বর্ষাকালে চুল পড়ার কারণ এবং কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় বিস্তারিত জানুন
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়?হ্যালো বন্ধুরা, বর্ষাকালে চুল পড়ার কারণ এবং কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় আপনারা পুরোপুরি জানেন না। এজন্য অনেক জানার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোথাও মনের মত সমাধান পাননি। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে বর্ষাকালে চুল পড়ার কারণ এবং বর্ষাকালে কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাই আর্টিকেলটি যদি আপনারা পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনাদের বর্ষাকালে চুল নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
বর্ষাকালে চুলের সমস্যা কেন বাড়ে? বর্ষাকালে চুল পড়ার কারণ, বর্ষাকালে চুল পড়া রোধের উপায় আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সবার কাছে চুলের আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। আর এই চুল যদি অতিমাত্রায় পড়তে থাকে তাহলে মানুষের মনে কষ্টের শেষ থাকে না। প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক।
কিন্তু এর বেশি পড়া চুলের জন্য বড় সমস্যা। কিন্তু বর্ষাকালে এই চুল পড়া মাত্রা দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়। তাই আমরা অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ি চুল পড়া নিয়ে। আমরা বিভিন্নভাবে সার্চ দিয়ে থাকি চুল পড়া কিভাবে রোধ করা যায় কিন্তু কোথাও সেরকম কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না।
তাই আজকে আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা এই আর্টিকেলে চুল পড়ার কারণ, কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় এবং চুল পড়া রোধ করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বর্ষাকালে চুলের সমস্যা কেন বাড়ে?
বর্ষার আর্দ্র তাপমাত্রা চুলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা আটকে যেতে দেয়। এই আর্দ্রতা সহজে মাথার ত্বকে জঞ্জাল এবং ময়লা আটকে রাখে, যার ফলে চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে চুল পড়ে যায় এবংস্ট্রেস দুর্বল হয়।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বর্ষাকাল চুলকে নিস্তেজ ও ঝরঝরে করে তোলে। চুলে যে আর্দ্রতা আটকে যায় তা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের প্রজনন ক্ষেত্র। এটি চুলকানি এবং খুশকির প্রবণতা তৈরি করে।
বর্ষাকালে চুল পড়ার কারণঃ
চুল পড়া একটি মারাত্মক সমস্যা। সারা বছরে মাথা থেকে কোন না কোন কারনে চুল পড়তে থাকে। কিন্তু বর্ষাকালে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। বর্ষা গরম থেকে স্বস্তি দেয় ঠিকই, তবে চুল ও মাথার ত্বকে নিয়ে আসে সমস্যা। এ সময় চুলে খুশকি দেখা দেয়, চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে। আর এ কারণেই বর্ষাকাল অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ হতে পারে। চুল পড়ার কারণ জানাতে গিয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নিশিতা রাস্কার হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, " বর্ষাকালে মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়।
তাই স্বাভাবিকের চেয়ে চুল বেশি পড়ে"। তাছাড়া বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার কারণে মাথার ত্বকে ময়লা, ঘাম, দূষিত পদার্থ লেগে থাকতে পারে আর এ কারণেই চুল পড়ার হারও বাড়তে থাকে।
বর্ষাকালে চুল পড়া রোধের উপায়ঃ
অসহ্য গরমে থেকে বাঁচার জন্য সকলের প্রত্যাশা একটু বৃষ্টির। আর এই ভ্যাপসা গরমের পর বর্ষা এলে হাফ ছেড়ে মানুষ বাঁচে। কিন্তু এই বর্ষা এলে মানুষ আনন্দ পায় ঠিকই কিন্তু চুলের অবস্থা বেহাল হয়ে যায়। চুলে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। যেমন চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া, চুল ঝরা, তাছাড়া মাথায় চিরুনি দিলে চুলে ভরে যায়।
চুলের এমন অবস্থা হয় মনে হয় আর কয়েকদিন গেলেই মাথা খালি হয়ে যাবে। তবে কিছু টিপস ও উপায় মেনে চললেই বর্ষায় এড়াতে পারেন বর্ষায় চুলের এই সমস্যা। তবে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বর্ষাকালে চুল পড়া রোধের উপায় গুলো-
বৃষ্টিতে ভিজলেই আবার গোসলঃ বৃষ্টির পানির সাথে মিশে থাকে বায়ুমন্ডলের ধূলিকণা ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ। তাই বৃষ্টিতে ভিজলে আবার চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে স্ক্যাল্পে জমে থাকবে এই ধূলিকণা। ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়ার ভয় থাকে। তাই হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিন। এরপর স্ক্যাল্পে লেবুর রস দিন তাতে ধূলিকণা বেরিয়ে যাবে।
ভিজে চুলে চিরুনি নয়ঃ মনে রাখতে হবে সারা বছরই। তবে বর্ষায় ভালো করে চুল শুকিয়ে তবে চুল আঁচড়াবেন।জট ছাড়ানোর জন্য ব্যবহার করুন মোটা দাঁতের চিরুনি। ভিজা চুল আঁচড়ালে তা আরও ছিড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অবশ্যই ব্যবহার করবেন নিজের চিরুনি। কারণ বর্ষায় অন্যের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়ালে চুলের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
মাথা ঢেকে রাখুনঃ বর্ষার সময় বাইরে বের হলে মাথা ঢেকে রাখুন। এতে বর্ষার আর্দ্রতা থেকে বাঁচবে চুল। আবার মানানসই রঙিন টুপি বা স্কার্ফ থাকলে স্টাইলও হবে। চুলো বাঁচলো বর্ষায় বৃষ্টির পানি থেকেও বাঁচা গেল।
শ্যাম্পুর সঙ্গে কন্ডিশনারঃ শ্যাম্পুর পরে ভালো করে চুলে কন্ডিশনার দিন। বেশি করে কন্ডিশনিংয়ের প্রলেপ থাকুক চুলের ডগায়। যতটা মন দিয়ে চুলে কন্ডিশনার দেবেন, ততটাই যত্ন নিয়ে তা চুল থেকে ধুয়েও ফেলবেন। নয়তো হিতে বিপরীত হবে। এখন অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, বেশি তৈলাক্ত চুল হলে শ্যাম্পুর আগে ভিজে চুলে কন্ডিশনার দিতে। তারপর শ্যাম্পু করে নিলেই চুলের সুস্বাস্থ্য হাতের মুঠোয়।
গরম তেলের মালিশঃ যে ঋতুই হোক না কেন, তেলে চুল সবসময়ই তাজা। বর্ষার জন্য বেছে নি ন ঈষৎউষ্ণ তেল। ভালো করে তা মালিশ করুন স্ক্যাল্পে। বর্ষার আর্দ্রতায় চুলে যে জট পড়ে, তার হাত থেকে রেহাই পাবেন। স্ক্যাল্পে তেল ফিরিয়ে আনবে চুলের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা। তাছাড়া চুল মজবুত তো হবেই। সেই সঙ্গে মসৃণও হবে। চুল তেলতেলে হয়ে যাওয়ার ভয়ে বর্ষায় তেল থেকে দূরে থাকবেন না। বরং তেল মালিশের পরে শ্যাম্পু করে নিন।
হেয়ার স্টাইল কমিয়ে দিনঃ আপনি কি নিত্যনতুন স্টাইল করেন চুলে? জেল, হেয়ার সিরামের সঙ্গে না থাকে নানা রকম হেয়ার ডু? বর্ষায় ওদের ভুলে থাকুন। এমনিতে বিভিন্ন কেমিক্যাল বা রাসায়নিক চুলের ক্ষতি করে। আর বর্ষার সেই ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। কারণ ঐ রাসায়নিক বা ক্যামিকেল স্ক্যাল্পে জমে চুলের ক্ষতি করে। তাই বর্ষায় চুলের জন্য থাকুক হালকা ডায়েট।
সাদামাটায় হোক স্টাইলঃ বেশি ঘোরপ্যাঁচের মধ্যে না গিয়ে চুল রাখুন সাধারণভাবে। লম্বা চুল হলে ঢিলে ঢালা হাতখোঁপা বা বিনুনি থাকুক। মাঝারি চুল হলে পনিটেল। ছোট চুল হলে খোলাই থাকুন।
কেরাটিনের জন্য প্রোটিনঃ ঝলমলে রাখার জন্য এক ও অদ্বিতীয় হল কেরাটিন। আপনার চলে যাতে কেরাটিনের অভাব না ঘটে, নজর দিন ডায়েটে। সেখানে যেন প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ডিম, শাক সবজির সঙ্গে রাখুন। ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিনস আর বাদাম। প্রচুর পরিমাণে পানি থাকতেই হবে খাবারের তালিকায়।
বর্ষায় চুলের সমস্যা গুলোঃ
বর্ষা ঋতু মানুষের জীবনে আনন্দ এনে দিলেও এটি চুলের জন্য মোটেই আনন্দকর নয়। ঋতু পরিবর্তনের সাথে মানুষের শরীরে যেমন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তেমনি চুলের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে জেনে নেয়া যাক চুলের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
চুল নিস্তেজ এবং ঝাপসা হয়ঃ বর্ষাকালে প্রায়শই চুল আর্দ্র হয়ে ফ্রিজি হয়ে যায়। যার ফলে চুলে বিভক্ত প্রান্ত সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকে চুলের আগায় গিঁট তৈরি হয়। আর্দ্রতা কারণে চুলের স্ট্র্যান্ডগুলিকে ফুলে উঠতে বাধ্য করে এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
সংক্রমণ এবং প্রদাহ বেড়ে যাওয়াঃ বর্ষার সময় চুল ময়লা এবং জীবাণু আটকাতে পারে না, যা সংক্রমণের উৎস হতে পারে। এটি মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলে প্রধান সৃষ্টি করে প্রদাহ সৃষ্টি করে। যার ফলে চুলের স্ট্র্যান্ডগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।
চুলের রং এড়িয়ে চলুনঃ বর্ষাকালে আপনার চুলের রং ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে আপনার চুল শুকিয়ে যেতে পারে এবং ক্ষতি হতে পারে।
হেয়ার ড্রায়ার এড়িয়ে চলুনঃ একটি হেয়ার ড্রায়ার বর্ষাকালে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু মনে হতে পারে, তবে এটির ব্যবহার আপনাকে এড়িয়ে চলা উচিত। বর্ষার আর্দ্রতার কারণে আপনার চুল এমনিতেই ভঙ্গুর থাকে যার কারণে এটি ব্যবহারে চুল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কন্ডিশনার ব্যবহার করুনঃ কন্ডিশনার চুলের স্ট্র্যান্ডের মধ্যে আর্দ্রতা লক করে। যেকোনো চুলের জটলাগে শান্ত করতে সহায়তা করে। বর্ষাকালে কন্ডিশনার ব্যবহার করা অপরিহার্য। তাই এটি আপনার বর্ষায় চুলের যত্নের রুটিনের একটি অংশ হওয়া উচিত।
আপনার ডায়েট দেখুনঃ বর্ষায় চুলের যত্নের একটা বড় অংশ হলো স্বাস্থ্যকর খাবার। আপনার ডায়েটে প্রোটিন এবং ভিটামিন- সমৃদ্ধ খাবার বাড়ান। এ সময়ে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ভারী খাবার এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমিয়ে দিন। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করে।
চুল বেশি ধুয়ে ফেলবেন নাঃ আপনি প্রতিদিন আপনার চুল ধুতে পারেন এই ভেবে যে এটি আপনার চুল পরিষ্কার রাখবে। কিন্তু এটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে ছিঁড়ে ফেলে দিবে। যার ফলে আপনার মাথার ত্বক শুষ্ক হবে এবং ঝরঝরে চুল থাকবে।
বর্ষাকালে চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাকের ব্যবহারঃ
বর্ষাকালে চুলের সমস্যা একটি সাধারণ ব্যাপার। অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে এবং অলসতার কারণে চুলের যত্ন করতে আমাদের মধ্যে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। আর এসব কারণে ই আমাদের চুলের দশা আরো খারাপ হয়ে যায়। এজন্য আমরা খুঁজি চুলের যত্নে ঘরোয়া কোন সমাধান যাতে সময়ও কম লাগে এবং টাকাও কম খরচে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসেই চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাকের ব্যবহার-
ডিম লেবু এবং মধুর প্যাকঃ এই প্যাকটি তৈরি করত। ২ টি ডিমের কুসুম এবং ১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ২ চা চামচ লেবুর রস এবং ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই পেস্টটি আপনার চুলে ভালোভাবে লাগান এবং শুকাতে সময় দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কলা এবংমেয়োনিজের প্যাকঃ চুলের বিভিন্ন দূষণ মোকাবিলার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত হেয়ার প্যাক। এটি তৈরি করতে ১ টি কলা মেশ করে নিন, এতে কিছু পরিমাণ মেয়োনিজ যোগ করে ভালোভাবে ঘন পেস্ট করে নিন। এবার চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু ও পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ভিনেগার ও মধুর প্যাকঃ একই সমান পরিমাণ ভিনেগার এবং মধু নিয়ে একটি পেজ তৈরি করুন পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এই মাক্সটি আপনার চুলের ১৫মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সোজা ও মসৃণ চুল পেতে বর্ষায় এটি বেশ কার্যকরী প্যাক।
নিম ও হলুদ এর প্যাকঃ এই দুটি উপাদান বর্ষাকালে আপনার চুলের খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকারী প্যাক হিসেবে সহায়তা করবে। কয়েকটি নিমপাতা পিষে নিয়ে তাতে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া যোগ করুন। মাথার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
মেথির প্যাকঃ মেথিদানা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেগুলো পেস্ট করে নিন। এই পেস্টটি এবার আপনার চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। তারপর ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করলে বর্ষাকালে চুল পড়া অনেকটাই কমে যাবে।
বর্ষাকালে চুলের যত্নঃ
বর্ষা মানুষের জীবনে স্বস্তি এনে দিলেও চুলের অবস্থা করে দেয় বেহাল। এজন্য বর্ষা এলে চুলের বাড়তি যত্ন নেয়া জরুরি। তাই জেনে নেওয়া যাক বর্ষাকালে কিভাবে চুলের যত্ন নেয়া যায়-
চুল পরিষ্কার রাখুনঃ আর্দ্রতার কারণে চুলে অতিরিক্ত তেল, ঘাম বা ময়লা জমে থাকে। যা দূর করতে নিয়মিত চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন। এত চুল ঝরঝরে থাকবে।
কন্ডিশনারঃ শ্যাম্পু করার পরে চুলকে মশ্চারাইজ এবং পরিচালনার যোগ্য রাখতে কন্ডিশনার ব্যবহার করু। কিছুক্ষণ মাথা রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত চুল ট্রিম করুনঃ প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুল ছাটাই করা উচিত। বর্ষাকালে এটি নিয়মিত অনুসরণ করুন। তাহলেই চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
পেশাদারদের সহায়তা নিনঃ আপনি যদি বর্ষাকালে চুলের সমস্যার সম্মুখ মুখোমুখি হন তবে পেশাদার হেয়ার স্টাইলিস্টের সাথে পরামর্শ করুন। তিনি আপনার চুলের সমস্যার দেখে সমাধানের পরামর্শ দিতে পারবেন।
চুল জোরে ঘষে মুছবেন নাঃ বর্ষাকাল হোক কিংবা অন্য কোন মৌসুম হোক চুল কখনোই তোয়ালে দিয়ে জোরে ঘষে ঘষে মুছবেন না। তাতে চুলের রুক্ষতা বেড়ে যায়, চুল ভেঙ্গে ঝড়ে যায়। চুল ভেজা থাকলে সুতি তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন। এড়িয়ে চলুন অহেতুক ঘর্ষণ, ভঙ্কুর চুল আর অপ্রয়োজনীয় রুক্ষতা।
স্টাইলিং করা বন্ধ রাখুনঃ বর্ষারন সিজনে চুল পড়া কমাতে চুলের যে কোন স্টাইলিং করা বন্ধ রাখুন। এই সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে খুব সহজে চুলে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে তাই চুলে যে কোন কেমিক্যাল প্রোডাক্ট বা হিট সহ্য করার ক্ষমতা কম থাকে।
পরিশেষেঃ
চুল পড়া নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাবে না তাহলে হিতে বিপরীত হবে। কারণ অনেক সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার কারণেও চুল পড়ে। তাই আমরা আপনাদেরকে চুল পড়ার যে কারণগুলো জানিয়েছি এবং কিভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় এবং বর্ষাকালে চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাকের ব্যবহার ও আরো অন্যান্য সমাধান জানিয়েছি ।
আর এই প্রক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে আশা করি চুলের আর কোন সমস্যা থাকবে না। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং পরিচিত বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করবেন ।
যাতে তারা পড়ার সুযোগ পায় এবং তারাও উপকৃত হয়। আর এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url