ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন মানুষ মোটা হওয়ার উপায় জানুন
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়?হ্যালো বন্ধুরা, আপনি অতিরিক্ত চিকন হওয়ার কারণে সমাজের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। তাই আপনি মোটা হতে চান এবং মোটা হওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জানতে চান। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজে মোটা হওয়া যায়। তাই আশা করছি পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকবেন তাহলে আপনাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
নিচে আর্টিকেলে আমরা মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়, মোটা হওয়ার ব্যায়াম সহ আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
বর্তমান সমাজের মানুষ ব্যাধিগ্রস্ত। কেননা কেউ যদি চিকন হয় সেটা নিয়েও সমস্যা আবার কেউ যদি মোটা হয় সেটা নিয়েও সমস্যা। তাহলে মানুষ যাবে কথায়। আমরা যেটাই করি সেটাই প্রবলেম। মানুষ বুঝতে পারে না যে এসব কিছুই মানুষের হাতে নয় এসব কিছু আল্লাহর হাতে।
তবে মানুষের জন্য নয় নিজের জন্য বিশেষ করে নিজেকে ফিট রাখার জন্য আমাদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। আর এজন্য সবকিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলেও হবে না আমাদেরও কিছু ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো প্রয়োগ করলে আমরা খুব সহজেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারি।
যদি আমাদের শরীরে কোন রোগ না থাকে। এজন্য অবশ্যই আমাদেরকে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে যদি ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানাজায় কোন ধরনের রোগ না থাকে তাহলে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারি। আর আজকে আর্টিকেলে আমরা সেই ঘরোয়ায় গুলোই আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
মোটা না হওয়ার কারণ কি?
বিভিন্ন কারণে মানুষ মোটা হতে পারে না বা ওজন বাড়ে না। এর কারণ হিসেবে ধরা হয় অনিয়মিত খাদ্যাভাস, জেনেটিক কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, আর্থাইটিস, যক্ষা, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ড্রাগ নেওয়া ইত্যাদি।
এছাড়া বয়সের জন্য মানুষের ওজন কম বেশি বা মোটা চিকন হতে পারে। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বা মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এই দিকগুলো লক্ষ রাখতে হবে।
মোটা হওয়ার উপায়ঃ
অতিরিক্ত চিকন বা পাতলা ঠেং ঠ্যাঙে শরীর কারোই কাম্য নয়। সবাই চায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে। তাই অনেকে বিভিন্ন ধরনের পথ অবলম্বন করেন শরীরকে মোটা করার জন্য। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক মোটা হওয়ার কিছু উপায়-
ঘনঘন খাবার খাওয়াঃ দিনে মাত্র তিনবার খাওয়ার পরিবর্তে বারবার বা দিনে ৫-৬ বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপনার তিনটি ভারী খাবার ছাড়াও, আপনার খাদ্য তালিকায় দিনে ২-৩ বার হালকা খাবার যোগ করুন। ব্রেকফাস্ট এর জন্য আপনি বাদাম বা বাদাম জাতীয় খাদ্য ও দুধজাত পণ্য রাখতে পারেন।
ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় চকলেট এবং অন্যান্য মিষ্টি আইটেম যোগ করতে পারেন। আর এই খাবার প্রতি তিন থেকে চার ঘন্টা আপনার শরীরকে সামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ঘুমানোর আগে দুধ পান করুনঃ যদি খুব দ্রুত মোটা হতে চান, তাহলে প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে দুধ এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। আর যদি মধু এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে না খেতে পারেন তাহলে আলাদা করে খেয়ে নিতে পারেন।
তাই ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করার চেষ্টা করুন এবং এক থেকে দুই চা চামচ বা তার বেশি পরিমাণে মধু খেয়ে নিন। এতে শরীর অতি দ্রুত মোটা হবে এবং শক্তি ফিরে পাবেন।
আপনার দেহে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করাঃ প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ডিম মুরগির মাংস ও পনির ইত্যাদি খাবারগুলি প্রোটিন সমৃদ্ধও উপযুক্ত চেহারার সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম করাঃ আমাদের অনেকেরই মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যেটা হলো ব্যায়াম করলে ওজন কমে যায়, এটা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। ব্যায়াম যেমন ওজন কমাতে সহায়তা করে তেমনি আবার ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে।
এক্ষেত্রে শুধু দৌড় ঝাঁপই যথেষ্ট নয়। দরকার প্রতিদিন নিয়ম করে জিম করা। জিমে অভিজ্ঞ এবং দক্ষতা সম্পন্ন ট্রেনার থাকে। যিনি আপনার ওজন এবং চেহারা দেখেই বলে দিবেন কোন ব্যায়াম আপনার জন্য করা দরকার।
বেশি বেশি ক্যালরি গ্রহণঃ আমরা অনেকে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি ক্যালরি বার্ন করি এবং কম ক্যালরি গ্রহণ করি। তবে এই ক্ষেত্রে উল্টোটা হবে যতটুকু ক্যালরি বার্ন করবেন তার দ্বিগুণ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদা তুলনায় বেশি ক্যালরি নিন।
ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করতে হবে আর যদি ওজন আস্তে আস্তে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ করলে আপনার ওজন বাড়বে।
সঠিক প্রোটিন গ্রহণঃ ওজন বৃদ্ধি করতে শুধুমাত্র ক্যালরিই যথেষ্ট না।ক্যালরির পাশাপাশি সঠিক প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। সঠিক প্রোটিন গ্রহণ না করলে ক্যালরি বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম ডাল ও দুধ বসে রাখবেন।
ড্রাই ফ্রুটস খাবেনঃ ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন। কারণ ড্রাই ফ্রুটসে আছে প্রচুর ক্যালরি ও ফ্যাট যা ওজন বৃদ্ধিতে অনেকটাই সাহায্য করবে।প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ২ টি কাজু ও ২ টি কিসমিস খাবেন। এটা কোনভাবেই ভুলবেন না।
আর সকালে নাস্তায় রাখুন আলমন্ড বা পেস্তা বাদাম। তাছাড়া ওজন বৃদ্ধিতে আপনার ডায়েট চার্টে বাদামের পরিমাণ বেশি রাখুন। আর এভাবে নিয়ম মেনে ড্রাই ফ্রুটস খেলে দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর আপনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন।
পর্যাপ্ত ঘুমানঃ শরীর ঠিক রাখতে যেটি খুব বেশি প্রয়োজন সেটি হল পর্যাপ্ত ঘুম। তাই একজন মানুষকে শরীর ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। এর থেকে কম হওয়া যাবে না। এছাড়া ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে পাবে এবং আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে।
টেনশন মুক্ত থাকুনঃ টেনশন হচ্ছে সকল সমস্যার মূল। তাই ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশন মুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও টেনশন মুক্ত থাকা খুবই আবশ্যক। আজকাল বিশেষ করে বর্তমান সমাজে টেনশন মুক্ত থাকা খুবই কঠিন ব্যাপার, তাও যথাসম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন।
মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়ঃ
মোটা হওয়ার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়ও আছে। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
- ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোটা হওয়ার জন্য আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালোরি এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
- সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের সাথে বাদাম এবং আখরোট গ্রহণ করুন। আপনার শরীরের যত বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করবে আপনার ওজন তত বেশি বাড়বে।
- খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করবেন না। আবার খাবার খাওয়ার মাঝখানে কম পানি পান করার চেষ্টা করুন। কারণ খাবারের মাঝখানেও পানি খেলে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে।
- খাবার সময় প্রোটিনজাতীয় খাবার আগে খান এবং শাক-সবজি পরে খান।
- ক্যালোরি যোগ করতে, যারা কফি খান নিয়মিত তারা কফিতে ক্রিম যোগ করুন।
- নিদ্রাহীনতা ও স্ট্রেস রোগা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে ও পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
- স্নাক্স বা নাস্তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে।
- অতিরিক্ত তেল ও ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না।
- দিনে তিনবেলা মূল খাবার ও এর ফাঁকে ফাঁকে তিন বেলা হালকা খাবারের ব্যবস্থা রাখুন।
- ধূমপান থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, কারণ ধূমপান ক্ষুধা নিবারক হিসেবে কাজ করে।
- শরীরকে যতটা সম্ভব বেশি বিশ্রাম দিন, প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমায়।
- প্রতিদিন অল্প অল্প করে খাবারের পরিমাণ বাড়ান। এর ফলে আপনার শরীর বেশি পুষ্টি শোষণ করবে এবং সেই সাথে আপনার ওজনও বৃদ্ধি পাবে।
- এছাড়াও একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি একটি ডায়েট চ্যাট অনুসরণ করতে পারেন।
- আপনার প্রতিদিনের খাবার এবং পানীয়ের একটি রেকর্ড রাখুন, যাতে আপনি জানতে পারেন যে, আপনি প্রতিদিন কত ক্যালরি গ্রহণ করছেন।
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়ঃ
মোটা হওয়ার যেমন ঘরোয়া উপায় রয়েছে, তেমনি ইসলামেও মোটা হওয়ার উপায় রয়েছে। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী মোটা হতে চাইলে আপনি সকালে খালি পেটে খেজুর এবং সাথে শসা খেতে পারেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রা:) বর্ণনা করেন- নবী করীম (সা:) শসা এবং খেজুর একত্রে খেতেন (সহীহ ইবনু মাজাহ ৩৩২৫)। এ কারণে শসা এবং খেজুর খাওয়া সুন্নাহ। তাই এই নিয়মটি আপনি প্রতিদিন অনুসরণ করতে পারেন।
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকাঃ
মোটা হওয়ার কথা আসলে আমাদের অনেকের মাথায় চিন্তা আসে কি খাব? এবং মোটা হতে গেলে কি কি খাবার খেতে হয়। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক মোটা হওয়ার জন্য যে ধরনের খাবার খাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে-
ভাতঃ এটি একটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। এক কাপ ভাতে প্রায় ২০০ ক্যালরি পাওয়া যায়, যা ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের ভাত খেতে পছন্দ করে। আমাদের দেশে দিনে ও রাতে সর্বনিম্ন দুইবার ভাত খাওয়া হয়।
আপনি যদি আপনার ওজন কত দ্রুত বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি সকালে ভাত খেতে পারেন। ভাতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে এবং এক কাপে ৪৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে ফলে এটি স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যেতে পারে।
আলুঃ আলোতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং আয়রন। এছাড়া আলুর কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালরির পরিমাণ বেশি, যা আপনাকে দ্রুত মোটা করতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে আলুর চাটনি বা ভর্তা খেতে পারেন।
এছাড়া আলুর সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর সবজি মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। ভাতের মতো আলু আমাদের দেশের মানুষের খুবই জনপ্রিয় খাবার। তাই আপনিও চাইলে আলু খেয়ে আপনার ওজন বাড়াতে পারেন।
লাল মাংসঃ গরুর মাংস, ছাগলের মাংস, ভেড়ার মাংসে প্রচুর প্রোটিন এবং ক্যালোরি রয়েছে যা আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করবে। লাল মাংশে প্রোটিনের পাশাপাশি অনেক চর্বি থাকে, যা শরীরের ওজন বাড়ায়।
এছাড়া এগুলো আপনার শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করবে। তবে আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে লাল মাংস অতিরিক্ত খাবেন না।
চর্বিযুক্ত ও তৈলাক্ত মাছঃ চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত মাছ হল প্রোটিন ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার। আপনি মোটা হতে চাইলে আপনার খাবারের তালিকায় চর্বিযুক্ত ও তৈলাক্ত মাছ রাখতে পারেন। ওমেগা-৩ এর সবচেয়ে ভালো উৎস হল মাছ। তাই আপনি প্রতিদিন মাছ খেতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ সবচেয়ে ভালো হবে। এছাড়া আপনি মাছ দিয়ে বিভিন্ন রান্নার রেসিপি তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন সবজির সাথে মাছ রান্না করে খেলে আপনার শরীরের উপকার হবে।
পনিরঃ পনিরে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ক্যালরি। যারা মোটা হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের উচিত ফুলফ্যাট পনির খাওয়া। এতে খুব দ্রুত মোটা হতে পারবেন।
দইঃ ফুলফ্যাট দইয়ে থাকে প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। বিকেলের স্ন্যাকস বা সকাল ও দুপুরের নাস্তা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে দই ও কলা খাওয়া যেতে পারে।
ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেটে রয়েছে চর্বি, উচ্চ ক্যালোরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যারা ওজন বাড়ানো নিয়ে ভাবছে, তারা ডার্ক চকলেট কেনার সময় ৭০ শতাংশ কোকো রয়েছে- এমন ডার্ক চকলেট কিনুন।
দুধঃ দুধে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, শর্করা ও প্রোটিন। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও ক্যালসিয়াম। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডিমঃ প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ডিম। এতে আরও রয়েছে স্বাস্থ্য করে চর্বি ও অন্যান্য পুষ্টিগুন। আর এই পুষ্টি গুণের বেশি ভাগই থাকে কুসুমের মধ্যে।
বাদামঃ যাদের অজান অতিরিক্ত কম, তারা ওজন বাড়াতে রোজ বাদাম খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর নাস্তার মধ্যে বাদাম অন্যতম।
কলাঃ ওজন বাড়াতে সহায়ক ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কলা। কারণ কলাতে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন ভিটামিন বি৬, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালোরি। ওজন বাড়াতে ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও কলা দিয়ে দই স্মুদি ও কেক বানিয়ে খেতে পারেন।
খেজুরঃ খেজুরের রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি, শর্করা, আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এছাড়া খেজুর কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ভিটামিন বি৬। শরীরের শক্তি জোগাতে ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে রোজ খেজুর খেতে পারে।
শেষ কথাঃ
বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের মোটা হওয়ার জন্য উচ্চ মূল্যের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো খেলে আপনারা খুব সহজে মোটা হতে পারবেন ঠিকই। কিন্তু এসব ওষুধের নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
তাই এসব ওষুধ ব্যবহার না করে আজকের আর্টিকেলে মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়েছি কিভাবে খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোটা হওয়া যায়। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে গেছেন।
আর যদি আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করবেন। পুরো আর্টিকে জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েব সাইটটি ভিজিট করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url