OrdinaryITPostAd

IELTS কি? IELTS কি কি কাজে লাগে এবং এর সুবিধা কি জানুন

IELTS করে লাভ কি?প্রিয় বন্ধুরা, IELTS কি? IELTS কি কি কাজে লাগে এবং এর সুবিধা কি এ সম্পর্কে হালকা-পাতলা জানা আছে কিন্তু পুরোপুরি জানা নেই। তাই আপনারা এ বিষয়ে পুরোপুরি জানতে চান। আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে IELTS সম্পর্কে পুরোপুরি জানাতে যাচ্ছি।

নিচেএই আর্টিকেলে IELTS এর পূর্ণরূপ কি? IELTS করতে কি যোগ্যতা লাগে ও আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

IELTS কি? IELTS  কি কি কাজে লাগে এবং এর সুবিধা কি জানুন

ভূমিকাঃ

বর্তমানে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী জীবনে আইইএলটিএস গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে যারা বিদেশে গিয়ে উচ্চ ডিগ্রি লাভ করতে চায় এবং জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় তাদের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস এর বিকল্প নেই।আইইএলটিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একজন ছাত্র খুব সহজেই বিদেশে গিয়ে ভালো ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাবে এবং উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পাবে।

 কিন্তু আইইএলটিএস করতে চাইলে এটা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে. তা না হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আজকে আর্টিকেলের আমরা IELTS এর পূর্ণরূপ কি? IELTS করতে কি যোগ্যতা লাগে, IELTS কি কি কাজে লাগে তার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাতে যাচ্ছি।

IELTS এর পূর্ণরূপ কি?

International English Language Testing System হলো একটি আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা যার মাধ্যমে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। IELTS ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে যারা বিদেশে পড়াশোনা বা কাজ করতে চায় তাদের জন্য আইইএলটিএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আইইএলটিএস এর ইংরেজি দক্ষতা মান সমর্থন করে। যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ইত্যাদি। এটি বৈশ্বিক অভিবাসনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষায় পরিচিত।

IELTS করতে কি যোগ্যতা লাগেঃ

বয়স, লিঙ্গ,জাতি, জাতীয়তা বা ধর্ম নির্বিশেষে যে কেউ আইইএলটিএস দিতে পারে, কিন্তু IELTS পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর প্রয়োজন। তাছাড়া IELTS স্কোরের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত থাকে।

IELTS কি কি কাজে লাগেঃ

শুধু বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যই নয়, এটি আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। এছাড়া ভালো স্কোর থাকলে বিভিন্ন আইইএলটিএস কেন্দ্রেও পড়ানোর সুযোগ পাবেন।

IELTS পরীক্ষার ধরনঃ

IELTS পরীক্ষার দুইটি ধরন রয়েছে।

১. আইইএলটিএস একাডেমিক মডিউল (IELTS Academic Module)

২. আইইএলটিএস জেনারেল মডিউল (IELTS General Training Module)

বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে দুটি আলাদা মডিউল তৈরি করা হয়েছে। তাই পরীক্ষার ধরনেও ভিন্নতা রয়েছে। বিদেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে আইইএলটিএস একাডেমিক মডিউল পরীক্ষা দিতে হবে আর যদি কাজেরউদ্দেশ্যে যান তাহলে আইইএলটিএস জেনারেল মডিউল পরীক্ষা দিলেই হবে।

IELTS এর সুবিধা কিঃ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করার জন্য বাধ্যতামূলক আইইএলটিএস করার প্রয়োজন হয়। আবার এমন অনেকগুলো দেশ আছে যে দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের জন্য আইইএলটিএস করার দরকার হয়। তবে যখন আপনি আইইএলটিএস করবেন। তখন আপনি বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধাভোগ করতে পারবেন। আর সেই সুবিধা গুলো হল-

বিদেশে পড়াশোনা করার যোগ্যতা অর্জনঃ বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে এমন অনেক দেশ আছে যে দেশে পড়াশোনা করার জন্য বাধ্যতামূলক IELTS করার প্রয়োজন হয়। তাই যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে আইইএলটিএস কোর্স করবেন, তখন আপনি সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।

বিদেশে চাকরি করার যোগ্যতা অর্জন করাঃ পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যে দেশগুলোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়ার আগে ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়। আর যখন আপনি আইইএলটিএস কোর্সটি করবেন। তখন আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো থাকবে। তখন আপনি সেই দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করার সুবিধা লাভ করতে পারবেন।

বিশ্বের ইংরেজি দেশগুলো সম্পর্কে ধারনাঃ যখন আপনি কোন সেক্টর নিয়ে পড়াশোনা করবেন। তখন আপনি সেই সেক্টর সম্পর্কে বিষয় জানতে পারবেন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আইইএলটিএস কোর্স করবেন, তখন আপনি বিশ্বের বিভিন্ন ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অভিবাসন এর যোগ্যতা অর্জন করাঃ এটা তো আমরা সকলেই জানি যে, কোন একটি দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করার সময় বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আপনার ভাষা দক্ষতা। অর্থাৎ আপনি যে দেশের নাগরিকত্ব নিতে চান, সে দেশের ভাষায় আপনি কতটুকু দক্ষ। 

সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর যখন একটি মানুষ আইইএলটিএস সম্পূর্ণ করবে, তখন সেই মানুষটি যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। সেই সুবিধাগুলো উপরে আলোচনা উল্লেখ করা হয়েছে। আর আপনি যদি এই সুবিধা গুলো ভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো স্কোর নিয়ে আইইএলটিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

IELTS পরীক্ষার নিয়মঃ

মূলত চারটি অংশ মিলিয়ে নেওয়া হয় আইইএলটিএস পরীক্ষা স্পিকিং (Speaking), লিসেনিং (Listening), রাইটিং (Writing) ও রিডিং (Reading)। লিসেনিং, রাইটিং এবং রিডিং পরীক্ষার জন্য ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে কোন বিরতিও দেওয়া হয় না।

 স্পিকিং পরীক্ষাটি অন্য বিভাগগুলোর সঙ্গে একই দিনে হতে পারে বা এক সপ্তাহ আগে বা দুইদিন পর পর্যন্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগেই তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

IELTS করতে কত টাকা লাগে ২০২৪ঃ

আইইএলটিএস পরীক্ষার খরচ আপনি যে দেশ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন তার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উপরন্তু, পরীক্ষার একাডেমিক এবং General Training এর খরচ ভিন্ন হতে পারে। 

যেমন জানুয়ারি ২০২৪-British Council, Mentors Education Uttara তে Academic Test দিতে লাগবে 22500 টাকা। IELTS পরীক্ষার খরা সাধারণত প্রায় $200 USD পর্যন্ত হয়ে থাকে।

IELTS পরীক্ষার খরচ পৃথক পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং স্থানীয় অপারেটিং খরচ, প্রশাসনিক খরচ এবং অফার করা যেকোনো অতিরিক্ত পরিষেবা সহ বিভিন্ন কারণ এর দ্বারা প্রভাবিত হয়।

 IELTS স্কোর কতঃ

IELTS পরীক্ষায় লিসেনিং, স্পিকিং, রিডিং ও রাইটিং এই চারটি বিভাগের ১ থেকে ৯ পর্যন্ত অর্জন করতে পারবেন। তাছাড়া এই চারটি বিভাগের স্কোর গড় করে আপনার প্রাপ্ত স্কোর দেওয়া হবে। প্রাপ্ত গড় স্কোরের মধ্যে ৬.০/৭.০/৮.০ পাবেন। স্কোর কত হবে তা আপনার পরীক্ষার ওপর নির্ভর করবে.

IELTS পরীক্ষা কেন্দ্র কোথায়ঃ

আইইএলটিএস পরীক্ষা নেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল। কাউন্সিলের ঢাকা চট্টগ্রাম সিলেট বরিশাল খুলনা কুমিল্লা রাজশাহী ও কক্সবাজারে কাগজে- কলমে এই পরীক্ষা দিতে পারবেন। আর বর্তমানে শুধুমাত্র ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেটে কম্পিউটারে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

ELTS পরীক্ষার কতদিন আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়ঃ

প্রতি বছর আইইএলটিএস এর একটি নির্দিষ্ট শিডিউল ১২ মাসের জন্য প্রস্তুত করা হয় যা British Council বা IDP এর ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আপনাকে তাদের সেই নির্দিষ্ট তারিখ দেখে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এবং পরীক্ষার তারিখের ১৫ দিন থেকে ১মাস আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

পরিশেষেঃ

আইইএলটিএস অনেকের কাছে স্বপ্নের মত। তাছাড়া অনেকেই মনে করেন আইইএলটিএস এ পাস করা মানে সোনার হরিণ পাওয়া। তাই আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আইইএলটিএস সম্পর্কে আপনাদের যত অজানা প্রশ্ন ছিল তা সবকিছুই তুলে ধরেছি।

 আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আইইএলটিএস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। তবে আর্টিকেল উপরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন যাতে অন্যরা পড়ার সুযোগ পায়।

 এতক্ষণ যাবৎ পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। তাছাড়া নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url