OrdinaryITPostAd

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার নাম কি?প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই আপনি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য অনেক জায়গা খোঁজাখুঁজি করেছে কিন্তু আপনি পুরোপুরিভাবে জানতে পারেননি। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যদি আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
 
নিচেই আর্টিকেলে আমরা বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা সমূহ এবং আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।


বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক


ভূমিকাঃ

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। একটি জাতিকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না এবং কি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।

এদেশের মানুষ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলি কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি বেড়ে গেছে। তাছাড়া উপযুক্ত ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব,প্রকৃত মেধার অবমূল্যায়ন, নৈতিকতার বিধ্বংসী শিক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি ছাড়া আর অন্যান্য কারণে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে।

 বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার অনেকগুলো ত্রুটি আছে এগুলো সমাধান করতে পারলে দেশের উন্নতি হবে। তাছাড়া বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সরকারকে সচেতন হতে হবে।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিঃ

বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের মানুষ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা, প্রযুক্তি। বিজ্ঞান ইত্যাদি সবার কাছে বেশি প্রাধান্য পায়। উন্নত বিশ্বে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পড়ালেখা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আধুনিক ব্যবস্থা তাদের উন্নয়নের প্রধান উপকরণ।

 বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শিক্ষিত হয়ে অনেক মেধাবীরা দেশে-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে সত্য কিন্তু বেশ কিছু ত্রুটির কারণে জাতি সামগ্রিকভাবে শিক্ষা সফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ত্রুটি গুলোই আমাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ দিচ্ছে না। 

যার কারনে আমাদের শিক্ষা,দীক্ষার জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার গতি এখনো খুবই ধীর। বাংলাদেশের সব থেকে বেশি প্রয়োজনে হচ্ছে একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। একটি শিক্ষিত সুন্দর সমাজই পারে দেশের কল্যাণ সাধন করতে। বাংলাদেশের যেসব সমস্যা বিরাজমান তার সফল ও সুন্দর সমাধান হচ্ছে জাতিকে সুশিক্ষায় গড়ে তোলা।

 কারণ সুশিক্ষিত জনগণে জনগণই পারে সকল অপকর্ম, অন্যায় ও অনিয়মের সাথে মোকাবিলা করতে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু মৌলিক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়, সেগুলো হল -
  • উপযুক্ত ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব।
  • মেরুদণ্ডহীন, অসৎ শিক্ষা ব্যবস্থা।
  • নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ব্যর্থতা।
  • প্রকৃত মেধার অবমূল্যায়ন।
  • কোরআন হাদিস বিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থা।
  • প্রশ্ন ফাঁস ও অসদুপায় অবলম্বনে পূর্ণ স্বাধীনতা।
  • মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য।
  • নৈতিকতা বিধ্বংসী শিক্ষা ব্যবস্থা।
  • পর্দাহীন শিক্ষা ব্যবস্থা।
  • জীবন পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা বর্জিত শিক্ষা।
  • নেতৃত্ব ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ব্যর্থতা।
  • ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা।
  • ভর্তি বাণিজ্য।
  • জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সৃষ্টিতে ব্যর্থতা।
  • দুর্নীতির প্রসার।
  • কর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থাঃ

Education is the backbone of nation মানুষের মেরুদন্ডের মতো শিক্ষা একটি জাতির অন্যতম অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়। শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি এগিয়ে যায় এবং আহরণ করে উন্নতির শীর্ষে। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সন্তোষজনক চিত্র আমাদের চোখে পড়ে না।

 তবে বর্তমানে আসার বিষয় হচ্ছে যে শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষার মান, শিক্ষানীতি, শিক্ষার জন্য বরাদ্দ, শিক্ষার পরিবেশ প্রভৃতির উন্নয়নের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। এ যুগে পৃথিবী তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রযুক্তি নির্ভর বা কারিগরির মাধ্যমে নয়। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্নভাবে বিভক্ত যেমন-

  • বাংলা মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা
  • ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা ব্যবস্থা
  • মাদ্রাসা মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা (আলিয়া মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসা)
অপরদিকে, আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাবো যে সেখানে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত। আর আমাদের দেশে হরেক রকম শিক্ষা ব্যবস্থা, যার কারণে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা সমূহঃ

শিক্ষা একটি মানসিক প্রক্রিয়া। সমাজ ও জাতির উৎকর্ষ সাধনের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই সমাজ জীবনে শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম।শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ হলে সামাজিক সংহতি বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবুও শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।নিচে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমূহ আলোচনা করা হলো-

যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের স্বল্পতাঃ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বহুলাংশেন শিক্ষকের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা আর আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়,আমাদের দেশের শিক্ষক সমাজ এক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনে ব্যর্থ

 এ ব্যর্থতার পেছনে অনেক কারণ থাকলেও অন্যতম কারণ হচ্ছে শিক্ষক এর যোগ্যতার অভাব। বিশেষ করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোতে যে নিয়োগ পদ্ধতি রয়েছে তাতে অনেক অযোগ্য লোকও ডোনেশন, স্বজনপ্রীতি, আঞ্চলিক প্রভাব- প্রতিপত্তির বলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে।

 অন্যদিকে একসময় শিক্ষকতা সম্মানজনক পেশা বলে বিবেচিত হলেও বর্তমানে এর প্রতি মেধাবী ছাত্রদের আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে। শিক্ষকদের যে বেতন -ভাতা ও সুযোগ -সুবিধা তাতে মেধাবী লোকদের এর প্রতি আগ্রহ না থাকারই কথা। তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন- ইংরেজি, গণিত ইত্যাদির শিক্ষক পাওয়া যায় না।

দারিদ্র্যঃ বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে । দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিজেদের আহারের সংস্থান করতে গিয়ে শিক্ষার সুযোগে লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব পরিবারের শিশুরা মা-বাবার সাথে কাজ করতে বাধ্য হয়। 

দুই এক দিন বিদ্যালয়ে গমন করলেও বাবা-মার চাপে বিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হয় অর্থাৎ তাদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো সময় এবং সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়। শৈশব পার না করতে শিশুরা আয় উপার্জনমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার সুযোগ পেতে স্বভাবতই দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।

 ফলে দরিদ্র বাবা-মা শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। এভাবে দারিদ্র্য বাংলাদেশ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের একটি প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করে।

নকল প্রবণতাঃ পরীক্ষায় নকল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আরেকটি দুরারোগ্য ব্যাধি। এ ব্যাধির ফলে ছাত্র- শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ জাতি অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানের এ নাজুক অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা অব্যবস্থাপনা আর রাজনীতির দুষ্টচক্র এই ব্যাধিকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে রূপ দিয়েছে।

 সার্টিফিকেটসর্বস্ব শিক্ষার প্রতি অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের দুর্বলতা মূলত নকলের ব্যাপকতার জন্য দায়ী। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবও এক্ষেত্রে বিরাটভাবে দায়ী। এক্ষেত্রে সরকারকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বা রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

 এজন্য বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছ । তবে সম্প্রতি সরকার এ ব্যাপারে বেশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং গত কয়েকটি পরীক্ষায় নকল প্রতিরোধে সরকার সফল হয়েছে।

শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধিঃ বাংলাদেশে দ্রব্য সামগ্রিক মূল্য আগের তুলনায় বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার ব্যয়। শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি বাড়ার কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের ইতি টানতে বাধ্য হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁসঃ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কলঙ্কজনক অধ্যায় হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস। গত কয়েক বছর আগেও এই সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ছিল। একটি দুষ্টচক্র এর সাথে জড়িত, অনেক সময় কিছু কিছু শিক্ষকও এসব দুষ্টচক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে প্রশ্ন ফাঁস করে থাকে।

 ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রশ্নপত্র কিছু ক্ষেত্রে উত্তর সহ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের প্রশ্নপত্র ছাড়াও ফাঁস হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও। কিন্তু সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপে গত কয়েক বছর কলঙ্কিত অধ্যায় থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

অসচেতনতাঃ বাংলাদেশে দারিদ্র্যের পাশাপাশি রয়েছে অভিভাবকের অসচেতনতা। বাবা- মা নিজেদের উদ্যোগে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাসহ সকল বিষয়ে দেখাশোনা করেন, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু বাবা -মায়ের অসচেতনতা কারণে ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না।

 বাবা -মা যদি শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে শিশুরা শিক্ষার সংস্পর্শে আসতে পারে না। এভাবে বাবা মায়ের অসচেতনতা কারণে আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষালাভে ব্যর্থ হচ্ছে।

পাঠ্য পুস্তকের স্বল্পতাঃ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রয়োজনীয় বই তথা পাঠ্যপুস্তকের সংকট বা স্বল্পতা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণীর যে সকল বই বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোর নিম্নমান, বানান ও অর্থগত ভুল, যথাসময়ে বিতরণ না হওয়া ইত্যাদি সমস্যা প্রতি বছরই দেখা যায়।

তবে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শ্রেণীর মত মাধ্যমিক শ্রেণীর বইও বিনামূল্য বিনামূল্যে বিতরণ করেছে এবং বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার সাফল্য দেখিয়েছে। অন্যদিকে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কথা বলা হলেও উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলায় মানসম্মত বই বেশ দুর্লভ।

 একদিকে বাংলা বইয়ের সংকট অন্যদিকে ইংরেজি দুর্বলতা এসব কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অনেক ক্ষেত্রে ব্যাহত হয়।

শিক্ষা উপকরণের অভাবঃ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সমস্যা আরেকটি কারণ হচ্ছে শিক্ষা উপকরণের অভাব এদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুস্তক, আবাসন সুবিধা, অবকাঠামগত সমস্যা প্রভৃতি অন্যান্য বিষয় শিক্ষা উপকরণের অভাব রয়েছে। শিক্ষা উপকরণের অভাব ছেলে মেয়েদেকে শিক্ষা গ্রহণে নিরুসাহিত্য করে।

অবকাঠামোগত সমস্যাঃ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা দূর করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অবকাঠামো। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে অনেক সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে এবং পরিকল্পনার অভাবে এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রবৃত্তি বিষয়ে অবকাঠামগত উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামগত সমস্যার কারণে শিক্ষার পথ আজ নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সমাধান সমূহঃ

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক ত্রুটি ও সমস্যা রয়েছে। শিক্ষার উন্নতি ও উন্নয়নে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বহু শিক্ষা কমিশন গঠন হলেও প্রকৃত অর্থে শিক্ষার উন্নয়ন হয়নি। তথাপি প্রচেষ্টা থেমে নেই। প্রতিটি সরকারে আপন আপন চিন্তা -চেতনার আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা সমাধানের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার সেগুলো হল-
  • মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সিলেবাসের ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন জরুরি। বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে তা অত্যাবশক। হঠাৎ করে এসএসসি কিংবা এইচ এস সি পর্যায়ে উন্নত সিলেবাস প্রণয়ন করলেও তা ছাত্রছাত্রীরা কার্যকরভাবে গ্রহণ করতে পারছে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনার বিবেচনায় আনতে হবে।
  • দেশে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার সমন্বয় সাধন অত্যাবশক। বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে কিন্ডারগার্ডেন ও মাদ্রাসা শিক্ষার সমস্যা সাধন জরুরি।
  • মাধ্যমিক পর্যায়ে থেকেই ইংরেজি শিক্ষার উপর জোর দেওয়া আবশ্যক। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনাকে বাধ্যতামূলক করা উচিত।
  • শিক্ষকের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা আবশ্যক। শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে না পারলে যত ভালো সিলেবাসই হোক না কেন তা ফলপ্রসূ হবে না।

পরিশেষে

বর্তমান শিক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটি, সমস্যা এবং সমস্যার সমাধান এবং আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান পাবেন।

তাছাড়া এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন মতামত থাকতে পারে তাহলে আপনারা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url