের জন্য আছে Dermedis এর Anti Acne Serum Roll On. রোল অন ফর্মুলায় ব্রণের সমাধান হবে নিশ্চিন্তে। এই সিরাম আপনার স্কিনের ব্রণ, ব্রণের দাগ, স্কিনের বিবর্ণতা, চুলকানি, জ্বালাপোড়া এবং লালচে ভাব দূর করতে সক্ষম।
এর মাল্টি এক্টিভ ফর্মুলা ব্রণ ইম্পারফেকশন, হোয়াইট হেডস এবং ব্ল্যাক হেডস দূর করে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এই প্রোডাক্টটি আপনার স্কিনের ব্রণ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা খুব সহজ সমাধান দিবে রোল অন ফর্মুলায়। প্রতিদিন ব্যবহারে অয়েলি এবং ব্রণ প্রবণ স্কিন হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল এবং ব্রণ মুক্ত।
শেষ কথাঃ
প্রত্যেক রোগেরই যেমন কোন না কোন চিকিৎসা বা উপায় আছে তেমনি তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায় বা চিকিৎসা আছে। ব্রণ দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে, বেশি বেশি পানি পান করতে হবে,অন্তত দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করতে হবে, স্কিন পরিষ্কার রাখতে হবে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক ব্যবহার করে স্ক্রিন পরিষ্কার রাখতে হবে।
এই আর্টিকেলে আমরা তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে অনেকগুলো পয়েন্ট এবং রেমেডি নিয়ে আলোচনা করেছি। পোষ্টটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url