জমজম পানি দাঁড়িয়ে পান করতে হয় কেন ? এবং জমজমের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও ফজিলত
জমজমের পানি কতদিন রাখা যায়?প্রিয় বন্ধুগণ, রমজানের পানি দাঁড়িয়ে পান করা করতে হয় কেন? এবং জমজমের পানি খাওয়ার উপকারিতা জানার জন্য আপনারা অনেক খুঁজেখুঁজি করেছেন। কিন্তু কোথাও মনের মত সমাধান পান নাই। আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা ও ফজিলত বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।
নিচে এই আর্টিকেলে আমরা জমজম কূপের পানির পরিচয়। জমজম কূপের পানি খাওয়ার নিয়ম এবং জমজমের পানি দাঁড়িয়ে খেতে হয় কেন ইত্যাদি আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন।
ভূমিকাঃ
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বরকতময় পানি হচ্ছে জমজমের পানি। এ পানি অত্যন্ত তাৎপর্য ও ফজিলতপূর্ণ পানি।এ পানি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে পারে। জমজম কূপের পানি নবী ইব্রাহিম ( আ.) এর ছেলে নবী ইসমাইল ( আ.) এর স্মৃতিবিজড়িত পানি। জমজমের পানি হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত।
এ পানি পানের মাধ্যমে তৃষ্ণা নিবারণ হওয়ার সাথে সাথে মনেও প্রশান্তি আসে। জমজমের পানি পৃথিবীর অন্যান্য পানি তুলনায় সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি। এই পানির মধ্যে কোন ক্ষতিকর পদার্থ নেই। তাই জমজমের পানি পান করার নিয়ম কি এবং এর উপকারিতা কি আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে পুরোপুরি জানাতে যাচ্ছি।
জমজম কূপের পানির পরিচয়ঃ
জমজম মসজিদুল হারাম এর কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব হলো মাত্র ৩৮ গজের। জমজম কূপ নবী ইব্রাহিম ( আ.) এর ছেলে নবী ইসমাইল ( আ.) এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ।
হজ ও ওমরাহ আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুজতাহাব। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি ( সা.) নিজের জমজম থেকে পানি পান করেছেন। ( সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৫৬)
জমজম কূপের পানি খাওয়ার নিয়মঃ
জমজম থেকে পানি পানকারী ব্যক্তির জন্য সুন্নত হলো পুরোপুরি ভাবে পরিতৃপ্ত হয়ে পানি পান করা। ফকিহগণ পানি পানের কিছু আদব উল্লেখ করেছেন, যেমন-কিবলামুখী হওয়া, বিসমিল্লাহ বলা, তিন শ্বাসে পান করা, পরিতৃপ্ত হওয়া, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি।
জমজমের পানি ইবাদত মনে করে পান করা উচিত। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হল দোয়া করা। তাছাড়া জমজমের পানের গুণাগুণ উপকারিতা অনেক। এ পানি পানে নিয়ত অনুযায়ী উপকারিতা পায় মুমিন। হাদিসে এসেছে-
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার পাওয়ার আশায় পান করা হবে; তা অর্জিত হবে বা সে উপকার পাওয়া যাবে। ( ইবনে মাজাহ )
আবার এ পানিপানের সঙ্গে ঈমানের বিষয়টিও জড়িত। হাদিসে পাকে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ ও তা পান করার বর্ণনা করে উল্লেখ করেন-
হযরত মুহাম্মদ হযরত মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন আবু বাকর (মাকবুল) বর্ণনা করেন, আমি হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে বসা ছিলাম। (এমন সময়) এক ব্যক্তি তার কাছে এলে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কোথা থেকে এসেছো? সে বলল-জমজমের কাছ থেকে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-তুমি কি তা থেকে প্রয়োজন মত পানি পান করেছ? সে বলল-তা কি রূপে? তিনি বললেন, তুমি তা (জমজম) থেকে পান করার সময়-
- কেবলামুখী হবে।
- আল্লাহর নাম স্মরণ করবে।
- তিনবার নিঃশ্বাস নেবে এবং
- তৃপ্তি সহকারে পান করবে।
- পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে।
কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তি সহকারে জমজমের পানি পান করে না। (ইবনে মাজাহ)
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণনায় এসেছে, জমজমের এ পানি দাঁড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে তিন নিঃশ্বাসে পান করা সুন্নত। বরকত ও উপকার পাওয়ার আশায় জমজমের পানি পান করার সময় এ দোয়া করাও উত্তম-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ,ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া,ওয়াশিফাআন মিন কুল্লি দায়িন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত রিজিক এবং যাবতীয় রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করছি। (সারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম)
মুসলমানের উচিত, জমজমের পানি পানের বিশেষ উপকারিতা পেতে যথাযথ সম্মান ও দোয়ার সঙ্গে পান করা। পূরণে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় এ পানি পান করা।
জমজমের পানি দাঁড়িয়ে খেতে হয় কেন?
জমজম কূপের পানি মহান আল্লাহ প্রদত্ত একটি নেয়ামত। আমরা জানি, সাধারণত পানি বসে পান করা সুন্নত। কিন্তু জমিদার পানি দাঁড়িয়ে খাওয়ার বিধান রয়েছে ইসলামে। এটা কেন? এ বিধান কতটুকু কোরআন-হাদিস সম্মত?
সাধারণত বা স্বাভাবিক নিয়মে পানি বসে পান সুন্নত। এ ব্যাপারে রাসুল ( সা.)-এর হাদিস রয়েছে এবং এ বিষয়টির প্রতি রাসূল ( সা.) গুরুত্বারোপও করেছেন।
হযরত আনাস ( রা.) থেকে বর্ণিত, নবী ( সা.) দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করাকে তিরস্কার করেছেন। ( মুসলিম শরীফ ৫১১৩, বাংলা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত )
হযরত আবু হুরায়রা ( রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন-তোমাদেরকে যেন দাঁড়িয়ে পানি পান না করে। (মুসলিম শরীফ ৫১১৮, বাংলা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত) সুতরাং পানি বসে খাওয়ার সুন্নত এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ বা সমস্যা নেই। এখন প্রশ্ন হল জমজম কূপের পানি বসে পান করতে হবে নাকি দাঁড়িয়ে পান করতে হবে-এ ব্যাপারে ইসলামি দিক-নির্দেশনা কি?
হযরত ইবনে আব্বাস ( রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.) কে জমজমের পানি পান করিয়েছি। তিনি তা দাঁড়িয়ে পান করেছেন। (বুখারি ১৬৩৭,৫৬১৭, মুসলিম ২০২৭, তিরমিযি ১৮৮২)
এছাড়া রাসুল (সা.) থেকে আরো আলোচনা পাওয়া যায়। হযরত জাবের ( রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন-জন্মের পানি যে জন্য পান করা হয়ে থাকে; তা সে জন্যই হবে। অর্থাৎ জমজমের পানি পান যে উদ্দেশ্যে করা হবে তাই পূর্ণ হতে পারে। ( সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩০৬২; মুসনাদে আহমাদ, ১৪৮৪৯ )
বিজ্ঞ ফকিহ বা ইসলামী স্কলারদের মতে, জমজমের পানি কে কিবলা দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নত না, মুস্তাহাব একটি আমল এবং এটাকে খুব গুরুত্ব প্রদান করা বা আবশ্যক ভাবা ঠিক না। এছাড়া অন্য ফকিহরা বলেছেন, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা মুস্তাহাবও না, গরম জায়েজ। ( ফাতওয়ায়ে শামী- ১/২৫৪-২৫৫ )
জমজম কূপের পানি রাসুল (সা.) দাঁড়িয়ে পান করেছেন, মর্মে সহিহ হাদিস রয়েছে। তবে তিনি জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করার নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোন সহীহ হাদিস নেই বা খুঁজে পাওয়া যায় না।
গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জমজমের পানি পান করার জন্য দাঁড়িয়েছেন, ব্যাপারটি এমন নয়। যখন তিনি জমজমের পানি পান করেছে, তখন সেখানে বসার মত কোন ব্যবস্থা ছিল না।
ফলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে জমজমের পানি পান করেছেন। সুতরাং বিষয়টিকে খুব কঠিন ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই এবং জমজমের পানিকে দাঁড়িয়ে পান করার বিধান বানানো বা আবশ্যক হবার কোন অবকাশও নেই।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্থিতির কারণে জমজমেরপানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন। এখন পরিস্থিতি অনুকূলে থাকার পর বা বসার ব্যবস্থা থাকায় জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান না করাই উচিত।জমজমের পানি খাওয়ার দোয়াঃ
জমজমের পানি আল্লাহর কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন। জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি। অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এই পানি। দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া কোন ইবাদত সম্পূর্ণ হয় না। যে কোন সময় যে কোন দোয়া পড়া যায়।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক জমজমের পানি পানের দোয়া-
للّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযক্বন ওয়া শিফা আম মিন কুল্লি দা ইন।
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম এবং হালাল প্রশস্ত রিযক এবং সর্বপ্রকার রোগের শিফা চাচ্ছি।
জমজমের পানিতে অন্য পানি মেশানোর বিধানঃ
জমজমের পানিতে অন্য পানি না মিশিয়ে খাওয়াই ভালো। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা সাহাবায়ে কেরাম কখনো এর সাথে অন্য পানি মিশিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায় না-যদিও তৎকালীন মক্কা থেকে দূরে অবস্থানকারীদের জন্য জমজমের পানির সংগ্রহ করা সহজ ছিল না। তবে আলেমগণ বলেন, যদি তার সাথে অন্য পানি মেশানো হয় তাহলে তার উপকারিতা ও ফজিলত ততটুকু কমে যাবে যতটুকু অতিরিক্ত পানি মেশানো হয়েছে।
জমজমের পানি পানের ফজিলতঃ
হযরত আবু জর ( রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি ( সা.) বলেছেন, জমজমের পানি বরকতময়, সাপ অন্বেষণকারীর খাদ্য। ( সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩)
মুসনাদে তায়ালুসিতে এই হাদিসের একটি বর্ধিত বংশ অংশ উদ্ধৃত হয়েছে, এবং রোগীর ঔষধ। আয়েশা ( রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ( সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। ( সুনানে তিরমিজি )
বর্ণনা থেকে এ কোথাও জানা যায় যে, জমজমের পানি বহন করা জায়েজ। আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো নবীর সুন্নত।
জমজমের পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
জমজম কূপ আল্লাহ খুব আল্লাহর নিয়ামতের এক বিশেষ নিদর্শন। এই পানি অত্যন্ত বরকতময় এবং ফজিলতপূর্ণ। রোগ নিরাময়, ক্ষুধা নিবারণসহ জমজম কূপের পানির আরও অনেক উপকারিতা আছে। বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন গবেষণা করে জমজমের পানিতে অনেক ধরনের উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো-
- সাধারণ পানির তুলনায় জমজমের পানিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সামান্য বেশি।
- জাপানের বিখ্যাত গবেষক মাশারু এমোতো জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার মতে, জমজমের পানির এক ফোঁটা এক হাজার ফোটা সাধারণ পানিতে মেশানো হলে ওই পানিও জমজমের পানির বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। তিনি আরো বলেন, জমজমের পানির মত বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।
- পানি বিশেষজ্ঞ ড. ইয়াহইয়া খোশগে জমজম কূপের পানির বিশুদ্ধতা কতটুকু তা নির্ণয় করার জন্য আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করেছেন। এই পরীক্ষার পর তিনি বলেন, জমজমের পানিতে কোন ধরনের দূষণকারী পদার্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
- শুধু জাপান নয়, জার্মানিতেও জমজম কূপের পানি নিয়ে অনেকেই বিস্তর গবেষণা করেছেন। তার মধ্যে একজন জার্মান বিজ্ঞানী নাট ফিফার। তার গবেষণা মতে, জমজমের পানি আশ্চর্যজনকভাবে দেহের সেল সিস্টেমের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
- জমজমের পানি ফ্রেঞ্চ আল্পসের পানি থেকেও বিশুদ্ধ। সেখানে ফ্রেঞ্চ আল্পসের পানির প্রতি লিটারে বাইকার্বনেট এর পরিমাণ ৩৬৬ মিলিগ্রাম।
- জমজমের পানিতে ফ্লুরাইডের উপস্থিতি থাকায় এর জীবননাশক ক্ষমতাও আছে।
- জমজম কূপের পানি রাসায়নিক গঠন অ্যালকাইন প্রকৃতির, যার শরীরের অতিরিক্ত এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও হৃদযন্ত্রে গঠিত বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
মন্তব্যঃ
জমজমের পানির উপকারিতা ও ফজিলতের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া এই পানি মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতে হয় কেন এবং জমজমের পানি পানের উপকারিতা ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জমজমের পানি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু মানবের সাথে শেয়ার করবেন।
তাছাড়া আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইডটি ভিজিট করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url