চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়প্রিয় পাঠক চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় জানার জন্য আপনি খুব চিন্তিত অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন তেমন কোনো ভালো সমাধান কোথাও খুঁজে পানননি। কিভাবে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে সে নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
নিজে আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করছি চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়। আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করতে যেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে।
ভূমিকাঃ
মানুষের জীবনে চুলের গুরুত্ব অপরিসীম। চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে।
চুল ছাড়া মানুষের পরিপূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায় না। আর চুল পড়া বন্ধ করতে প্রয়োজন। আর চলতে সুন্দর করতে প্রয়োজন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি , বায়োটিন এবং আয়রন।
এগুলো চুলকে সুন্দর করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া বন্ধ ও নতুন গজানোর উপায় গুলো জানতে হবে যেমন-কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়, কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়, চুল পড়া দূর করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়ঃ
আমাদের চুলে যতেষ্ট পরিমান ভিটামিন না থাকার কারণে আস্তে আস্তে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল পড়া শুরু হয়।চুল পড়ার অনেক কারণ রয়েছে আর যেসব ভিটামিন মাথার চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী সেগুলো হলঃভিটামিন ডি, বায়োটিন এবং আয়রন।তাছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ন ভিটামিন এ এবংভিটামিন সি এর অভাবেও মাথার চুল পড়ে।
এই ভিটামিনগুলো মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে এবংনতুন চুল গজাতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। এগুলোর পাশাপাশি চুলকে সুন্দর করতে নিয়মিত নারিকেল তেল এবং হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে। চুল সুন্দর রাখতে হলে অবশ্যই চুল পরিষ্কার রাখতে হবে, এজন্য অন্তত সপ্তাহে দুইবার চলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়ঃ
একটি মানুষের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে চুলের ভূমিকা অপরিসীম।চুল পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল।চুল পড়বে আর গজাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে এবং সে অনুযায়ী চুল না গজায় ্তাহলে সেটি সমস্যা।অনেক সময় চুলের গোড়ায় যতেষ্ট পরিমানে ভিটামিন না থাকার কারনে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবংপ্রচুর পরিমানে চুল পরতে থাকে।
চুল পরতে পরতে অনেকের টাক হয়ে যায়।এসব সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী অতিরিক্ত দুঃচিন্তা এবং পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন যুক্ত খাবার না খাওয়া। আসলে চুল গজানোর নিদির্ষ্ট কোনো বয়স নাই । বাচচা থেকে শুরু করে বিদ্ধ যেকোনো বয়সের মানুষের চুল গজাতে পারে।
নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার:
নতুন চুল গজাতে পিয়াজের রসের অনেক উপকার রয়েছে।প্রথমে দুই টেবিল চামুচ পিয়াজের রসের সাথে আধা চামুচ মধু কিংবা তিন টেবিল চামুচ পিয়াজের রসের সাথে পাঁচ চা চামুচ নারিকেল তেল এবং সাথে এক চা চামুচ লেবুর রস মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ মাথায় লাগিয়ে কুড়ি মিনিট রাখার পর মাথায় শ্যাম্পু করে চুল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এক গবেষণায় দেখা এতে করে মাথায় নতুন চুল গজাবে এবং চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়ঃ
প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে ব্যবহিত হয়ে আসছে নারিকেল তেল। চুলের যত্নে নারিকেল তেলের কোনো তুলনা হয়না। আমাদের চুল ও মাথার স্ক্যাপ ভালো রাখতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে নারিকেল তেল।২০মিলি নারিকেল তেল ও ১০ মিলি আমলকির তেল এবংদুই টেবিল চামুচ লেবুর মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে এটি খুব তাড়াতাড়ি চুল গজাতে সাহায্য করবে।
চুল গজানোর ঔষধঃ
টাক মাথায় চুল গজানোর ঔষধের নাম হল- মিনোক্সিডিল ও ফিনাস্টেরাইড।মিনোক্সিডিলপুরুষ ও মহিলা উভয়ই ব্যভার করতে পারে আর ফিনাস্টেরাইড শুধু পুরুষরাই ব্যবহার করতে পারে।তবে জেনে রাখা ভাল এ ঔষধ দুটির প্রত্যেকটিরই কোনো না কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে এবং সবার ক্ষেতে কার্যকর হয়না।
চুল ঘন করার উপায়ঃ
চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েক গুণ। বর্তমান সমস্যায় ভোগেন বেশিরভাগ মানুষ। চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল রুক্ষ ও মলিন হয়ে যাওয়া এখন খুবই পরিচিত সমস্যা। চুল পাতলা হওয়ার কারণে মনের মত করে চুল সাজানো যায় না। আর চুল পড়তে শুরু করলে যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে টাক পড়ার মতো সমস্যাও অস্বাভাবিক নয়। তাহলে জেনে নিন চুল ঘন করার কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়-
তেল এবং সিরাম ব্যবহারঃচুলে তেল ব্যবহার না করা আপনার চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সুন্দর রাখতে চাইলে তেলের বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে চুলে তেল ও সিরাম ব্যবহার করবেন। এতে আপনার চুল সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। গোসলের আগে বা পরে চুলের ব্যবহার করুন। বেছে নিতে হবে চুলের জন্য মানানসই সিরাম ও তেল।
চুল পরিষ্কার রাখুনঃগরমের সময় ঘামের কারণে চুলের গোড়ায় সহজেই ময়লা জমে যায়। সে কারণে চলে আমিতো পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চলে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এর বেশি ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা নষ্ট হতে পারে।
আলতো হাতে চুল আঁচড়ানঃগোসলের পর বের হয়েই অনেকে ভেজা চুল আচটানো শুরু করেন। এটি করা যাবে না। চুল কিছুটা শুকানোর সময় দিন। এরপর আলতো হাতে চুল আঁচড়ে নিন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে। এতে চুলের গড়া নরম হয়ে চুল পড়ার ভয় থাকবে না।
সিল্কের বালিশঃ ভাবছেন চুল ঘন করার সঙ্গে সিল্কের বালিশের কি সম্পর্ক? আসলে সুতির কাপড় আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। তাই বালিশের কভার সুতির তৈরি হলে তা চুলের আর্দ্রতা শুঁষে নিতে পারে। তাই বালিশের সিল্কের কাপড় ব্যবহার করুন। এতে বালিশের সাথে চুলের ধর্ষণ কমবে। চুলের ডগাও কম ভাঙবে।
ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহারঃ
চুলের যত্নে বাইরে থেকে কেনা হেয়ার প্যাকের বদলে ঘরে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। এতে পার্শ্প্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে না। সেই সঙ্গে বেঁচে যায় খরচও। ঘরোয়া নানা উপকারী উপাদান দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন হেয়ার প্যাক।
লেখকের মন্তব্যঃ
এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয়, কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করা যায় এবং কিভাবে চুলে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে চুল সুন্দর করা যায় ইত্যাদি। আরো জানতে পেরেছেন কম খরচে এবং খুব সহজে কিভাবে ঘরোয়া হেয়ার প্যাক তৈরি করে চুলের যত্ন নেওয়া যায়।
পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি অবশ্যই আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url