খুব সহজে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার ১৩ টি উপায় জানুন
কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায়?হ্যালো বন্ধুরা, আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় এটা জানেন না। এ বিষয়ে জানতে চান। তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা ফেসবুক থেকে সহজে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাই ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেল পড়বেন তাহলে ফেসবুক ইনকাম নিয়ে সবকিছু জানতে পারবেন।
নিচে আর্টিকেলে আমরা ফেসবুক কি, ফেসবুক থেকে ইনকামের উপায় গুলো সহ আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
বর্তমানে ফেসবুক একটি খুবই কমন এবং পরিচিত নাম। ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতে মোবাইল নিয়ে প্রথম কাজ হল ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করা।
বাংলাদেশের বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করে সংখ্যা পাঁচ কোটি ২০ লাখ এবং সর্বোচ্চ খেজুর ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। অনেকে আছে যারা ফেসবুক ব্যবহার করে শুধুমাত্র লাইক, কমেন্টস করা ও পড়ার জন্য আর বিভিন্ন ধরনের ভিডিও tiktok দেখার জন্য।
কিন্তু ফেসবুক থেকে যে ইনকাম করা যায় তা অনেকেই জানে না। তাই আজকে আজ গেলাম আমরা ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এমন ১৩ টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
ফেসবুক কিঃ
ফেসবুক হল এমন একটি অনলাইন ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার বিচার, ধারণা, জ্ঞান, ছবি, ভিডিও বা ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অংশ এই ওয়েবসাইটে সক্রিয় অন্যান্য ব্যবহারকারী এর সাথে শেয়ার করতে পারবেন। তবে এসব করার ক্ষেত্রে আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হবে।
ফেসবুক থেকে ইনকামের উপায়ঃ
গুগল,টিকটক,ইউটিউব থেকে যেমন ইনকাম করা যায় তেমনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। তাছাড়া ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৯০ কোটি। যেখানে ইনস্টাগ্রামে ১৩০কোটি, টিকটকের ১০০ কোটি এবং টুইটারের ৩৯ কোটি ৬০লাখ।
অর্থাৎ অন্যান্য সব প্লাটফর্মের তুলনায় ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অবিশ্বাস্য রকম বেশি। তাই এই মাধ্যম থেকে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়। শুধু প্রয়োজন ইচ্ছা শক্তি আর পরিশ্রমের। কিন্তু অনেকেই সে বিষয়ে জানেনা। তাই আজকে আমরা জানাবো কি উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়।
ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেঃ
পেজের রিচ বাড়াতে এবং কনটেন্টকে বৈচিত্র্যময় করতে প্রাসঙ্গিক কারো সঙ্গে কাজ করতে পারেন।নতুন নতুন দর্শক টানতে এবং ব্রান্ড সচেতনতা বাড়াতে অনেক নির্মাতা, কোম্পানি, ব্র্যান্ড আছে। বেশ ভালো ফলোয়ার রয়েছে এমন কারো সঙ্গে তারা কাজ করতে চান।
এক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনার পোস্টে ব্যবসায়িক পার্টনারদের ট্যাগ শুরুর আগে প্রথমে তাদের কাছে অ্যাক্সেসের জন্য অনুরোধ করতে হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন এবং আপনার রেফারেল এর মাধ্যমে করা প্রতিটি বিক্রয়ের উপর একটি কমিশন পাবেন। অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি নামিদামি অনলাইন কোম্পানিগুলোর "এফিলিয়াতে প্রোগ্রাম" অপশনে গিয়ে রেলস্টেশন করে তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলি প্রচার করে দিবেন।
তারা আপনাকে একটি লিংক দিবেন যা শুধুমাত্র আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য তৈরি অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন। যদি শ্রোতারা আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে ক্রয় করে তবে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই ভাবেই আপনি ফেসবুক থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
শিল্পকর্ম বিক্রয় করেঃ
আপনি যদি একজন বা কারিগর হন তাহলে ফেসবুকে আপনার সৃষ্টি প্রদর্শন এবং বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুকে আপনার কাজের উচ্চ-মানের ছবি পোস্ট করুন, আপনার দর্শকদের সাথে যুক্ত হন এবং আগ্রহী ক্রেতাদের আপনার আপনার শিল্প কেনার জন্য একটি সহজ উপায় প্রদান করুন।আর এই মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ ভালো হয়ে থাকেন তাহলে ব্র্যান্ডগুলো আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্সার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করতে ইচ্ছুক হতে পারেন। আর সেখান থেকেও আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ব্র্যান্ড কোলাবরেশনঃ
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার একটি ভাল উপায় হল ফেসবুকের অফিশিয়াল ব্র্যান্ড কোলাবরেশন প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া। তবে অফিসিয়াল পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য হতে আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১০০০ ফলোয়ার লাগবে।
অনলাইন মার্কেটিংঃ
ফেসবুকে টাকা আয় করার একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হল অনলাইন মার্কেটিং। আজকাল ফেসবুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার মার্কেটপ্লেস। এসব ব্যবসা কিন্তু সাধারণ দশটা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মত নয়। বর্তমানে ফেসবুকে ড্রেস, জুয়েলারি, মেকআপ সামগ্রী।
হ্যান্ডিক্রাফট, বই ইত্যাদির জন্য হাজারো অনলাইন শপ গড়ে উঠেছে।ফেসবুকে এসব অনলাইন মার্কেটিং পে জ বা গ্রুপে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও দাম দেওয়া থাকে। মেসেজ দিয়ে বা কমেন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের পছন্দমত পণ্য অর্ডার করতে পারে।
কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড, বিকাশের মতো অন্যান্য পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করে দিতে হয়, আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের ফরমায়েশ অনুযায়ী ডেলিভারির সময় টাকা-পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি পায় এবং খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেসঃ
ফেসবুক ফেসবুক মার্কেটপ্লেস একটি চমৎকার প্লাটফর্ম লোকাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য। আপনার আশেপাশে যারা ঐতিহ্যবাহী খাবার হস্তনির্মিত কারও শিল্প বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র যা থাকুক না কেন আপনি সেগুলিকে মার্কেটপ্লেস এ বিক্রয়ের জন্য তৈরি করতে পারেন।
খুব সহজে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার লোকাল ঐতিহ্যবাহী প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারবেন। এটি গ্রামের অপরিচিত প্রোডাক্টকে বিজনেসে পরিণত করার এটি একটি সহজ উপায় উপায়। আর তার সাথে নিজেকে পরিচিত করতে পারেন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে।
ফেসবুক অ্যাপঃ
ওয়েব ডিজাইনার গেম ডেভলপার ও প্রোগ্রামারদের জন্য ফেসবুকে রয়েছে অপার এক সম্ভাবনা। তাছাড়া ফেসবুক অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা আয় সম্ভব। নিজস্ব অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়। ফেসবুকের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করলে সেটির ইউজারদের সংখ্যার উপর আপনার আয় নির্ভরশীল।
লাইক বিক্রি করে ইনকামঃ
আপনার যদি অনেক লাইক ও ফলোয়ার যুক্ত কোন পেজ বা গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি অন্যের পেজ বা গ্রুপ প্রমোট করে মেম্বার এড করে এবং লাইক বাড়িয়ে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। অনেক পেজ এবং গ্রুপ রয়েছে যারা তাদের পেজে বা গ্রুপে মেম্বার বাড়ানোর জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে।
এমন অনেকেই রয়েছে যারা যত লাইক তত টাকা নিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি ৫ হাজার লাইক দিতে পারলে ৫ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন। যাদের অনেক লাইক ফলোয়ার যুক্ত গ্রুপ বা পেজ রয়েছে তাদের জন্য এইটা খুবই সহজ খুব অল্প সময়ের কাজ।
অ্যাকাউন্ট সেল করাঃ
অনেকদিন ধরে চালানো কোন ফেসবুক একাউন্ট পেজ ও গ্রুপ সেল করার মাধ্যমে ভালোই ইনকাম করা যায় ফেসবুক থেকে। একটা সময় অনেকে একের অধিক অ্যাকাউন্ট খুলে রাখত। কিন্তু বাস্তবতা বলে, একের অধিক অ্যাকাউন্ট চালানো অনেকটাই কষ্টসাধ্য।
তবে এখানে প্লাস পয়েন্ট হল, পুরাতন একাউন্ট বা পেজের এখন অনেক দাম। কেননা অনেকদিন আগে থেকেই এসব পেজ-গ্রুপের সাথে ইউজাররা পরিচিত হয়ে আছে। পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এসব পুরাতন একাউন্ট -পেজ- গ্রুপের প্রচুর চাহিদা।
তাই বেশি সংখ্যক ফলোয়ার, বেশি সংখ্যক লাইক ও অধিক রূপ মেম্বার সমৃদ্ধ যে কোন কিছু আপনি অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপঃ
সর্বপ্রথম আপনার আগ্রহ বা দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করুন। অনেক সংখ্যক লোক নিয়ে গড়ে তুলতে হবে ফেসবুক গ্রুপ এবং সেখানে একচেটিয়া বিষয়বস্তু বা দক্ষতা অফার করতে পারেন এবং গ্রুপে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
মনে রাখতে হবে যে আপনার দক্ষতা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিষ্ঠার সাথে সার্ভিস দিয়ে যেতে হবে। যাতে করে আপনার অডিয়েন্স চলে না যায়।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ
ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার বিষয়টা অনেকটা আধুনিক ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর এর মত। নামকরা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা প্রচারণার জন্য স্বনামধন্য ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদেরকে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করে।
ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রোফাইলে মানসম্মত কিছু কনটেন্ট ও যথেষ্ট সংখ্যক ফ্যান- ফলোয়ার থাকতে হবে। এবং অবশ্যই আপনার ফেসবুক একটিভিটিতে সার্বিকভাবে ফলোয়ারদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত।
এরপর Hireinfluence, BlogMint, Fromote এর মত ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেট এজেন্সির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই আপনি কোন এক ব্র্যান্ডের প্রতিটি পোষ্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করবেন এবং পরবর্তীতে ঐসব ব্র্যান্ডের পোস্ট প্রচার করার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক ইভেন্ট এর মাধ্যমে টাকা আয় করাঃ
ফেসবুকে একটি বিশেষ অপশন রয়েছে, যাকে ইভেন্ট বলা হয়। এর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারেন। আপনি ফেসবুক লাইভেও একটি ইভেন্ট হোস্ট করতে পারেন।
ফেসবুকে পেইড ইভেন্ট চালানোঃ
ফেসবুকের মধ্যে Facebook paid event নামের একটি নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ফিচারের দ্বারা আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকেই একটি অনলাইন ইভেন্ট (লাইভ স্ট্রিম) সেটআপ এবং ইভেন্টের সময়সূচি নির্ধারিত করতে পারবেন।
এতে আপনার পেজ ফলোয়ার্স্রা চাইলে কিছুটা টাকা দিয়ে আপনার লাইফ ইভেন্টি যে কোন জায়গায় উপভোগ করতে পারবেন। এভাবে আপনি সামান্য কিছু টাকা চার্জ করে যেকোনো ধরনের লাইভ ভিডিও ইভেন্ট নিজের ফেসবুক পেজে হোস্ট করতে পারবেন।
খাবার বানানো টিউটোরিয়াল শিক্ষাগত তথ্য বিনোদন ইত্যাদি যেকোনো ধরনের ইভেন্ট হোস্ট করা যাবে। ফেসবুক চালানো আপনার পেইড ইভেন্ট গুলোর থেকে আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন, সেটা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করছে ইভেন্ট পারচেজ করা মোট ব্যক্তিদের উপর। যত অধিক লোকেরা আপনার ইভেন্টে জয়েনকরবেন ততই অধিক টাকা আপনার পকেটে ঢুকবে।
পরিশেষেঃ
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলতেছি যে, ফেসবুকে শুধু ভিডিও দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না। একটু পরিশ্রম আর ইচ্ছা শক্তি থাকলে আপনার ফেসবুক থেকে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য উক্ত আর্টিকেলে কি কি উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় সে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করে আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন। আর এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েব সাইটে ভিজিট করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url