ফুটবল জগতে বিশ্বের সেরা গোলকিপার কে বিস্তারিত জানুন

কেউ জানতে চায় কে সেরা বলার ফুটবলার, কে সেরা গোলকিপার ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। তাছাড়া একটা টিমকে জিতানোর জন্যজন্য একজন গোলকিপারের অবদান বা গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে। এজন্য একজন গোলকিপারের দায়িত্ব থাকে প্রচুর। তার তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে দলের হারা- জেতা।

যিনি দলের কিপার বা রক্ষক গোল পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে মুখে দিয়ে বল রিসিভ করে তাকে আমরা গোলকিপার বা গোলি বলে থাকি। গোলরক্ষক হচ্ছে ফুটবলের অন্যতম প্রধান অবস্থান। এটি খেলাধুলায় সর্বাধিক বিশেষায়িত অবস্থান।

বর্তমান বিশ্বে ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। এজন্য এই খেলা নিয়ে অনেকেরই অনেক ধরনের আগ্রহ থাকে ফুটবল প্লেয়ারদের নিয়ে। আজকে আমরা জানাতে যাচ্ছি বর্তমান বিশ্বের সর্বকালের সেরা গোলকিপার কে? বর্তমান বিশ্বের সেরা গোলকিপার হচ্ছেন: এমিলিয়ানো।

সেটা স্বীকৃতি হিসেবে তার হাতেই ওঠে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোভ। এর আগে অনেক গোলকিপার থাকলেও বর্তমানে এখন বিশ্বের সেরা গোলকিপার হচ্ছে এমিলিয়ানো।

এ মুহূর্তে ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে দামি গোলকিপার ব্রাজিলের অ্যালিসন। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয় ক্লাব লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন তিনি। পূর্বের ক্লাব রোমার সঙ্গে দুই বছরের সম্পর্কচ্ছেদ করে ৬৫ মিলিয়ন ইউরোতে নতুন ক্লাবে যোগ দেন এই ব্রাজিল সুপারস্টার। আজকে পাঠকদের সুবিধার জন্য বিশ্বের দামে ১০ জন গোলকিপার সম্বন্ধে জানানো হলো-

দল-বদলে নতুন রেকর্ড গড়ে ব্রাজিল গোলকিপার এলিনসনকে ৬৫ মিলিয়ন ইউরোতে কিনে নিয়েছে লিভারপুল। রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার সময় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেন তিনি। বিশ্বের নামি এর মধ্যে সবচেয়ে দামি গোলকিপার এখন ব্রাজিলীয়ান ফুটবলার অ্যালিসন।

অ্যালিসনের পর ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় দামি গোলকিপারের তকমাটা তারাই সতীর্থ (জাতীয় দল) অ্যান্ডারসনের। ২০১৭ সালে বেনফিকা থেকে ৩৫ মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে কিনে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০১৭ সালের সামার সিজনে ব্রাভোর বিনিময়ে রেকর্ড দামে তাকে কিনেছিল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

তুরিনের ওল্ড লেডিদের জীবন ভর ভালোবাসা দিয়ে গেছেন বুফন। যখন ফিফা থেকে ক্লাবটি নিষেধাজ্ঞায় পড়ে, তখন অনেকে ছেড়ে গেলেও মূল আকড়ে পড়েছিলেন এই ইতালীয় ফুটবলার। ২০০১ সালে তখনকার সময়ে রেকর্ড ৩২. ৬ মিলিয়ন ইউরোতে বুফনকে কিনেছিল জুভেন্টাস।

২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের নতুন হিরো জর্ডান পিকর্পফোডকে ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিওয়ে কিনে নেয় এভাটন।

সেই ২০১১ সাল থেকে বায়ান মিউনিখের সঙ্গে রয়েছেন জার্মান গোলকিপার ম্যানুয়েল ন্যুয়াল। জার্মান ক্লাবটির সঙ্গে যোগ দেওয়ার সময় তার ট্রান্সফার কি ধরা হয়েছিল ২১ মিলিয়ন ইউরো।

জার্মানির এই গোলকিপারের প্রতি আর্সেনাল ম্যানেজার এতই মুগ্ধ যে তাকে এক নাম্বার জার্সি গায়ে জড়ানো অনুমতি দেন। যা লেনোর জন্য সত্যিই গর্বের। এক সপ্তাহ আগে লেভারকুসেন থেকে ১৯.২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চেলসিতে যোগ দেন তিনি।

২০১১ সাথে গে থেকে সাল থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর গোল পোস্টের অতন্ত্র অতন্দ্র প্রহরির ভূমিকা পালন করেছেন স্পেনের গোলরক্ষক ডেভিড গিয়া। বর্তমানে অ্যাথলেটিকা মাদ্রিদ থেকে ম্যানচেস্টারে যোগ দেয়ার সময় রীতিমতো রেকর্ড করেন গিয়া। আর বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি।

প্রায় আট বছর আগে ফুটবল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইতালির গোলরক্ষক ফ্রান্সিসকো। শেষ নয় বছর ক্যারিয়ারের শেষ নয় বছর ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টারজিওন্যালের হয়ে খেলেছিলেন তিন। মজার ব্যাপার হলো, ক্লাবটির হয়ে খেলেছিলেন গ্রাাব্রিয়েল বাতিস্তা ও কোস্তা।

২০১৬ সালে গার্দিওয়ালা বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানচেস্টার যোগ দেয়ার পরই দল-বদল করেন ব্রাভো। তার এক বছর পর ওই ব্রাজিলীয়ান অ্যান্ডারসনকে ক্লাবে ভিড়ায় ম্যানচেস্টার। সাবেক কোচের প্রতি প্রতি আস্থার ফল হিসেবে ম্যানচেস্টার তাকে ১৫.৪ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তিবদ্ধ করে।

এমিলিয়ানোর পুরো নাম হচ্ছে: দামিয়ান এমিলিয়ানো মার্তিনেস রোমেরো। তার জন্য ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ (বয়স ৩১ বছর)। সে মার দেল প্লাতা, আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার উচ্চতা ১.৯৫ মিটার (৬ ফুট ৫ ইঞ্চি)। সে সব সময় এক নাম্বার জার্সি নিয়ে খেলেন।

এমিলিয়ানোর দুটো বাচ্চা রয়েছে। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। এমিলিয়ানোর ছেলের নাম সান্তি এবং মেয়ের নাম আভা।