OrdinaryITPostAd

ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তির উপায় এবং এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

ছাদের গরম কমানোর উপায়ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। এই পোস্টে আমরা ভ্যাপসা গরম থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তির উপায় এবং এসি ছাড়া আর ঠান্ডা রাখায় উপায় পুরোপুরিভাবে জানতে পারবেন।

নিচে আমরা অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ, অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় এবং অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তির উপায় এবং এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

ভূমিকাঃ

শীত শেষ হলেই শুরু হয় গ্রীষ্মকাল। আর গ্রীষ্মকালে থাকে প্রচন্ড তাপদাহ। যত দিন যাচ্ছে তত গরম বাড়তেই আছে। যা মানুষের সহ্য ক্ষমতা বাইরে চলে যাচ্ছে। অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে ছোট -বড় অনেকেই হৃদস্ট্রোক ছাড়াও আরো অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
 এত বেশি তাপদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো কিভাবে অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং এসি ছাড়া কিভাবে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়।

অতিরিক্ত গরম লাগার কারণঃ

শরীরে বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত গরম লাগে। কি কি কারনে অতিরিক্ত গরম লাগে তা নিচে দেওয়া হলো-


আবহাওয়াঃ বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে, আমাদের শরীরে ও বেশি গরম অনুভূত হয়।

আর্দ্রতাঃ বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘাম শুকাতে দেরি হয়, ফলে গরম বেশি অনুভূত হয়।

সূর্যের আলোঃ সরাসরি সূর্যের আলোতে থাকলে শরীরে তাপ বৃদ্ধি পায়।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ ধোঁয়া, ধুলোবালি এবং দূষণযুক্ত বাতাসের শ্বাস নেওয়া গরমের অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।

পোশাকঃ গাঢ় রঙের পোশাক এবং টাইট পোশাক শরীরের তাপ বের করে দিতে বাধা দেয়।

শারীরিক পরিশ্রমঃ ব্যায়াম, কাজ বা অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

কিছু ঔষধঃ কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে গরম লাগতে পারে।

হরমোনঃ মেনোপজের সময় মহিলাদের গরম থাকা একটি সাধারন লক্ষণ।

অসুস্থতাঃ জ্বর, ইনফেকশন এবং থাইরয়েড সমস্যার মধ্যে কিছু অসুস্থতায় গরম লাগতে পারে।

মানসিক চাপঃ উদ্বেগ, ভয়, এবং রাগের মত মানসিক চাপ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।

অতিরিক্ত ওজনঃ অতিরিক্ত ওজন শরীরের তাপ বের করে দিতে বাধা দেয়।

নির্দিষ্ট খাবারঃমসলাযুক্ত খাবার, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল গ্রহণ করলে শরীরের তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

অপর্যাপ্ত ঘুমঃ ঘুমের অভাব শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে।

হাইপারথাইরয়েডিজমঃ থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন উৎপন্ন করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

হাইপোথ্যালামাসের সমস্যাঃ মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই অংশে সমস্যা হলে অতিরিক্ত গরম লাগতে পারে।

ক্যান্সারঃ কিছু ক্যান্সার আছে যেগুলোর কারণে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়ঃ

গ্রীষ্মকাল শুরু হতে না হতে প্রচন্ড তাপদাহ শুরু হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই তাপমাত্রা বাড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ ও স্বাস্থ্য সমস্যা। অতিরিক্ত তাপমাত্রা বাড়ার কারণে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে-

মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকিঃ অতিরিক্ত গরমে অনেকের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। প্রচন্ড গরমে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় যেটা তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের সম্মুখীন করে। গরমে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় ঘুম দরকার। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নেওয়া যাবে না।। বেশি বেশি পানি বা পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে।

পানিশূন্যতাঃ গরমে সব থেকে বেশি যে সমস্যাটি হয় সেটা হল পানি শূন্যতা। তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়, সেই সাথে বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে দেখা দেয় পানি শূন্যতা। 

এই গরমে পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় পানি বা তরল খাবার খেতে হবে, সেইসাথে বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা এবং পানির বোতল সাথে রাখতে হবে। যতটা সম্ভব বাইরের পানীয় এবং খাবার পরিহার করতে হবে।

হিটস্টোকঃ সাধারণত অতিরিক্ত রোদে থাকার কারণে হিটস্টোক হয়ে থাকে। হিটস্টোক হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এমনকি তাপমাত্রা বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে সেই সঙ্গে শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়।

 বয়স্কব্যক্তি, শিশু, যারা কায়িক শ্রম করেন, হৃদরোগী এবং ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে আপনাদের সুবিধার জন্য হিটস্ট্রোকের লক্ষণ গুলো জেনে নেওয়া যাক-
  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস
  • বিভ্রান্তি এমনকি খিচুনিও হতে পারে, এলোমেলো আচরণ
  • তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব
  • মাংসপেশি ক্রাম্প বা দুর্বলতা
  • ত্বকে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত ঘাম/ঘাম না হওয়া
  • অবচেতন হয়ে যাওয়া।
করণীয়ঃ
  • দ্রুত অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গাতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে হবে
  • চোখে, মুখে এবং ঘাড়ে পানি দিতে হবে তবে গোসল করানো গেলে ভালো হয়
  • প্রচুর পরিমাণ পানি পান করাতে হবে
  • ফ্যান/এসির নিচে রাখলে ভালো হয়
  • অবস্থার উন্নতি না হলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিতে হবে।
চর্মরোগঃ অতিরিক্ত গরম যাদের ঘাম বেশি হয় তাদের শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয়া, যেমন-ঘামাচি/ছত্রাক সংক্রমণ। অনেকে ঘামাচি হলে সেখানে চুলকায় এবং সংক্রমনের সৃষ্টি হয়। ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে ঘামে ভেজা জামাকাপড় পরের দিন না ধুয়ে পড়া উচিত না।

ডায়রিয়া/বদহজমঃ অতিরিক্ত গরমে অনেকের সমস্যা দেখা দেয়। গরমে খাবার নষ্ট হয়ে যায় সেটা খেলে ফুডপয়জনিং বা বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই পঁচা-বাসি খাবার, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, লেবুর শরবত, আখের শরবত এসব না খাওয়াই ভালো এবং ফ্রিজের খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে গরম করে নিতে হবে। আর ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে পানি। স্যালাইন ও ডাবের পানি খেতে হবে।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়ঃ

শীত শেষ। বসন্তের হাওয়া গায়ে লাগলেও গরম অনুভূত হচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে গরমের তীব্রতা বাড়ছে। আর এ তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকেই নানা ধরনের উপায় খোঁজেন। নিম্নে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু উপায় আলোচনা করা হলো-
  • সরাসরি রোদে যাওয়া থেকে বা অধিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে মেলা বেলা ১১ টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরাসরি রোদে যাবেন না। এই সময়টা দিলে সবচেয়ে বেশি গরম থাকে।
  • সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য রোদ চশমা ব্যবহার করুন। এছাড়া সূর্যের আলোয় সরাসরি যাওয়ার পরিবর্তে মাথায় ছাতা, টুপি, পায়ে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
  • পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন।
  • শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানিও শরবত পান করতে হবে।
  • স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনির শরীর সজীব রাতে রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।
  • গ্রীষ্মকালীন ফুল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন।
  • মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফলও সবজি খান
  • প্রস্রাবের খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রং পানি স্বল্পতার লক্ষণ।
  • ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার দোয়াঃ

অতিরিক্ত গরমে পুড়ছে সারা দেশ। প্রচন্ড তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। অনলবর্ষী এ রোদ্দুরে বৃষ্টি নেমে এলে স্বস্তি মিলবে। প্রশান্তি ও রহমতের বারিবর্ষণে সিক্ত হবে ওষ্ঠাগত প্রাণ। স্নাত হবে চেয়ে ওঠা প্রকৃতি। আনন্দ উদ্বেলিত হবে জনমান। সজীবতা ফিরে পাবে প্রকৃতি। এই প্রচন্ড গরমের তীব্রতা থেকে মুমিনের জন্য রয়েছে শিক্ষা।

 কেননা, জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি। তাই এর থেকে জাহান্নামের প্রখরতা অনুমান করে গুনাহ থেকে মুক্তি থাকা চাই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা (বায়ু) মেঘালাকে সঞ্চালিত করে।

 অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে (মেঘমালাকে) স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও যে, তার মধ্য হতে বৃষ্টি ধারার নিকট হয় নির্গত হয়। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়। (সূরা রুম, আয়াত: ৩৮) গরম থেকে বাঁচার দোয়া দেওয়া হলো-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন যাওয়ালি নিমাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা


অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি , আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে।

اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক সচিবতা দানকারী, মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন।

গরম লাগলে করণীয়ঃ

যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। গরমের সময় ঘামের কারণে শরীর থেকে যে লবণ-পানি বের হয়ে যায় তার ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তাই গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস, ডাবের পানি, লবণ-চিনির শরবত, স্যালাইনের পানি বারে বারে খেতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে প্রস্রাবের গাঢ় রং পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়ঃ

প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া দিন দিন গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। বাইরে নয় ঘরেও অতিরিক্ত গরমের কারণে ঘরেও টিকে থাকা যাচ্ছে না। তারপর তো লোডশেডিং আছেই। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য আছে তাদের কথা না হয় বাদ দিলাম। 

কিন্তু যাদের এসি নাই বা এসি কেনার সামর্থ্য নেই তাদের ঘরে টিকে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি কিভাবে এসি ছাড়া খুব সহজেই ঘর ঠান্ডা রাখা যায়।

টেবিল ফ্যানের সামনে বরফ রেখে দিনঃ টেবিল ফ্যান এর সামনে একটি গামলায় আইস কিউব বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি রেখে ফ্যান ছেড়ে দিন। বরফ বা ঠান্ডা পানি এর আশেপাশে ঠান্ডা পরিবেশ তৈরি করবে এবং ফ্যানের বাতাস তা পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিবে।

 এর ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে শীতলতা ছড়িয়ে পড়বে। রাতে ভালো ঘুমের জন্য ঘুমানোর ঠিক আগে এই কাজটি করতে পারেন। সব থেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য তার আগে ঘরের দরজা জানালা গুলো বন্ধ করে দিন।

দুপুরে জানালা বন্ধ রাখুন অথবা উইন্ডো ব্লাউন্ড ফেলে দিনঃ দিনের বেলা জানালা দিয়েই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তাপ ঘরে প্রবেশ করে। তাই দিনে সরাসরি সূর্যের তাপ আসে এরকম জানালা বন্ধ রাখুন। পশ্চিমমুখী জানালা থাকলে দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত জানালা বন্ধ রাখুন ও নিয়ম প্রয়োজনে উইন্ডো বা ব্লাউন্ড ব্যবহার করুন বা পর্দার উপর ভারি চাদর দিয়ে দিন।

ঘরে ভারী পর্দা ব্যবহার করুনঃ ঘরের জন্য গাঢ় রঙ্গের ভারী পর্দা বেছে নিন। এ ধরনের পর্দা সূর্যের তাপ ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে দিবে না।

মেঝেতে বিছানা করুনঃ অতিরিক্ত গরম পড়লে মেঝেতে সবার অভ্যাস করতে পারেন। সিলিং থেকে দূরে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিছানার থেকে মেঝেতে কম গরম অনুভূত হয়। ঘুমানোর আগে মেচে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে নিলে গরম অনেকটা কম লাগবে।

ঘরে কম আসবাবপত্র রাখুনঃ ঘরে বেশি আসবাপত্র থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ঘরে গরম ও অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করে। প্রয়োজনীয় অল্প কিছু আসবাবপত্র দিয়ে ছিমছাম ভাবে ঘর সাজান যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে।

খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে দিনঃ ঘরের তাপমাত্রা সহজে কমাতে জানালা খুলে জানালা সামনে একটি ভেজা চাদর মেলে দিন। জানালা দিয়ে যে বাতাস আসবে সেটি ভেজা চাদর থেকে পানি শোষণ করে ঘরে শীতলতা ছড়াবে।

রাতে সব জানালা খুলে রাখুনঃ রাতের বাতাস সবসময়ই দিনের তুলনায় ঠান্ডা। সূর্যের তাপ কমে গেলে বিকালের দিকে জানালা- দরজা খুলে দিন যাতে পুরো বাসায় বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

চুলা বন্ধ রাখাঃ গরম চুলা গরম ঘরকে আরো উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেওয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

গাছ রাখুনঃ আপনি যদি ছোট ফ্ল্যাটেও থাকেন তবু কিছু গাছ লাগার চেষ্টা করুন। বেলকনিতে কিছু গাছ রাখুন। এতে বিশুদ্ধ বাতাস পাবেন সেই সঙ্গে গরমও অনেকটা কমবে। ঘরের মধ্যে ইনডোর প্লান্ট রাখতে পারবেন।এই প্রদ্ধতিও কার্যকর। বাড়িতে গাছ থাকলে মনও ভালো থাকবে।

পরিশেষেঃ

অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ ঘরে বাইরে কোথাও সামান্য স্বস্তি পাচ্ছে না। আর এই অতিরিক্ত তাপদাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে কিন্তু কোথাও সঠিক সমাধান পাচ্ছে না। যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং এসি ছাড়া কিভাবে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়।

 আপনারা যদি পুরো আর্টিকেল পড়েন এবং আমাদের সঙ্গে থাকেন আশা করি আপনারা আপনাদের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ। তাই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন যাতে আপনারা পড়ার সাথে সাথে অন্যদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। 

তাছাড়া আপনাদের কোন মতামত থাকলে জানাবেন এবং এরকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url