OrdinaryITPostAd

চুল পড়া দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

 চুল সিল্কি করার উপায় প্রিয় বন্ধুরা অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে খুবই চিন্তিত এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু কোথাও চুল পড়া দূর করার উপায় খুঁজে পাননি। তাই এই পোস্টে আমরা চুল পড়া দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। আর্টিকেলটি যদি আপনি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন।


নিচে আর্টিকেলে আমরা চুল পড়া দূর করার উপায়, অল্প বয়সে চুল পড়া চুল পড়ার কারণ, চুল পড়া দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।


চুল পড়া দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা


ভূমিকাঃ

চুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। তাই চুল নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তা শেষ নেই। মানসিক দুশ্চিন্তা, বিষাদগ্রস্থতা। ঘুম কম হওয়া, পর্যন্ত পরিমাণ পুষ্টিযুক্ত খাবার না খাওয়া ইত্যাদির কারণে দিন দিন মানুষের চুল পড়া বেড়ে গেছে।

 তাই চুল পড়া দূর করার উপায় হিসেবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, চুল সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে, মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে হবে, চুলের যত্নে কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার না করে ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বাসায় তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে এবং মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণঃ

অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়া ত্বকের একটা বড় সমস্যা। এই সমস্যা সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। মাথার চুল ঝরে দিন দিন টাক হয়ে যাচ্ছে বা চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে এমন লোকের সংখ্যা অনেক। প্রতিদিন ১০০ টির বেশি চুল পড়লে মাথা ফাঁকা হতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা এর বিভিন্ন কারণের কথা বলে থাকেন। চুল পড়ার কারণ গুলো হচ্ছে-


  • মানসিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, বিষাদগ্রস্ততা ও পুষ্টি ও অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ডায়েটিং চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
  • জ্বর, লিভার ও কিডনির অসুখ, কেমোথেরাপি নেওয়ার পর, রক্তস্বল্পতা, কিছু ঔষধ যেমন- ইনডোমেথাসিন, জেন্টামাইসিনের কারণেও চুল অতিমাত্রায় পড়ে যেতে পারে।
  • খুশকি, উকুন, শুষ্ক ও চটচটে মাথার স্ক্যাল্পও চুলের জন্য শত্রু।
  • কম বয়সে চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো চুল অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার না করা। যদি আপনার চুল কম থাকে এবং দুর্বল থাকে তাহলে অবশ্যই কেমিক্যাল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু এড়িয়ে চলবেন। এক্ষেত্রে সব সময় মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।
  • গরম পানি দিয়ে নিয়মিত চুল ধুলে অনেক দ্রুত চুল পড়ে যায়। গরম পানি ব্যবহারের কারণে মাথার ত্বকের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়, চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। গরম পানি চুলের গোড়া নরম করে ফেলে আর এ কারণে কম বয়সে চুল পড়ে যায়।
  • যদি কম বয়সে চুল হারাতে না চান তাহলে অবশ্যই বাইরে গেলে চুল ঢেকে রাখুন। না হলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নির কারণে আপনি অকালে চুল হারাতে পারেন। সূর্যের তাপ মাথার ত্বকের মশ্চারাইজার নষ্ট করে, চুলকে শুষ্ক ও দুর্বল করে ফেলে। যা চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।
  • চুলে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে চুল পড়ে যায়। জেল ব্যবহার চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট করে এবং চুলের গড়া নরম করে দেয়। এর ফলে নিয়মিত এই জেল ব্যবহারে একটা সময় মাথায় টাক পড়তে শুরু করে।
  • চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো বংশগত কারণ। যদি পরিবারের কারো চুল পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে আপনারও চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • পুষ্টির অভাবও চুল পড়ার একটি কারণ। বিশেষ করে আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ডি- এর অভাব চুল পড়ার সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • হরমোনের পরিবর্তনও চুল পড়ার একটি কারণ। মহিলাদের ক্ষেত্রে, মেনোপজের সময় চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে, চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে, অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।চুল পড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ

চুল পড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ

প্রতিনিয়ত প্রতিদিন ১০০ টা চুল পড়া স্বাভাবিক কিন্তু এর বেশি পড়লে সেটা সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। অতিরিক্ত টেনশন, পুষ্টির অভাব ও প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা না ঘুমালে চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক। চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত ৮ ঘন্টা ঘুম যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি সুষম খাবার খাওয়া ও নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরী।

 তবে চুল পড়া দূর করার উপায় হিসেবে বাইরের কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনের তুলনায় ঘরোয়া উপায় বেশি ভালো। চুল পড়া দূর করতে যেসব ঘরোয়া উপায় করতে পারি সেগুলো হল-

অ্যালোভেরা জেলঃ সপ্তাহে দুই দিন অ্যালোভেরা জেল লাগান চুলে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে লাগান চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে।চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি চুল ঝলমলে হবে।

মেহেদি ও সরিষার তেলঃ ২৫০ মিলি সরিষার তেলে ২০ টি মেহেদি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে মেসেজ করুন চুলের গোড়ায়। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন এই তেল।

মেথিঃ আধা কাপ নারিকেল তেলে এক চামচ মেথি দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে চুলের গড়ায় মেসেজ করুন। ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আলুর রসঃ আলুর রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ মেসেজ করে অপেক্ষা করুন। আধা ঘন্টা পর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রসঃ চুল পড়া তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রস লাগাতে পারেন চুলে। এতে থাকা ফেনোলিক যৌগ এবং সালফার চুল পড়া কমাতে সক্ষম। কয়েকটি পেঁয়াজ পেস্ট করে রস বের করে নিন। চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে।

জবা ফুলঃ ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন এবং ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে জবা ফুলে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জবা ফুল ও জবা ফুলের পাতা ছেচে নারিকেলের তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে।

বিটরুটঃ এতে থাকা পটাশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং সি নানাভাবে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বিটরুট পাতা নিয়ে পানিতে ফেলে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর পাতাগুলিকে গুড়ো করে নিয়ে মেথির সঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগালেই কাজ করবে।

 কারণ এই মিশ্রনটি ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখলে চুল পড়ার হার একেবারে কমে যায়। সপ্তাহে তিনবার এমনভাবে চুলের পরিচর্যা করতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়ঃ

শীত এলেই শুরু হয়ে যায় চুলের নানান সমস্যা। চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া,খুশকি, চুল পড়ার মতো সমস্যাগুলো যেন পিছু ছাড়তে চায় না এসব সমস্যার সমাধানে কিন্তু সহজ কিছু উপায় আছে। তাই চুল পরা বন্ধ করার উপায় গুলো জেনে নেই-

ময়েশ্চারাইজারঃ শীতে এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যার মধ্যে ভালো পরিমাণ ময়শ্চারাইজার রয়েছে। কেমিক্যাল যুক্ত চুলের রং ব্যবহার করা বন্ধ করুন। এমন রং ব্যবহারে চুলের ময়েশ্চারাইজার কমে যায়। তাই এর পরিবর্তে হেনা ব্যবহার করতে পারেন। চেষ্টা করুন বাড়িতেই মেহেদি পাতা বেটে হেনা প্যাক বানিয়ে নিতে।

মাথায় গরম পানি নয়ঃ মাথায় গরম পানি নয়, স্বাভাবিক পানিই ভালো। তবেই ভালো থাকবে চুল।

হিট ব্যবহার বন্ধঃ অনেক সময় হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে অনেকে হিট দেন। তবে এই অভ্যাস একেবারেই চলবে না। এভাবে হিট দিলে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যাবে। তাই স্নানের পর স্বাভাবিক উপায়ে চুল শুকাতে দিন।

অয়েল ম্যাসাজঃ নারিকেল তেল, বাদাম তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করুন একটি তেলের মিশ্রণ। তারপর সেই মিশ্রণ চুলে ও মাথার ত্বকে আলতো ভাবে মেসেজ করুন। একদিন পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আর খেয়াল করুন চুলের অবাক করা জেল্লা।

চুল পড়া বন্ধ করার চিকিৎসাঃ

যাদের চুল সম্পূর্ণ বা মাথার কিছু অংশ হারিয়ে গেছে তাদেরও আবার চুল গজাতে পারে। এটি চুল প্রতিস্থাপনের আকারে বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যায়। তাহলে জেনে নেয়া যাক সে উপায়গুলো-

স্টেম সেল থেরাপিঃ মাথার ত্বকে অবস্থিত ফলিকন থেকে মানুষের চুলের বৃদ্ধি শুরু হয়। যখন এই ফলিকনগুলি মৃত হয়ে যায়, তারা নতুন চুল গজাতে দেয় না। এই ফলিকনগুলি স্টেম সেল থেরাপিতে উদ্দীপিত হয়। এটি নতুন ফলিকন তৈরি করে এবং চুলের বৃদ্ধি শুরু করে।

 এই থেরাপি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য থেরাপির চেয়ে বেশি কার্যকর ও নিরাপদ। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।

নিবিড় চুলের রুট থেরাপিঃ এই থেরাপিতে প্রথমেই খুঁজে পাওয়া যায় কী কারণে চুল পড়ে। এরপর চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ঔষধ আকারে সরাসরি চুলের গোড়ায় প্রবেশ করানো হয়। এর জন্য মাইক্রোইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয় এবং এতে কোন ব্যাথা হয় না। এই চিকিৎসার দুই থেকে তিন মাস পর নতুন চুল গজাতে শুরু করে।

লেজার হেয়ার ট্রিটমেন্টঃ জেনেটিক কারণে চুল পড়ার ক্ষেত্রে এই চিকিৎসাটি বেশি ব্যবহৃত হয়। এই চিকিৎসা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে এবং চুলের ফলিকলের বিপাক বৃদ্ধি করে। এরপর চুলের বৃদ্ধি শুরু হয়। সাধারণত মাথার একটি নির্দিষ্ট অংশে চুল পড়ার জন্য এই চিকিৎসা নেওয়া হয়।

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিনঃ

মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে চুলের ভূমিকা অপারেশন অপরিসীম। আর সে চুলই যদি অল্প বয়সে পড়ে যায় তাহলে মানুষের মনে দুঃখ-কষ্টের শেষ থাকে না। আর চুল পড়া দূর করার উপায় হিসেবে মানুষের শরীরে অনেকগুলো ভিটামিনের প্রয়োজন হয়

। চুলের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন (এ, বি, ই বিশেষ করে বায়োটিন, সি, ডি এবং বেশ কিছু খনিজ (আয়রন,জিং নিয়মিত গ্রহণ করা অপরিচিত অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। এসব ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডিমের কুসুম কলিজা বাদাম বীজ কলা মিষ্টি কুমড়া মাশরুম ব্রকলি সিমের বিচি ইত্যাদি। এসব ভিটামিনযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নামঃ

তেলের সঙ্গে বিভিন্ন বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি কারণে অনেক চুল পড়ে যায়। আর এসব সমস্যা দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক কোন সম্পন্ন তেল পাওয়া যায়, সেগুলো চুলের জন্য খুব ভালো। আর এই তেল গুলো হল-

নারিকেল তেলঃ চুলের যত্নে খুব বেশি পরিচিত তেল গুলোর মধ্যে একটি হল নারিকেল তেল। নারিকেল তেল লরিক এসিড সমৃদ্ধ এবং চুলের গড়ায় প্রবেশ করে প্রোটিনের ক্ষতি কমায় এবং চুলকে মজবুত করে। এটি চুলের গভীরে প্রবেশ করবে করে চুলে কন্ডিশনিং প্রদান করে এবং চুলে যোগ করে চকচকে ভাব।

অলিভ অয়েলঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল চুলকে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে, মাথার ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং চুল ভাঙ্গা রোধ করতে সাহায্য করে। তার সাথে চুলে এনে দেয় বাড়তি উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা।

বাদাম তেলঃ বাদাম তেল ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ যা চুল এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়। এটি চুলের ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে, চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং চুলে আর্দ্রতা যোগায়।

নিম তেলঃ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত নিম তেল। এই তেল মাথার ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে করতে সাহায্য করে যা চুল পড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। এটি মাথার ত্বককে প্রশমিত করে, খুশকি কমায় এবং চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে তোলে।

ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েলের ঘন সামঞ্জস্য এবং উচ্চ ভিটামিন ই এবং রিসিনোলিক এসিড সামগ্রীর জন্য পরিচিত। এই তেল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, চুলের ফলিকলগুলিতে পুষ্টি সরবরাহ করে। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা মাথার ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

চুল পড়ার ওষুধ:

মানুষের শরীরের রোগ যেমন আছে তেমনি রোগের সমাধানও রয়েছে। তাই চুল পড়া নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। চুল পড়া চিকিৎসার জন্য দুটি ওষুধ প্রচলিত আছে। একটি হলো মিনোক্সিডিল- যা পুরুষ মহিলা উভয়ই ব্যবহার করতে পারে, আর অপরটি হচ্ছে ফিনাস্টেরাইড-যা শুধু পুরুষের জন্য।
 তবে এ দুটি ওষুধের প্রতিটির কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এবং সবার ক্ষেত্রে এগুলো সমান কার্যকর হয় না।

লেখকের বক্তব্যঃ

চুল মানুষের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত কেউ চায় না তার চুল পড়ে যাক। কারণ চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। এই আর্টিকালে আমরা চুল পড়া দূর করার ঘরোয়ায় উপায় ঘরোয়া উপায় হিসেবে অনেকগুলো ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

 আরো জানতে পেরেছি চুল পড়া দূর করার উপায় হিসেবে চুল পড়া দূর করার চিকিৎসা, চুল পড়া দূর করার তেল, চুল পড়া চুল পড়া দূর করার ঔষধ, চুল পড়া দূর করার ভিটামিন ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আপনাদের চুল পড়া সমস্যার সমাধান পেয়েছেন।

 আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। তাই


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url