OrdinaryITPostAd

বিটরুট এর পুষ্টিগুণ এবং বিটরুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বিট গাজরের উপকারিতাহ্যালো বন্ধুরা, বিটরুট এর পুষ্টিগুণ এবং বিটরুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনারা জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি আজ আপনাদের জন্যই। এই আর্টিকেলটি যদি আপনারা পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিটরুট সম্পর্কে আপনাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

নিচে আর্টিকেলে আমরা বিটরুট কি, বিটরুটের পুষ্টিগুণ, বিটরুটের খাওয়ার নিয়ম এবং আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

বিটরুট এর পুষ্টিগুণ এবং বিটরুট  খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ভূমিকাঃ

বিট একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি হলেও অনেকেই অনেকেরই বিটের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা নেই বললেই চলে। দিন দিন বাজারে বিটের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। বিট সাধারণত একটি সবজি হলেও অনেকের কাছে বিটের জুস খুব পছন্দের। 

বেশিরভাগ লোকের পছন্দের তালিকায় এখন বিট যুক্ত হচ্ছে। বিট শীতকালীন সবজি হলেও কমবেশি সারা বছরেই পাওয়া যাচ্ছে। বিটের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুন থাকায় বিটকে সুপার ফুড বলা হয়। এজন্য বিটরুট এর পুষ্টিগুন এবং বিটরুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

বিটরুট কি?

বিটরুট একটি শীতকালীন সবজি হলেও সারা বছরে কমবেশি পাওয়া যায়। বিটরুট হল ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর একটি সবজি। তবে দেখতে ড্রাগন ফলের মত লাল টুকটুকে এবং আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে অনেকে এটিকে ফল ভেবে থাকেন।

 শুধু কল ভেবেই যে চুপ করে থাকেন থাকে তা মানুষ তা না। রসালো ফলের মতো করে বেশ মজা করে খেয়ে থাকেন। এই সবজি তার অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। তাই এটিকে অনেকেই সুপার ফুড বলে থাকেন।

বিটরুটের পুষ্টিগুণঃ

 সৌন্দর্যে বিটরুট যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিগুনে অনন্য। ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের ভরপুর বিটরুট। এটিতে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি।

বিটরুট খাওয়ার নিয়মঃ

বিটরুট দেখতে যেমন সুন্দর সে তো বেশ মজার। বিট রুট সাধারণত আমরা সালাদ বা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। এই সবজির ভিতরটা দেখতে লাল বর্ণের। তবে এই সবজিটি অনেকে খেয়ে থাকলেও এর ঔষধি গুণ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।

 লাল বর্ণের এইসবজিতে পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা বিভিন্ন ফলের সাথে মিশিয়ে জুস হিসেবে বেশি খেয়ে থাকেন।

বাচ্চাদের বিটরুট খাওয়ানোর নিয়মঃ

শিশুর বয়স এক বছরের উপরে হলে তাকে ২ চামচ করে বিটরুট দেওয়া শুরু করুন। এ সময় শিশুর ডায়েটের সঙ্গে রাখুন অন্য সব প্রয়োজনীয় খাবার। তবে খেয়াল রাখবেন বিটরুট খাওয়ার পর ৪ দিনের মধ্যে শিশুর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে এ সবজি খাওয়া থেকে শিশুকে বিরত রাখুন।

বিটরুট এর দামঃ

বিট হচ্ছে একটি মৌসুমী সবজি। এর মৌসুমে অর্থাৎ শীতকালে এটি প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। তবে বছরে অন্যান্য সময়ে এটির দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠানামা করে।

বিটরুট দিয়ে রূপচর্চাঃ

বিটরুট সাধারণত আমরা সালাদ,সবজি ও জুস হিসাবে খেয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমানে রূপচর্চার ক্ষেত্রেও বিটরুট ব্যবহারের জুরি মেলা ভার। অনেকেই ত্বক সুন্দরও চুল ঝলমল করতে বিটরুট ব্যবহার করে আসছে। নিম্নে রূপচর্চায় বিটরুট ব্যবহার তুলে ধরা হলো-

  • বিটরুট স্লাইস করে অথবা বেটে মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  • বিটরুটের রসের সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিকে তুলা ডুবিয়ে ডার্ক সার্কেলের ওপর লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে বিটরুটের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন।
  • চুল পড়া কমাতে কফি গুড়ার সঙ্গে বিটরুটের রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মেসেজ করুন। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • বলিরেখা দূর করতে সপ্তাহে দুই দিন বিটরুটের সঙ্গে রসের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগান ।
  • ভিনেগার ও নিমের রসের সঙ্গে বিটরুটের রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। এটি খুশকি দূর করবে।
  • চুলে প্রাকৃতিক রঙ্গের আভা আনতে চাইলে এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে আধা কাপ বিটরুটের রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর চুল ধুয়ে নিন পানি দিয়ে।
  • সমপরিমাণ টমেটোর রস ও বিটরুটের রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান।ব্রণ দূর হবে।

বিটরুট এর উপকারিতাঃ

আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিটরুট রাখতে পারেন। এটি খেতে যেমন মজা, তেমনি এর পুষ্টিগুন ও উপকারিতা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। বিটরুট রান্না করে সালাদ করে এমনকি জুস বানিয়েও খাওয়া যায়। আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই ভালো রাখবে এটি। আসুন বিটরুটের কিছু উপকারিতা জেনে নেই।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ বিটরুটে থাকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট। এই উপাদান শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। যে কারণে রক্তনালী প্রসারিত হয়, কমে আসে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি উপকারী খাবার হতে পারে।বিটরুট নিয়মিত খেলে আপনার জন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যাবে।

রক্ত পরিষ্কার করেঃ আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে বিটরুট। তাই আপনিও সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি খেলে তার শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, রক্তের বৃদ্ধি করে আরবিসি-র সংখ্যা, সেই সঙ্গে দূরে রাখে রক্তস্বল্পতাও।

ওজন কমায়ঃ যারা কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য একটি উপকারী খাবার হতে পারে বিটরুট। কারণ এতে ক্যালরি থাকে খুবই কম। আর ফ্যাট নেই বলতে গেলে। প্রতিদিন সকালে আপনি যদি এক কাপ বিটের রসের সঙ্গে ২ মিলি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খান তবে দ্রুতই সুফল পাবেন। মাত্র এক মাসেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ কমায়ঃ বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। নাইট্রেট ছাড়াও বিটে পাবেন বেটালাইনস। এটি এক ধরনের পিগমেন্ট। বেটালাইনসও রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ, আপনার হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করবে বিট। বিট আঁশ জাতীয় খাবার। আর জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য,ডাইভার্টিকুলাইটিস এমনকি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

শারীরিক শক্তি বাড়ায়ঃ বয়সের সাথে সাথে শরীরের শক্তি কমে যায়। শরীরের শক্তি বাড়াতে চাইলে আপনাকে সাহায্য করবে বিট। বিট এমন একটি সবজি যার বহু গুণ। বুড়ো বয়সে নাতি- নাতনির সাথে দৌড়াতে চাইলে খাদ্য তালিকায় বিটরুট যোগ করুন।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ যতদিন যাবে মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা কমতে থাকবে। ভুলে যাবেন সবকিছু। এক কাপ বিট খেলেই কিন্তু বেঁচে যাবেন এই অবস্থা থেকে। বিট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং ব্লাড সুগার ঠিক রাখে।

দীর্ঘমেয়াদি চোঁখের যত্নেঃ বিট চোখের জন্য খুবই উপকারী। সবুজ বিট কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। সিদ্ধ বা পরিপক্ক অবস্থায় এটিতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট বা লুটেইন নামে পরিচিত। লুটেইন বয়স সম্পর্কিত চোঁখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

 এটিতে উদ্ভিদ উৎপাদিত ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা চোঁখের স্বাস্থ্য এবং চারপাশের স্নায়ু টিস্যু গুলির শক্তি এবং সুস্থতা বাড়ায়।

মাসিকের সমস্যা দূর করে বিটরুটঃ বিটে থাকা আয়রন নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে এর ফলে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে।

ত্বকের উন্নতিতে বিটরুটঃ এক গ্লাস বিটের জুস ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এতে থাকা এন্টি এজিং উপাদান ব্রণ, মেস্তা, বলিরেখা দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

বিটরুট এর অপকারিতাঃ

জন্য বিট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি এতে কোন সন্দেহ নেই। বিটে থাকা পুষ্টি উপাদান যেমন- আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

 তবে বিট একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হওয়া সত্ত্বেও শরীরের কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি অপকারী। আসুন বিটের কিছু অপকারী দিক জেনে নেই।

নিম্ন রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তিদের বিট খাওয়া উচিত নয়ঃনিম্ন রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিট খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। এর কারণ, বিটে প্রাকৃতিক ভাবে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট থাকে যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে।

 এই উপাদানটি রক্তনালী গুলিকে শিথিল করে এবং প্রসারিত করে, যা রক্তচাপকে আরো কমিয়ে দেয়। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বিট এড়িয়ে চলা উচিত।

গলব্লাডারের পাথর হয়েছে কেমন রোগীদের জন্য ক্ষতিকরঃ কিডনিতে পাথর না থাকলে বিট খেলে কোন বিপদ নেই। তবে, পারো যদি কারো যদি অক্সালের যুক্ত কিডনিতে পাথর থাকে তাদের জন্য বিটরুট ক্ষতিকারক হতে পারে।

আসলে, বিটে অক্সালেটের পরিমাণ অনেক বেশি, যার কারণে কিডনিতে পাথরের সমস্যা আরো গুরুতর হয়ে ওঠে। আপনি যদি পাথরের সমস্যায় ভুগছেন, তবে আপনার চিকিৎসক বিটরুট এড়িয়ে চলা বা পরিমিত পরিমাণে সেবন করার পরামর্শ দেন।

এলার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের বিট এড়ানো উচিতঃ  বিটের রসে খনিজ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস,পলিফেনল এবং অন্যান্য খাদ্য তালিকাগত ফাইবারসহ পুষ্টির একটি ভাণ্ডার। কিন্তু এই পুষ্টি কিছু মানুষের এলার্জির কারণ হতে পারে। 

যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, আমবাত, চুলকানি, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর হতে পারে। অতএব, আপনার যদি বিটরুটে এলার্জি থাকে তবে এটি কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। এটি আপনার অ্যালার্জি এবংত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকরঃ বিট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের তা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই স্নায়ুর ক্ষতির ঝুঁকি থাকে, যা অপরিবর্তনীয়। এই বিপদ ঠেকাতে দরকার পরম যত্ন।

 বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা বিট খেলে এর ফাইবার ভেঙ্গে যায় এবং গ্লাইসেমিক লোড উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা খুব অল্প পরিমাণে বিট বা বিটের রস খেতে পারেন। কারণ এতে উপস্থিত নাইট্রেট অক্সাইড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।

লেখকের মন্তব্যঃ

বিট এমন একটি সবজি যার মধ্যে মোটামুটি সব ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আমরা বিট খাওয়ার উপকারিতা জানার পাশাপাশি কোন কোন রোগীদের জন্য বিট অপকারী সেটা জানতে পেরেছি। 

যেসব রোগীদের জন্য বিট খাওয়া অপকারী তারা বিট খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। তাছাড়া জানতে পেরেছি কিভাবে বিট দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া যায়। আজকে আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা বিট এর পুষ্টি গুণ এবং বিট খাওয়ার নিয়ম সহ বিটের যাবতীয় গুনাগুন ও ব্যবহার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 

আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন।

















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url