OrdinaryITPostAd

সফলতা কি ? এবং জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী সে সম্পর্কে জানুন

পরিশ্রমী হওয়ার উপায়প্রিয় বন্ধুগণ, সফলতা কি? এবং জীবনে সফলতা অর্জনের মূলমন্ত্র আপনাদের জানা নেই, কিন্তু জানতে চান। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি কিভাবে জীবনের সফলতা অর্জন করা যায়। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জীবনে সফলতা অর্জনের উপায় বা মূলমন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন।

নিচে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা সফলতা কি, সফলতা অর্জনের উপায়, সফলতা অর্জনের দোয়া ইত্যাদি আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।


সফলতা কি ? এবং জীবনে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র কী সে সম্পর্কে জানুন

ভূমিকাঃ

সফলতা প্রতিটি মানুষের জীবনে স্বপ্নের মত। প্রতিটি মানুষ জীবনে সফল হতে চায়। কারণ সফলতা মানুষকে অর্থের সাথে সাথে সমাজে মান-সম্মানও বাড়িয়ে দেয়। আর এই সফলতা পাওয়ার জন্য অনেকে জ্ঞান-বিবেক হারিয়ে ফেলে সফলতার পিছনে ছুটতে থাকে। আর এভাবে কখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

 সফলতা অর্জন করতে হলে ধৈর্য, সাধনা থাকতে হবে এবং প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে জীবনে সফলতা অর্জন করা যাবে। আর তার সাথে জানতে হবে সফলতা অর্জনের উপায়।  শুধু উপায় জানলেই হবে না সঠিক সময়ে সেটা কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে সেটাও জানতে হবে। তাহলেই জীবনে সফলতা আসবে।

সফলতা কিঃ

সফলতা খুবই আনন্দের। সবাই চায় সফল হতে; এত সহজে সফলতা ধরা দেয় না। সাফল্য হলো প্রত্যাশার একটি নির্দিষ্ট পরিসর পূরণের অবস্থা বা শর্ত। এটি ব্যর্থতার বিপরীত হিসেবে দেখা দিতে পারে। সাফল্যের মানদণ্ড প্রেক্ষাপটের গোপন নির্ভর করে, এবং এটি একটি নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষক বা বিশ্বাস ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

 একজন ব্যক্তি সফলতা বিবেচনা করতে পারে যা অন্য ব্যক্তি ব্যর্থতা বলে বিবেচনা করে, বিশেষ করে সরাসরি প্রতিযোগিতা বা শূন্য-সমষ্টির খেলার ক্ষেত্রে। একইভাবে, একটি প্রস্তুতিতে সাফল্য বা ব্যর্থতার মাত্রা স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক বা অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে, যেমন একটি পরিস্থিতির যেটিতে একজন সফল বলে মনে করে, অন্যটি ব্যর্থতা, একটি যোগ্য সাফল্য বা একটি নিরপেক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনা করতে পারে।

 অর্থাৎ দুনিয়ায় প্রচলিত যতরকম কাজকর্ম আছে, এসব কাজকর্মের টিকে থাকার নামই হচ্ছে বর্তমান সময়ের সফলতা এবং আমরা এটাকেই মেনে নিচ্ছি। এ সফলতার ভাবনায় যারা আসক্ত, তাদের জন্য পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, পার্থিব দুনিয়ার চাকরি অনুরাগ মানুষকে ক্ষীনদৃষ্টিসম্পন্ন করে ফেলে। এ কারণে পরকাল সম্পর্কে জানা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারা শুধু দুনিয়ার জ্ঞানেই জ্ঞানী। (সুরা আর-রুম/ আয়াত- ৭ )

প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর সবচেয়ে বড় সফলতা ও মানদণ্ড হচ্ছে মহান আল্লাহতালার ভয় অর্জন করা এবং রাসূলের আদর্শে আদর্শবান হওয়া। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন: আর যে কেউ আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তার তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য। (সুরা নূর/ আয়াত - ৫২ )

সফলতা অর্জনের উপায়ঃ

জীবনে উন্নতির মূল কাঠামো হচ্ছে সফলতা অর্জন। সফলতা অর্জন ছাড়া জীবনে উন্নতি করা যায় না। কিন্তু এই সফলতা অর্জনের নেশা অনেকে পাগল করে দেয়। সফলতা অর্জনের নেশায় অনেক মানুষ ভালো -মন্দের ফারাক ভুলে যায়। সৎ পথে হোক আর অসৎ পথে হোক তাদেরকে জীবনের সফল হতেই হবে। 

তবে এটাই সফলতা অর্জনের আসল উদ্দেশ্য নয়। আমাদেরকে সফলতা অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে সৎ পথে এবং পরিশ্রম করে। আসুন জীবনে সফলতা অর্জনের কিছু উপায় জেনে নেয়া যাক।

ইতিবাচক চিন্তাভাবনাঃ নিজের মনের ভেতর সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আনতে হবে। কখনোই মনের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার স্থান দেওয়া যাবে না। আবার সামান্য কিছু পেয়েও অত্যধিক খুশি হওয়া যাবেনা।

আত্মবিশ্বাসঃ জীবনের সফলতা অর্জনের প্রথম সিঁড়ি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। সাফল্য পেতে হলে অবশ্যই নিজের ওপর বিশ্বাস থাকতে হবে। একমাত্র আত্মবিশ্বাসেই পারে আপনাকে সাফল্য চরম শিখরে পৌঁছে দিতে। তাই নিজের মধ্যে অঘাত আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।

ঝুঁকি নেওয়াঃ জীবনের সাফল্য পেতে হলে অনেক সময় বড় বড় ঝুঁকি নিতে হবে। কেউ কখনো এটা করিনি বলে আপনিও যে করতে পারবেন না এমন চিন্তাভাবনা মনে রাখা যাবে না। আর এই ঝুঁকি নেওয়ার চ্যালেঞ্জ আপনাকে সফলতা থেকে নিয়ে যাবে।

উদ্যোগ নিনঃ বর্তমানে সফলতার অন্যতম ধাপ হলো উদ্যোগ নেওয়া। আজকের প্রতিযোগিতামূলক কর্মজীবনে নিয়োগ কর্মকর্তারা এমন ব্যক্তিকে খোঁজেন যারা নতুন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিতে পারেন, নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারেন এবং ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারেন। একই সঙ্গে যে কোন সমস্যা তাৎক্ষণিক কোন সমাধান করতে পারেন। তাই উদ্যোগ নিন, ঝুঁকি নিন।

যোগাযোগ দক্ষতাঃ যোগাযোগ দক্ষতা একজন কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে সেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেকোনো প্রয়োজনে বসের সঙ্গে কথা বলুন, সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের সহযোগিতা করুন, ভালো ব্যবহার করুন। আর কখন কোন কাজটি করতে হবে তা বসকে জানিয়ে রাখুন। যোগাযোগ দক্ষতা অর্জনে আপনাকে সক্রিয় হতে হবে।

সহানুভুতিশীল হোনঃ একজন ভালো কর্মচারী হওয়ার জন্য অন্যের প্রতি সহানুভুতিশীল হতে হবে। আপনাকে বুঝাতে হবে বস এবং সহকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তাই কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন বা আপনি কতটা কাজ করেছেন তা বারবার বলবেন না। বরং অন্যের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। সবার প্রতি সহানুভুতিশীল হোন।

অজুহাত না দেখানোঃ সব সময় অজুহাতকে দূরে রাখতে হবে। অজুহাত এক ধরনের মনের দুর্বলতা যা আপনার সাফল্যের পথে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য অজুহাত না দেখানোর চেষ্টা করবেন।

প্রত্যেকটি দিন নতুন দিনঃ প্রত্যেকটা দিনই নতুন করে শুরু হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার আজকের দিনের কি কি কাজ আছে তার সাজিয়ে ফেলতে হবে। আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেই কাজগুলো শেষ করে ফেলতে হবে। কোন কাজ বাকি রেখে ঘুমাতে যাওয়া যাবে না।

পড়তে হবে অনেকঃ মানুষকে আমরা সবাই সবকিছু জানি না। জানার জন্য বই পড়তে হবে।ফিকশন, নন- ফিকশন সব ধরনের বই পড়তে হবে।

ভুল সংশোধনঃ নিজের ভুলটা স্বীকার করে তা সংশোধন করতে হবে। নিজের সমালোচনা নিজেকেই করতে হবে। তাহলেই নিজের ভুলগুলো নিজের সংশোধন করতে পারবেন।

নিজের মত হতে শিখুনঃ কখনো অন্য কারো মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন না, আপনি শুধু আপনিই। আপনি জীবনে কি হতে চান তা নিজেই স্থির করুন। নিজের জীবনে সিদ্ধান্তগুলো নিজেই ঠিক করুন। অন্যদের দেখানো পথে না হেঁটে নিজের জন্য অনন্য এক পথ তৈরি করুন; সেই পথেই আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে এবং জীবনে সফলতা এনে দিবে।

ব্যর্থতাকে মেনে নিনঃ আপনি যদি সাফল্যকে ধরে রাখতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্যর্থতাকে মেনে নিতে শিখতে হবে। কারণ ব্যর্থতাই হলো সফলতার প্রথম ধাপ। ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে নিজেকে উন্নত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করুন, তাহলেই আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণে সফল হবেন।

নিজের কাজকে ভালোবাসেনঃ নিজের কাজকে ভালোবাসো, কোন প্রতিষ্ঠানকে নয়। নিজের কাজের ব্যাপারে সক্রিয় থাকুন। নিজের কাজের দায়িত্ব নিতে শিখুন। আপনি যা করতে ভালোবাসেন, সেটাই করুন। অন্যের কথায় কান দিয়েন না, তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন।

জীবনে সফল হওয়ার জন্য যাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবেঃ

জীবনের সকল হতে হলে কিছু কিছু মানুষকে এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা সবাই তো আপনার আপনার ভালো চায়না। তবে জেনে নেওয়া যাক জীবনের সফল হতে হলে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে-

টাকার গরম দেখায় এমন মানুষঃ সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দেখা হলে খালি টাকার গল্প শোনাতে থাকেন। এমন আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তিদের বাদ দিন।

কথায় কথায় না বলেন যারাঃ সব কথার যারা নেতিবাচক জবাব দেন, এমন লোকদের আপনার জীবন থেকে বাদ দিন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাসের প্রভাব পড়বে।

কথার খেলাপ করেন যারাঃ যেসব ব্যক্তি কথা দিয়ে কথা রাখে না অর্থাৎ কথার খেলাপ করে, এমন ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন। এদের সঙ্গে চললে বারবার হতাশাই হতে থাকবেন।

পরচর্চা করেন যারাঃ কিছু লোক আছে যাদের সঙ্গে দেখা হলেই তারা সব সময় পরচর্চায় ব্যস্ত থাকেন, এমন ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন। তা না হলে এতে আপনার সময় ও স্বভাব নষ্ট হবে।

পরিবারের সমালোচনাকারীঃ আপনার পরিবারের সদস্যদের সম্মান করেন না, এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। আপনার জীবনসঙ্গী, মা-বাবা, ভাই-বোনদের নিয়ে খারাপ কথা বলা ব্যক্তিদেরকে এড়িয়ে চলুন।

কথার খুঁত ধরেন যারাঃ অনেক লোক আছেন যারা শুধু মানুষের কথার খুঁত ধরে বেড়ায়। এমনকি সাধারণ কথার মধ্যেও ভুল-ত্রুটি বের করেন। এমন ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন। ভালো থাকবেন।

মিথ্যা কথা বলেনঃ মিথ্যাবাদী ব্যক্তিদের জীবন থেকে বাদ দিন। যদি কোন ব্যক্তির বারবার মিথ্যা বলার প্রমাণ পেয়ে থাকেন, তাহলে তাকে জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিন।

ইয়ার্কির সীমা পার করেন এমন ব্যক্তিঃ যারা মজা বা রোস্ট করার ছলে আপনাকে অপমান করেন, এমন ব্যক্তিদের জীবন থেকে বাদ দিন। তাছাড়া মজা করারও একটা সীমা থাকে।

ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায়ঃ

 সফলতা অর্জনের উত্তম সময় হল ছাত্র জীবন। ছাত্র জীবনের সফলতা অর্জন করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তাছাড়া ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার কিছু উপায় আছে। একজন ছাত্র সে উপায়গুলো যদি নিয়মিত মেনে চলে তাহলে সে অবশ্যই সফল হবে। আপনাদের জানার সুবিধার্থে সে উপায়গুলো নিচে তুলে দেয়া হলো-

নিয়মিত পড়াশোনা করাঃ ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার অন্যতম সেরা ও কার্যকরী মাধ্যম হল নিয়মিত পড়াশুনা করা। এই উপায় ছাড়া ছাত্র জীবনে কেউ সফলতা লাভ করতে পারবে না। এজন্য অবশ্যই নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে।

 পড়াশোনা করার বিভিন্ন কৌশল রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করলে কম সময়ে আপনি সফল হতে পারবেন। সারাদিন পড়ার টেবিলে বসে থাকাকে আমি কখনোই সমর্থন করি না। আপনি চাইলে সুকৌশলে আপনার পড়ার সম্পন্ন করতে পারেন। তবে প্রতিদিনের পড়া আপনাকে প্রতিদিন করতেই হবে।

গ্রুপ করে পড়াশুনা করাঃ পড়াশুনা করার জন্য কোন একটা গ্রুপ তৈরি করে পড়লে সেটা অনেক বেশি কার্যকরী হয়। কয়েকজন মিলে একটা গ্রুপ তৈরি করে পড়াশোনা করলে সেই পড়া অনেক দিন মনে থাকে। তাছাড়া কোন পড়া একজনের বুঝতে সমস্যা হলে কোন একজনকে প্রশ্ন করলে সেটা সহজে সমাধান করা সম্ভব হয়। এভাবে আলোচনা করে কয়েকজন পড়াশোনা করলে উনি বেশি কার্যকর হবে।

নোট তৈরি করাঃ একজন সফল শিক্ষার্থীর অন্যতম একটা সেরা বৈশিষ্ট্য হলো নোট তৈরী করা। আপনার ক্লাসে শিক্ষক যে ট্রপিক পড়াবে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আপনাকে অবশ্যই নোট করতে হবে। নোট করার সময় স্যারের কথাগুলো অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে ও বুঝতে হবে। নতুবা নোট করে কোন লাভ হবে না।

প্রশ্ন করার অভ্যাসঃ আপনি যদি কোন একটা ট্রপিক ভালোভাবে বুঝতে চান তবে অবশ্যই সে বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। একটা ট্রপিক বোঝার সময় আপনার মনে অনেকগুলো প্রশ্ন তৈরি হবে। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হয়তো বা আপনি পারবেন না।

 একজন শ্রেণী শিক্ষক কিংবা বন্ধু-বান্ধবকে প্রশ্ন করে সেই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করতে হবে। তাই আপনার ভিতরে ছাত্র অবস্থায় অন্যজনকে প্রশ্ন করার দক্ষতা তৈরি করতে হবে। অনেকে শ্রেণিকক্ষে ভয় কিছু না বুঝলেও শিক্ষককে প্রশ্ন করেনা।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোঃ একজন মানুষের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য উপাদান হলো ঘুম। কারণ পরিপূর্ণ ঘুমের অভাবে মানুষের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে দুর্বল বা রোগা পাতলা হতে পারেন। প্রতিদিন না ঘুমালে পড়া মুখস্ত করতে ব্যর্থ হবেন।

 এছাড়া অনেক দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমালে আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে। এতে করে আপনার পড়াশোনার ব্যাঘাত করবে। ছাত্র জীবনে সফল হতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

বড় পাঠকে ছোট ছোট করে পড়াঃ ছাত্র জীবনে সফল হওয়ার উপায় বলতে বুঝি ছাত্র জীবনের কর্তব্যগুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করা। ছাত্র জীবনের কর্তব্য গুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে পড়াশোনা করা। আর এই পড়া যখন আপনার সহজে মুখস্থ হবে না তখন আপনি চাইলে বড় কোনো পড়ারপাঠকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে সেটা পড়তে পারেন। এতে আপনার পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে।

পড়ার মাঝে বিরতি নিনঃ অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যেই একটা সব দেখা যায় যে, তারা যখন পড়ে তখন একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা পড়তেই থাকে। তা নিত্যান্তই অমূলক। কেননা এর ফলে পড়া তো মাথায় ঢুকেই না বরং আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কেননা মানুষের মস্তিষ্ক কোন কাজে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা একনাগারে মনোযোগ দিতে পারে। 

আর কাজটা যদি হয় পড়াশোনার মত তাহলে তা নেমে আসে ৪৫-৬০ মিনিটে। তাই পড়ার ক্ষেত্রে ৪৫-৬০ মিনিট পর পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন। মনকে সতেজ করতে শুনতে পারেন ইসলামিক গান। তবে অনলাইনে একদমই ঢোকা যাবে না।

পড়তে হবে বুঝে বুঝেঃ কোন পাঠ না বুঝে পড়া আর চোখে কাপড় বেঁধে কোন গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করা দুটোই ক্ষতিকর ও অকার্যকর। অনেক শিক্ষার্থীই পার না বুঝেই তোতা পাখির মত মুখস্ত করে। এতে করে পরীক্ষায় সে ভালো নম্বর পায় ঠিকই কিন্তু বাস্তবে সে কিছুই শিখতে পারে না। তাই পড়ার সময় আপনার সকল পাঠ ভালোমত বুঝে পড়তে হবে। 

কোন অধ্যায়, নতুন করে পড়তে যাওয়ার আগে পুরো অধ্যায়ের সকল ট্রফিকগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে যেতে হবে। এতে বুঝতে আপনার সহজ হবে। এভাবে পড়লে মুখস্ত না করে বুঝে কয়েকবার পড়লে অনেক জটিল বিষয়কেও ও সহজে আপনি আয়ত্ত করতে পারবেন।

সফলতা অর্জনের দোয়াঃ

জীবনে সফলতা লাভের ইচ্ছা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই। আর এই সফলতার পেছনে মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছে। এভাবে সফলতার পেছনে ছুটে বেড়ালে চলবে না জানতে হবে সফলতা লাভের উপায় এবং নিয়মগুলি। শুধু উপায় আর নিয়ম জানলেই হবে না বাস্তব জীবনে এগুলো কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে সেটাও জানতে হবে।

 সঠিকভাবে সফলতা লাভের উপায় গুলো প্রয়োগ করতে না পারার জন্য অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা লাভ করতে পারে না। সফল হতে হলে প্রত্যেককেই মহান আল্লাহর দেখানো পথে যেমন হাঁটতে হবে তেমনি দুনিয়ার সব কাজে সফল হতে আল্লাহর কাছে তারই শেখানো ভাষায় সাহায্য কামনা করতে হবে। সাহায্য প্রার্থনার ভাষা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

তবেই দুনিয়ার সব সফলতা লাভের সফল হবে মানুষ। কুরআনুল কারীমের এ আবেদনই মানুষকে সর্বোত্তম সফলতার পথে পরিচালিত করব, যার বেশি বেশি পড়ার পাশাপাশি এর ওপর আমলও করতে হবে। তবে মুমিন বান্দা সফলতা লাভে সফল হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرًا

উচ্চারণ: রাব্বি আদখিলনি মুদখালা সিদকিও ওয়া আখরিঝনি মুখরাঝা সিদকিও ওয়াঝআললি মিল্লাদুংকা সুলত্বানান নাসিরা। (সুরা বনি ইসরাইল: আয়াত ৮০ )

অনুবাদ: হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে সত্য রূপে প্রবেশ করান এবং আমাকে বের করুন সত্য রূপে। আমাকে আপনার কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় সাহায্য দান করুন।

জীবনে সফলতা পেতে বেশি বেশি এই আয়াত পড়ার পাশাপাশি এই আয়াতের বাস্তব আমলে নিজেদের সাজানোর বিকল্প নেই। তবেই সম্ভব ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকলী, লেখাপড়া সহ যাবতীয় কাজকর্মে সফলতা লাভ করা।

পরিশেষেঃ

সফলতার অর্থ একেক জনের কাছে একেক রকম। কেউ চায় ব্যবসায় সফল হতে, কেউ চায় লেখাপড়ায় সফল হতে আবার কেউ চায় চাকরি-বাকরিতে সফলতা। যে যে মাধ্যমেই হোক কিন্তু সবারই উদ্দেশ্য একই সেটা হচ্ছে সফল হওয়া। 

আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জীবনে কিভাবে সফল হওয়া যায় তার উপায়, ছাত্র জীবনে কিভাবে সফল হওয়া যায় তার উপায় এবং সফল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা উপকৃত হবেন।

 তবে আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে মতে শেয়ার করবেন যাতে অন্যরা করার সুযোগ পায়। পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েব সাইডটি ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url