OrdinaryITPostAd

পরকীয়া প্রেমের উপকারিতা এবং পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায় জানুন

পরকীয়া থেকে মুক্তির দোয়াহ্যালো বন্ধুরা, আজকাল অনেক পরিবারে পরকীয়া সম্পর্ক দেখা দিচ্ছে কিন্তু এ পরকীয়া সম্পর্ক থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা অনেকেরই অজানা। অনেকেই ঠিকমতো এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। তাই উক্ত আর্টিকেলে আজকে আমরা পরকীয়া সম্পর্ক থেকে মুক্তির উপায় গুলো বিস্তারিতভাবে জানাতে যাচ্ছি।

নিচে আর্টিকেলে আমরা পরকীয়া কি, পরকীয়া প্রেমের লক্ষণ, পরকীয়া প্রেমের উপকারিতা ও পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায় সহ আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

পরকীয়া প্রেমের উপকারিতা এবং পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায় জানুন

ভূমিকাঃ

বর্তমান সমাজে পরকীয়া একটি সিরিয়াস বিষয় বা মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে ধরা দিয়েছে। এই পরকীয়ায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ তার জ্ঞান, বিবেক, বুদ্ধি সব হারিয়ে ফেলেছে। এমনকি পরকীয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের লাজ- লজ্জা বলতে কিছুই থাকে না।

 পরকীয়ার ধ্বংসাত্মক ছোবল শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি সন্তান থেকে শুরু করে পরিবার এমনকি সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে হলে পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায় জানতে হবে।

 আর আজকের আর্টিকেলে আমরা পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায় গুলো সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

পরকীয়া কি?

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককেই পরকীয়া বলা হয়। তাছাড়া বিবাহিত কোন ব্যক্তির (নারী বা পুরুষ) স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহ বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়াকে পরকীয়া বলে।

পরকীয়া প্রেমের লক্ষণঃ

বর্তমান সমাজে অনেক নারী- পুরুষ এখন পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু অনেক স্ত্রী বা স্বামী আছে যারা বুঝতেই পারে না যে তাদের জীবনসঙ্গী অন্য নারী বা পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়েছে। কোন নারী বা পুরুষ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হলে তাদের মধ্যে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। আসুন আপনাদের সুবিধার জন্য জেনে নেওয়া যাক সেই সেই লক্ষণগুলো:

গোপনীয়তা বাড়েঃ যারা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, তাদের চলাফেরা ও কাজকর্ম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজ। ফোনের কথোপকথন এবং অনলাইনে কার্যকলাপ সবকিছুতেই পরিবর্তন চোখে পড়ে।

 দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনার সঙ্গী যেন সব সময় আপনার কাছ থেকে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে। সব ধরনের ডিভাইসে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন। আর এমন ভাব দেখায় আপনার চোখের আড়ালে যেন তিনি সব সময়ই কাজে ব্যস্ত। আসলে আপনার সঙ্গে কি লুকানোর চেষ্টা করছে, আপনি কি সেটা বুঝতে পারছেন?

কিছু স্বীকার করে নাঃ আপনার সঙ্গীর পরকীয়ার বিষয়ে আজ করতে পেরে আপনি হয়তো তাকে প্রশ্ন করলেন। আর এই প্রশ্ন করার অধিকার আপনার রয়েছে। একজন জীবনসঙ্গী হিসেবে আপনি এই প্রশ্ন তাকে করতেই পারেন। কিন্তু তিনি কখনোই ঠিক উত্তর দেবেন না। 

নিজের পরকীয়া সম্পর্কের কথা কোনোভাবেই স্বীকার করবেন না। আপনি কেন এত প্রশ্ন করছেন, সেই কথাও বলতে পারেন

নতুন কোন নামঃ আপনার সঙ্গীটির মুখে যদি নতুন কোন একটি নাম ঘন ঘন শুনতে পান, তবে এটা পরকীয়ার একটি ইঙ্গিত।সঙ্গীর যে বন্ধুদের কথা আগে কখনো শোনেননি, এমন কারোর কথা ঘনঘন শুনলে তাকে জিজ্ঞেস করুন এবং তার মুখের ভাব লক্ষ্য করুন। যদি তিনি প্রশ্নের উত্তরে এড়িয়ে যায়, কিংবা তার মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায় তবে বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার।

আপনার প্রতিদিনের রুটিন খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করাঃ খেয়াল করে দেখুন আপনার স্বামী/স্ত্রী আপনার প্রতিদিনকার রুটিন সম্পর্কে অতিরিক্ত নজর দিচ্ছেন কিনা অর্থাৎ আপনি কোথায় আছেন, কখন বাসায় আসবেন এই ধরনের প্রশ্ন করছেন কিনা। তাহলে আপনি অবশ্যই নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনার চোখ এড়িয়ে নিরাপদে সম্পর্ক চালিয়ে যেতেই তার এত জিজ্ঞাসা।

আপনার প্রতি টান নেইঃ আপনার সঙ্গী আপনাকে এক সময় খুব ভালবাসতেন। তার পুরো পৃথিবীটাই ছিল আপনাকে ঘিরে। সুযোগ পেলেই আপনাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতেন। কিন্তু এখন সবকিছু বদলে গেছে। আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছেন যে, আপনাদের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

 আপনার সঙ্গে সময়ও কাটাতে চান না। আপনি প্রস্তাব দিলেও তিনি ফিরিয়ে দেন। আপনার প্রতি কোন টান নেই। তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকেন যে আপনার জীবন সঙ্গী পরকীয়ার লিপ্ত হয়েছে।

আপনাদের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও নেইঃ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক দাম্পত্য গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার সঙ্গী ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে পারেন। এমনকি শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও নষ্ট হতে পারে। আপনি ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে তিনি সবসময় আপনাকে এড়িয়ে যেতে চাইবেন।

 আপনার প্রতি কোন আকর্ষনই থাকবে না তার। আর এসব বিষয় থেকে আপনি বুঝে নিতে পারবেন যে আপনার সঙ্গী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে।

অকারণে রেগে যাওয়াঃ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হওয়ার আরও একটি বিষয় আছে যা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। খেয়াল করে দেখুন তো, আগে যে বিষয়গুলো আপনার সঙ্গীর রাগের উদ্বেগ করত না সেসব বিষয়ে কি তিনি রেগে যাচ্ছেন?

 কিংবা কথায় কথায় আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে অভিসার হিসেবে অভিহিত করেছেন? তার এসব কথার কোন যুক্তি আছে কিনা এইসব ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করুন। বিনা কারণে অযৌক্তিক রাগ করা, কিংবা সব সময় করা খিট খিট করা পরকীয়ার অন্যতম লক্ষণ।

পরকীয়া পুরুষ চেনার উপায়ঃ

বর্তমানে পরকীয়া একটি মারাত্মক সমস্যা। সমাজে নারী- পুরুষ উভয়ই সমানতালে পরক্রিয়া করে বেড়াচ্ছে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক পরকীয়া পুরুষ চেনার উপায় গুলো-


সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াঃ আপনার স্বামী যদি বিনা কারণে পরিবার ও বন্ধু- বান্ধবের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছে।

অবহেলাঃ সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার স্বামী আপনাকে অবহেলা করছে কিনা। আপনি যদি সবসময় অবহেলার শিকার হন তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার স্বামী অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয়েছে। এটা পরকীয়াও হতে পারে।

ফেসবুকঃ পরকীয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ফেসবুক। শুধুমাত্র ফোন নয়, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতি আসক্তের মাত্রার ওপরও নজর দিবেন।

অজুহাতঃ আপনার স্বামী যদি কারণে-অকারণে অজুহাত দেখায় তবে বুঝতে হবে এটি পরকীয়ার লক্ষণ। তাকে সময় দেওয়ার কথা বলে দেখুন, একসঙ্গে বসে টিভি দেখার কথা বলুন, তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান, আত্মীয়-স্বজনদের ও পারিবারিক বন্ধুদের সময় দেওয়ার কথা বলুন। তিনি যদি আপনাকে অজুহাত দেখিয়ে না বলেন তাহলে জানার চেষ্টা করুন অজুহাতটি সত্যি কিনা।

পরিবারঃ আপনার স্বামী যদি আপনার ও পরিবারের পেছনে কম সময় ব্যয় করেন তাহলে এটিও একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া যায়। খুব ভালো করে আপনার সঙ্গীর প্রতিদিনকার কাজকর্ম লক্ষ্য করুন। যদি বুঝতে পারেন যে আগের চেয়ে কম সময় পাচ্ছেন, তাহলে বোঝার চেষ্টা করুন সে বাড়িতে তিনি কিভাবে ব্যয় করছেন।

ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্তঃ আপনার সঙ্গী ফোনের পেছনে কতটা সময় ব্যয় করছেন সেদিকে নজর রাখুন। একসঙ্গে বসে থেকে বা ঘুরতে গেলে যদি তিনি ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, মেসেজ বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন- তাহলে তা নিশ্চিতভাবে অন্য একটি সম্পর্কেরই ইঙ্গিত।

পরকীয়া নারী চেনার উপায়ঃ

পরকীয়া পুরুষ চেনার যেমন অনেকগুলা অনেকগুলো উপায় আছে তেমনি পরকীয়া নারী চেনারও বেশ কিছু উপায় আছে। নিম্নে সেই উপায় গুলো দেওয়া হল-

  • কোন মহিলা যদি বিনা কারণে প্রতিদিন ঘরের বাইরে যায় তাহলে বুঝবেন সে পরকীয়া লিপ্ত হয়েছে।
  • যে মহিলারা তাদের জীবনসঙ্গীর সাথে বিনা কারণে ঝগড়া করে তাহলে তাদের মধ্যে পরকীয়ার লক্ষণ দেখা যায়।
  • তাছাড়া হঠাৎ করে আপনার স্ত্রী যদি মর্নিং ওয়ার্ক করে বা যোগিং করে তাহলে বুঝে নেবেন সে পরকীয়া লিপ্ত হয়েছে।
  • স্বামীরা যদি স্ত্রীদেরকে সম্মান না দেয় তাহলে সেই স্ত্রীরা পরকীয়ায় লিপ্ত হতে পারে।
  • হঠাৎ করে কোন মহিলা যদি তার সৌন্দর্যের প্রতি সচেতন হয়ে ওঠে তাহলে একে পরকীয়ার একটি লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
  • কোন মহিলা যদি অকারনে আপনার প্রতি রেগে যায় তাহলে এটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করবেন।
  • যদি আপনার যদি আপনার স্ত্রী বা সঙ্গী হঠাৎ করে আপনার প্রতি উদাসীন হয়ে যায় এবং আগের মতো ভালোবাসা দেখায় না, তাহলে তা পরকীয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
  • যদি আপনার স্ত্রী হঠাৎ করে তার সাজগোজে পরিবর্তন আনে এবং নিজেকে বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করে, তাহলে তা পরকীয়ার ইংরেজি হতে পারে,
  • কোন মহিলা যদি তার পরিবারে সময় কম দেয় তাহলে বুঝবেন এটা পরকীয়ার লক্ষণ।
  • আর যে নারীরা কোন কারণ ছাড়া প্রতিদিন ইয়োগা করেন তাদের মধ্যে পরকীয়ার লক্ষণ নিশ্চিত করতে পারবেন।
  • আপনার স্ত্রী যদি বিনা কারণে সারাদিন ফোন বা ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে সেটি পরকীয়া পরকীয়ার লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করবেন।

পরকীয়া প্রেমের উপকারিতাঃ

পরকীয়া প্রেমের উপকারিতা কথাটি শুনতে একটু অন্যরকম মনে হলেও এটাই বাস্তব যে পরকীয়া প্রেমেরও কিছু উপকারিতা রয়েছে। কেননা পরকীয়া প্রেম অনেক সময়ই পারিবারিক জীবনে ভারসাম্যের সাহায্য করে। স্বামী বা স্ত্রী দুজনের মধ্যে কেউ যদি পরকীয়া প্রেমে জড়ায় তবে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

 এর ফলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের দাম্পত্য জীবনে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করতে পারে এবং নিজেকে তা থেকে দূর করার বা শোধরানোর সুযোগ পায়। তবে এবার বলুন দেখি উপকারিতা আছে কিনা।

পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়ঃ

একবার যদি কেউ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তবে সেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন। তবে যে একেবারেই বের হওয়া যাবে না সেটা কিন্তু ঠিক না। কারণ মানুষের কাছে মানুষের চেষ্টা শক্তিই বড়। কেননা একজন মানুষ যদি চেষ্টা করে তাহলে যে কোন অসাধ্যকে জয় করতে পারে। আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি পরকীয়া থেকে মুক্তির বেশ কিছু উপায়-

আল্লাহ মুখী হওয়াঃ বান্দাদের উপর যে কোন বিপদ আসলে মনে করতে হবে, নিজের কোন বদ আমলের কারণে তা এসেছে। তাই তার প্রধান কর্তব্য হলো, আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া তার কাছে আকুতি- মিনতি ও কান্নাকাটি করা। খাঁটি দিলে তওবা করা। নিজেকে সংশোধন করা। সাধ্য অনুযায়ী দান খয়রাত করা।

হেদায়েতের জন্য দোয়া করাঃ মনে রাখতে হবে বান্দার কলব আল্লাহর দুই কুদরতি আঙ্গুলের মাঝখানে ঝুলন্ত থাকে। মুহূর্তে তার দিলকে আল্লাহ পরিবর্তন করতে সক্ষম।

ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিনঃ পরকীয়া ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে হলে সবার আগে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। আপনাকে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি সত্যিই সম্পর্ক শেষ করতে চান তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা করুন।

চাইছেন, অথচ বারবার ফিরে এসে সময় নষ্ট করেছেন এমনটা হলে কিন্তু পরিস্থিতি আরও জোটে থাকে। দেরি না করে তাই আপনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিন।

সঙ্গীকে নতুনভাবে ভালোবাসুনঃ নিজেদের মধ্যে কথা বলে সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করুন। যেই কারণেই আপনি পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন না কেন তা শুধরাবার চেষ্টা করুন।সঙ্গীর বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করুন। তার জন্য তার কাছে সব সময় সত্য কথা বলুন ও সৎ থাকুন। 

আপনার স্বামী বা স্ত্রী আপনার জন্য কি করছেন ভাবুন। পরিবারের নিজের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করুন।নতুন দায়িত্ব নিন। আশা রাখা যায়, এতে আপনাদের সম্পর্ক আবার আগের মতো ভালো হয়ে যাবে।

কোমল ও নম্র ভাষায় বোঝানোঃ সঙ্গীকে পরকীয়া, অবৈধ প্রেম-প্রীতি ও যিনা- ব্যভিচারের ভয়াবহতা ও পরিণতি, আল্লাহর অসন্তুষ্টি, পরকালে কঠিন শাস্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো নম্র ও কমল ভাষায় বোঝাবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকারী পদক্ষেপ হবে-কোন দ্বীনি পরিবেশে কিছুদিন অবস্থান করা।

ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সামলানঃ স্ত্রী অথবা স্বামীর মধ্যে যিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। অন্য সম্পর্কে জড়ানোর সমস্ত দায় তার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এমনটা হলে কিন্তু পরকীয়ার ইতি টানার উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না।

 বরং কেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন। দুজনকে ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিষয়টি সামলাতে হবে।

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুনঃ পরকীয়া রোধে সৃষ্টিকর্তার ভয় অন্তরে রাখুন। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন। কারণ ধর্মীয় মূল্যবোধ সমাজে অপরাধ কমিয়ে আনে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হয়। ইসলামে পরকীয়া-ব্যভিচার অবৈধ সম্পর্কে নারী-পুরুষের মেলামেশাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

 নারী-পুরুষ সবাইকেই চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, তোমরা জিনা বা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। এটা অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং খুবই জঘন্য আচরণ (সূরা বনী ইসরাঈল-৩২)।

পরিশেষেঃ

পরিবার থেকে পরকীয়া দূর করতে হলে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা থাকতে হবে। দুজন দুজনকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি একান্তই কেউ একজন পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ চেষ্টা করতে হবে। আর যদি একান্তই সম্ভব না হয় তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হবে।

 তবে আজকের আর্টিকেলে আমরা পরকীয়া থেকে মুক্তির যে উপায় গুলো আপনাদেরকে বলেছি সেগুলো অনুসরণ করলে আশা করি পরকীয়ার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। 

আর যদি সত্যিই উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে  আর্টিকেলটি আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন যাতে আপনাদের সাথে অন্যরাও পড়ে জানা সুযোগ পায়। এতক্ষণ ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 আর এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েব সাইটে ভিজিট করবেন। আর আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url