OrdinaryITPostAd

ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার ১০ টি উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?হ্যালো বন্ধুরা, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কম বেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হওয়ার উপায় আপনাদের অনেকেরই অজানা। তাই আপনারা এ বিষয়ে জানতে চান। তাই আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি কিভাবে খুব অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়া যায়।


নিচে আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং কি ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এবংফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার উপায় সহ আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার ১০ টি উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা জানুন

ভূমিকাঃ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশার প্রতি অনেকেই আকৃষ্ট বা ঝুঁকে পড়েছে। কারণ এটি একটি মুক্ত পেশা হওয়ায় এ পেশায় যে কেউ যেকোনো বয়সে প্রবেশ করতে পারে। তাছাড়া বর্তমান বাজারে চাকরি পাওয়া এতটাই কঠিন যে চাকরির পেছনে ছোটা মানে সোনার হরিণের পেছনে ছুটা।

 তাই অনেক যুবকেরাই এখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চাকরির পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করছে। যার ফলে তারা খুব সহজেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারছে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং মোটেই সহজ কাজ নয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত পরিশ্রম এবং ধৈর্যের একটি কাজ। যা সবার পক্ষে করা সম্ভব নয়।

 তাছাড়া অনেকেএকজন সফল ফ্রিল্যান্সার কিভাবে হওয়া যায় এর উপায় না জানার কারণে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। আর এজন্যই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যাওয়ার আগে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হওয়া যায়। আর আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্র।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারণ চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হল এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মত কাজ করতে পারবেন। দেখা গেল আপনার এখন কাজ করতে ইচ্ছা করছে না; আপনি করবেন না।

 আবার যখন কাজ করতে ইচ্ছা করবে তখন কাজ করতে পারবেন এতে কোন বাঁধা নেই। কিন্তু আপনি যদি অন্যের অধীনে চাকরি করেন তাহলে আপনার কাজ করার ইচ্ছা না করলেও বাধ্য হয়ে কাজ করতেই হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার?

ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। নিম্নে কয়েকটি প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো-

কনটেন্ট তৈরিঃ ফ্রিল্যান্সার লেখক, ব্লগার এবং বিষয়বস্তু নির্মাতা আকর্ষণীয় নিবন্ধ এবং বিপণন বিষয়বস্তু তৈরিতে তাদের দক্ষতা অফার করে।

গ্রাফিক ডিজাইনঃ প্রতিভাবান ডিজাইনাররা লোগো তৈরি, ওয়েব ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন এবং আরো অনেক কিছুর জন্য পরিষেবা প্রদান করে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডেভেলপাররা ওয়েবসাইট, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ এই ক্ষেত্রের ফ্রিলেন্সাররা ব্যবসার জন্য এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং পেপার ক্লিক বিজ্ঞাপন করেছেন পরিচালনা করে।

ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফিঃ ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফাররা ইভেন্টে স্মরণীয় মুহূর্তগুলি ক্যাপচার করে বা মার্কেটিং প্রচারণাভিযানের জন্য অত্যাশ্চর্য ভিজুয়াল তৈরি করে।

প্রোগ্রামিং এবং আইটিঃ প্রোগ্রামার, আইটি বিশেষজ্ঞ এবং সফটওয়্যার বিকাশকারীরা কোডিং, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য সমাধান প্রদান করে।

ভার্চুয়াল সহায়কঃ ভার্চুয়াল সহকারীরা ব্যবসা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশাসনিক কাজ, সময় নির্ধারণ এবং গ্রাহক সহায়তা পরিচালনা করে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার ১০ টি উপায়ঃ

নিঃসন্দেহে বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত ও স্বাধীন পেশা। বর্তমানে উন্নত ও এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়।এরকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে যারা ফ্রিল্যান্সিংকে তাদের জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

 এজন্যই মার্কেটপ্লেসগুলোতেও দিন দিন প্রতিযোগিতা বাড়ছে। আর এই প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে বা সফল হতে হলে বিভিন্ন টেকনিক বা উপায় জানতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে-

শেখা এবং পরিপূর্ণ দক্ষ হয়ে ওঠার বিষয় মনোযোগ দিতে হবেঃ টিকে থাকার জন্য সবার আগে যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হলো শেখা। কেননা গড়পড়তা বা মাঝে মাঝে মানে দক্ষতা নিয়ে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকা মুশকিল।

 সে ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে থাকুন, এ বিষয়টির উপর খুঁটিনাটি সবকিছু জানতে চেষ্টা করুন তাহলে সফলতা আসবে আপনার দোরগোড়ায়।

কঠোর পরিশ্রমঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। সাধারণ কর্মচারীর তুলনায় একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। কারণ আপনাকে নিজের কাজের মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

 তাই আপনাকে কাজের পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে প্রতিটা কাজেই আপনাকে পারফেক্ট ভাবে করতে হবে বা শিখতে হবে। 

যাতে কাজের গুণমান বজায় থাকে, আর কাজের গুণমান বজায় থাকলে তবেই আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে আরো কাজ দিতে উৎসাহী হবে। আর এসব কারণেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।

অধ্যবসায়ঃ ফ্রিল্যান্সিং আসলেই কঠিন কাজ এতে কোন সন্দেহ নাই। ক্লায়েন্টদের ধরে রাখতে আপনাকে আপনার কাজের ব্যাপারে সব সময় সিরিয়াস থাকতে হবে। আপনার ক্লায়েন্টদের সম্মান প্রদেশের জন্য আপনার উচিত আপনার কাজের বিষয়ে অবিচল থাকা।

 যেমন যখন একজন ক্লাইন্ট শেষ মুহূর্তে কোন প্রজেক্ট নিয়ে আসে তখন আপনাকে সেটাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার জন্য অবিচল থেকে তা শেষ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে। আপনাকে এই মুহূর্তে বা ডেট লাইনের প্রেসারে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, বরং এই পরিস্থিতিতে আপনাকে শক্ত থেকে কাজ উদ্ধার করতে হবে।

সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে সময় একটি অধিক মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সময়কে সাজিয়ে গ্রহণ করুন যাতে করে এর সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব হয়। টাইম ট্যাকার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন।

 নোট নেওয়ার জন্য এভার নোট, গুগল কিপ এর মত টুলস গুলোর হেল্প নিন। সময়মতো ক্লায়েন্ট এর কাজ সমাপ্ত করুন। সময়ানুবর্তিতা এবং দায়িত্বশীলতা ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।

নির্ভুল কাজটি নির্বাচন করুনঃ ফ্রিল্যান্সিং বাজারে প্রচুর কর্কশ লোকও রয়েছে। এ কারণে কাজ নেওয়ার প্রথমে ক্লাইন্ট বিশ্বাসী কিনা তা ভালো হবে যাচাই করে নিন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লায়েন্টের রেটিং কিরকম আছে, ক্লায়েন্টের ব্যাপারে অন্যদের রিভিউ কি বলে ইত্যাদি খেয়াল করুন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ক্লাইন্ট পেমেন্ট নিয়ে লুকোচুরি খেললে সরাসরিভাবে সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।

দ্রুত চিন্তা করার ক্ষমতা রাখুনঃ দ্রুত চিন্তা করার ক্ষমতা একজন এসে উন্নতির লক্ষ্যে থাকা যে কারো জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ফ্রিল্যান্সিং এর গতিশীল এবং সদা বিকশিত বিশ্বে অভিযোজন যোগ্যতা এবং দ্রুত চিন্তাভাবনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

ফ্রিল্যান্সাররা প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় ক্লায়েন্টের চাহিদা দ্রুত পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে ও প্রত্যাশিত প্রযুক্তিগত সমস্যা পর্যন্ত। এই চ্যালেঞ্জগুলির দ্রুত এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হওয়া শুধুমাত্র প্রকল্পগুলির সময়মতো সমাপ্তি নিশ্চিত করে না বরং নির্ভরযোগ্যতা এবং পেশাদারিত্বের জন্য একটি খ্যাতিও বৃদ্ধি করে।

নতুন কিছু শেখাঃ মৃত্যু পর্যন্ত নিজের দক্ষতাকে সামনের দিকে বাড়ানোর চেষ্টা থাকতে হবে। বিশ্বের সাথে আপডেট থাকা, স্কিল টেস্ট দেয়া, নতুন কম্যুনিটির সাথে যুক্ত হওয়া, আপনার জব ফিল্ড এর সাথে সম্পর্কিত নতুন বিষয়গুলো শেখা, কমিউনিকেশন এর দক্ষতা বাড়ানো ইত্যাদি বিষয়গুলো দিকে নজর দিন।

সমস্যার সমাধানের দক্ষতাঃ সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবসময়ই বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আর কারো উপর নির্ভর করার সুযোগ নেই।

 কাজেই নিজে নিজেই সকল সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে হবে। সমস্যা সমাধানে আপনি যত দক্ষ হবেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তত বেশি চাহিদা থাকবে আপনার। কাজেই নিজের সমস্যার সমাধানের দক্ষতার প্রতি নজর দিন।

উদ্যোগী মনোভাবঃ ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোগ নিতে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ আপনি নিজেই নিজের মালিক আর আপনি একাই আপনার কোম্পানি। আপনি কোন উদ্যোগ না নিলে কেউ এসে আপনাকে নিজের থেকে প্রজেক্ট দেবে না। তাই আপনাকে নিজেই নিজের উদ্যোগ নিয়ে প্রজেক্ট বা ক্লায়েন্ট খুঁজতে হবে। তা নাহলে আপনার অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

পেশাদারিত্বঃ কোট-টাই-স্যুট নয়, বরং প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব আনতে হবে আপনার কাজের পদ্ধতিতে। একজন পেশাদার হিসেবে আপনাকে নিজেকে পেশাদার ভাবে উপস্থিত করতে হবে।

 তা ক্লাইন্ট মিটিং হোক বা প্রজেক্ট ডেলিভারি সময় হোক-আপনাকে আপনার আচার- ব্যবহার এবং কাজ দুই ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে পেশাদারিত্ব মেনে চলতে হবে। আপনার ড্রেস আপ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও আপনার টোন- সব কিছুর উপরে আপনার পেশাদারিত্বের ছাপ ফুটিয়ে দিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাঃ

প্রতিটি কাজের মধ্যে সুবিধা ও অসুবিধা থাকে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অসুবিধা তুলনায় সুবিধাই বেশি থাকে। । নিম্নে সেই অসুবিধা গুলো আলোচনা করা হয়-

  • ফ্রিল্যান্সিংয়ে যথেষ্ট পরিমাণ সময়ের স্বাধীনতার রয়েছে। এখানে আপনার ইচ্ছামত আপনি কাজ করতে পারবেন।
  • নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করার স্বাধীনতা রয়েছে এখানে।
  • ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজের রেট বা মূল্য নির্ধারণের স্বাধীনতা রয়েছে। যা অন্য পেশায় নেই বললেই চলে।
  • ফ্রিল্যান্সিং করার সাথে সাথে আপনি প্রচুর টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখবেন যেটি আপনার ফ্রিল্যান্সিং লাইফের পাশাপাশি পার্সোনাল লাইফেও কাজে আসবে।
  • ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে বেশি প্রজেক্ট এর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
  • একজন ফ্রিল্যান্সার তার যোগ্যতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একই সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে সফলভাবে জড়িত রাখতে সক্ষম হয়।
  • নিজের কাজের পরিবেশ এবং সময়কে নিজের পছন্দমত নির্ধারণ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন একজন ফ্রিল্যান্সার।
  • ফ্রিল্যান্সিং টাকা ইনকামের একটি উৎকৃষ্টতম মাধ্যম হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধাঃ

ফ্রিল্যান্সিং এ যথেষ্ট পরিমাণ সুবিধা আছে এটা ঠিক কিন্তু এখানে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। যদিও সেটা সুবিধার তুলনায় কম। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অসুবিধা গুলো-

  • ফ্রিল্যান্সাদের মূলত দিনের বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয় যার ফলে ফিজিক্যাল একটিভিটি খুব কম হয়ে থাকে। সুতরাং এর ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ। ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, স্ট্রেস ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা, মুটিয়ে যাওয়া সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকার ফলে কোমরে দীর্ঘস্থায়ী বেদনার সৃষ্টি হতে পারে।
  • ফ্রিল্যান্সাররা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার ফলে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের রোদের সামনে খুব একটা যাওয়া হয় না যার ফলে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে।
  • দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারের সামনে বা একলা ঘরে থাকতে হয় বলে একাকীত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে, আর এই একাকীত্ববোধ থেকে আবার বিষন্নতার সৃষ্টি হতে পারে।
  • বেশিরভাগ সময় রাত জেগে কাজ করতে হয় বলে ঘুমের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর আয়ের কোন নির্দিষ্টতা নাই। কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর আয় অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। যেটি আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে।

সমাধানঃ

নিয়মিত ব্যায়াম করুন যেমনঃ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, হাটাহাটি করা ইত্যাদি কাজ করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিন, সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘুরতে বের হন, একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে না থেকে নিয়ম করে কিছুক্ষণ পরপর হাঁটাচলা করুন, কম্পিউটারের মনিটর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকুন এবং মনিটরের আলো কিছুটা কমিয়ে নিতে পারেন এর ফলে চোখের সমস্যা কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব হবে।

মাঝে মাঝে রোদে হাঁটাচলা করতে পারেন, যার ফলে ভিটামিন ডি-র অভাব প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া খাওয়া দাওয়া নিয়ম মেনে করুন, তাহলে এই সকল স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো অনেকাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

পরিশেষেঃ

ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। তাই এ পেশায় সফল হতে হলে একাধিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাথে ইংরেজি বিষয়ে ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এ আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি কিভাবে খুব অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হওয়া যায় যায় তার উপায় গুলো সময় সম্পর্কে।

 আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের পরিচিত আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া -প্রতিবেশীদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে আপনাদের সাথে সাথে তারাও পড়ার সুযোগ পায়।

 তাছাড়া এতক্ষণ ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ আর এরকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url