বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় এবং বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাবারের তালিকা জানুন
মনোযোগ বৃদ্ধির খাবারের তালিকাহ্যালো বন্ধুরা, বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় এবং বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাবারের তালিকা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা নেই ।তাই আপনারা জানতে চান। এজন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তাই আর্টিকেলটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়লে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আপনাদের আর কোন সমস্যা থাকবে না।
নিচে আর্টিকেলে আমরা স্মৃতিশক্তি কি, বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া ও আমল সহ আরো অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
স্মৃতিশক্তি আল্লাহর প্রদত্ত আশীর্বাদ। সবার স্মৃতিশক্তি এক হয় না। কারো স্মৃতিশক্তি বেশি হয় আবার কারো কম হয়। কিন্তু অনেক মা- বাবাই আছে যারা বাচ্চা স্মৃতিশক্তি একটু কম হলে তাদের চিন্তার কোন শেষ থাকে না। কি খাওয়ালে, কি করলে বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বাড়বে এ নিয়ে তারা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।
কিন্তু তারপরও ঠিকমতো কোন সমাধান পায় না। স্মৃতিশক্তি যদিও আল্লাহ প্রদত্ত তারপরও কিছু খাবার ও আমল আছে দোয়া ও আমল আছে যেগুলো করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে ইনশাল্লাহ। তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা সেসব খাবার, দোয়া এবং আমল নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
স্মৃতিশক্তি কি?
মস্তিষ্কে তথ্য ধারণ করে রাখার প্রক্রিয়া কিংবা মস্তিষ্কে ধারণকৃত তথ্যকে স্মৃতি বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে তথ্য আহরণ করে মস্তিষ্কে জমা করা হয় এবং দরকার অনুযায়ী সেই তথ্য আবার ভান্ডার থেকে খুঁজে নিয়ে আসা হয়। জমাকৃত তথ্য হারিয়ে গেলে কিংবা সময় মতে খুঁজে পাওয়া না গেলে তা দুর্বল স্মৃতিশক্তির লক্ষণ।
বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়ঃ
প্রত্যেক বাবা-মারই একটা কমন ডায়লগ থাকে যে আমার বাচ্চা ঠিকমতো পড়া মনে রাখতে পারে না। যা পড়ে একটু পরেই সেটা ভুলে যায়। সবারই স্মৃতিশক্তি একরকম হয় না। কারো স্মৃতিশক্তি কম থাকে আবার কারো বেশি থাকে এটা অনেকটাই আল্লাহ প্রদত্ত।তবে বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলো অবলম্বন করলে আপনার বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো-
- শিশুকে যথাসম্ভব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন-ডিম, ডার্ক চকলেট, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ফলমূল ও শাক-সবজি ইত্যাদি এগুলো শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- শিশুরা ছোট ছোট ছড়া, গান খুব পছন্দ করে। নতুন কিছু শুনলেই তারা এসব আয়ত্ত করার চেষ্টা করে। আর এই ছড়া কবিতা গান ও গল্প শিশুর স্মৃতিশক্তিকে উর্বর করবে। পরবর্তীতে তাড়াতাড়ি মনে করতে পারবে এবং তা প্রকাশও করতে পারবে।
- মানুষের মস্তিষ্কের ৭৫ ভাগই পানি। শিশুদের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা জরুরি। পানির অভাবে মনোযোগ কমে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিশক্তির কমার্স কমার লক্ষণ দেখা যায়।
- যখন শিশুদের কোন শব্দ বা কথা শোনাবেন, তখন আশেপাশের যাতে আওয়াজ না হয়। তাহলে শিশুর মনোযোগে বিঘ্ন ঘটবে।
- শিশুকে যখন কোন কিছু শেখাবেন সেটা যেন মজা করে শেখানো হয়। কারণ মজা করে কোন কিছু সেখানে সে জিনিস শিশু বেশি সময় ধরে মনে রাখতে পারবে। পরে যখন তার স্মৃতির পরীক্ষা নেওয়া হয়, তখন একই মজাটি করলেই সে নিজে থেকে শেখানো জিনিসটি বলে দিতে পারে।
- আপনি যদি চান আপনার বাচ্চা পড়াশোনা মনে রাখুন তাহলে তাকে এক জায়গায় বসিয়ে পড়াবেন না, ঘুরতে ঘুরতে শেখান। লাইব্রেরীতে নিয়ে গিয়ে বই দেখাতে পারেন। মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারিতেও নিয়ে যান। শিশু যেটা পড়ছে সেটায় আগ্রহ তৈরি হওয়ার জরুরী, আগ্রহ নিয়ে পড়লে তবে মনে থাকবে।
- বিভিন্ন বিষয়ে শিশুর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারা কি ভাবছে, কি জানতে চান। এভাবে তাদের চিন্তাধারা যেমন উন্নতি হবে, তেমনি স্মৃতিশক্তিও বাড়বে।
- শিশুকে কিছু শেখানোর সময় ছবির ব্যবহার করুন। তাহলে শিশুর মনে রাখতে সুবিধা হবে।
- শারীরিক কসরত শরীর ও মন দুই ভালো রাখে। সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই শিশুদের তালিকায় প্রতিদিন শরীরচর্চা রাখা উচিত। শিশুদের প্রতিদিন পরিচর্যার অভ্যাস থাকলে ভালো।
- মা- বাবা, বন্ধুবান্ধব ও ভাইবোনের কাছ থেকে শিশু অনেক কিছু শেখে। সে যা শিখেছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান। কেননা আপনাকে বোঝানোর মাধ্যমে শিশু স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- শিশুকে পড়ানোর সময় রং এর ব্যবহার করুন। রং ব্যবহার করে শিশুকে পড়ালে তার মস্তিষ্কে তথ্য দীর্ঘস্থায়ী হবে। বিভিন্ন রং দিয়ে বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইন বা প্যারাগুলি হাইলাইট করুন। নোট ব্যবহার করতে পারেন। পাঠ্য পুস্তকে নোট রেখে দিন, এতে শিশু মনে রাখতে পারবে দ্রুত।
- সন্তানের মন সংযোগ বাড়াতে প্রতিদিন তাদের মেডিটেশন করান। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করান শিশুকে। এতে তার লক্ষ্য স্থির হবে, তার বুদ্ধি বাড়বে এবং কোন কিছু নিয়ে সে সুস্থভাবে ভাবনা চিন্তাও করতে পারবে।
- শিশুদেরকে নিয়মিত ব্যায়াম করাতে হবে। কারণ নিয়মিত ব্যায়াম করলে সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফলে মস্তিষ্কেও পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছে যায়। নাইস স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। এদিকে মনও ভালো থাকে এবং শিশুর শরীরে এনার্জিও বাড়ে। তাই স্বাভাবিকভাবে সে বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে।
বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া ও আমলঃ
স্মৃতিশক্তি আল্লাহর দেয়া বড় নেয়ামত এবং অমূল্য সম্পদ। কিন্তু সবার স্মৃতিশক্তি একই রকম থাকে না। অনেক বাচ্চা আছে যারা ছোট বয়সে খুবই মেধাবী হয় কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে তা কমতে থাকে। যদিও এর পিছনে অনেক কারণ থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া ও আমল।
স্মরণশক্তি বৃদ্ধির দোয়া:
رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণ: রাব্বি জিদনি ইলমা
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা ত্বাহা, আয়াত: ১১৪) এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা বিশেষ জ্ঞান দান করবেন। স্মরণশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে দিবেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আরেকটি দোয়া হলো-
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ফাক্কিহহু ফিদ দ্বিন।
অর্থ: হে আল্লাহ আপনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করুন। রাসূল (সা.) ইবনে আব্বাস (রা.)-এর জন্য এই দোয়া করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস: ১৪৩)
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আমল:
ব্রেন ভালোর জন্য জিকির করাঃ স্মরণশক্তি বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হল অধিক পরিমাণে জিকির -আজকার করা। যেমন-সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার পড়া ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, যখন ভুলে যান তখন আল্লাহর জিকির করুন। (সূরা কাহাফ, আয়াত:২৪)
গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাঃ স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো, সব ধরনের গুনাহ থেকে পরিপূর্ণ বেঁচে থাকা। কারণ, গুনাহ মুখস্তশক্তিকে দুর্বল করে দেয়। বিশেষ করে চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা খুবই জরুরি।
কয়েকটি খাবার খাওয়াঃ কোন কোন আলেম এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো মুখস্ত শক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন-মধু ও কিসমিস খাওয়া। ইমাম জুহুরি (রহ.) বলেন, তুমি মধু খাবে; কারন এটি স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো। যে হাদিস মুখস্ত করতে চায়, সে যেন কিসমিস খায়। (আল-জামি, খতিব আল- বাগদাদি, ২/৩৯৪)
নেক আমল করাঃ নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করা যায়। নিজের মনে প্রশান্তি অনুভব করা যায়। তাই বেশি বেশি আমল করতে হবে। পাশাপাশি জ্ঞান অনুযায়ী আমল করতে হবে।
মুখস্ত বিষয়ের উপর আমল করাঃ এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আপনারা আমার সাথে একমত,কোন একটি বিষয় যত বেশিবার পড়া হয় তা আমাদের মস্তিষ্কে তত দৃঢ়ভাবে জমা হয়। তাই আমাদের একই পড়া বারবার পড়া উচিত, স্মৃতিতে গেঁথে যাবে।
অন্যকে শেখানোঃ কোন কিছু শেখার কার্যক্রম একটি উপায় হল তা অন্যকে শেখানো। আর এজন্য আমাদের একই বিষয় বারবারও বিভিন্ন উৎস থেকে পড়তে হয়। এতে ওই বিষয়টি আমাদের মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে গেঁথে যায়।
পরিমিত বিশ্রামঃ আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের মস্তিষ্ক অনেকটা ব্যস্ত অফিসের মত কাজ করে। এটি তখন সারাদিনের সংগৃহীত তথ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত করে। তাছাড়া ঘুম মস্তিষ্ক কোষের পুনর্গঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ব্যায়ামঃ
কোন বিকল্প নেই ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই একথা অনেকেরই জানা আছে, কিন্তু কেউ সেটা প্রয়োগ করে না। কিন্তু একথা আজ প্রমাণিত যে স্মৃতি বাড়াতে, বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে এ্যারবিক্স বা দৌড়ঝাপের ব্যায়াম ও যোগা-মেডিটেশন এর কোন তুলনা নেই।
কাজে ছোট থেকে সন্তানকে বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত করে দিন। সব সময় প্রতিযোগিতা মূলক খেলা নয়, মনের আনন্দে খেলা যাতে মানসিক চাপ কম থাকে। তাহলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে।
শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাবারঃ
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি নিয়ে অনেক পিতা- মাতা থাকেন। কিভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়। আর শিশুদের এসব সমস্যা দূর করার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হল সুষম খাদ্য। একমাত্র সুষম খাদ্যই পারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে।
এজন্যই ডাক্তাররা শিশুদের এই ধরনের সমস্যার কথা বললে সুষম খাদ্য খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ হয, তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। যেমন-
দইঃ দইকে শিশুদের জন্য আদর্শ খাবার হিসেবে ধরা হয়। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই খাবার আপনার শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করায় ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতেও বেশ কার্যকর দই। তাই আপনার বাচ্চাকে স্ন্যাক্স হিসেবে বা স্মুদিতে কিংবা ফলের সাথে মিশিয়ে দই খাওয়ানো যেতে পারে।
অ্যাভোকাডোঃ স্বার্থপর স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর একটি ফল অ্যাভোকাডো। যা মস্তিষ্কে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী। সালাদের সঙ্গে ব্যবহার করে কিংবা টুকরো করে কেটে খাওয়ানো যেতে পারে শিশুকে।
পালং শাকঃ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে অন্যান্য যেকোনো শাকেও প্রায় একই ভিটামিন-মিনারেল রয়েছে। যা সামগ্রিক মস্তিষ্কে স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক বাচ্চাই শাক জাতীয় কোন খাবার ঠিকমত খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে এগুলোকে সালাদ, স্মুদি বা স্যুপে ব্যবহার করে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত ঘটবে।
ডিমঃ ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। শিশুদের পুষ্টির জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া ডিম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ওট্মিলঃ প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর ওট্মিল। মস্তিষ্কের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এই ওট্মিল।
ড্রাই ফ্রুটসঃ ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা বাচ্চাকে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চার ব্রেকফাস্টে বা টিফিনে কিসমিস চেরি ইত্যাদি ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে দিতে পারেন।
ফলঃ যেসব ফল ও ফল এবং সবজিতে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা মস্তিষ্কের পক্ষে খুব ভালো। ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরিতে থাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মনোযোগ এবং শর্ট টার মেমোরি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মাছঃ মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং ডিএইচএ। বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবারে কম পরিমাণে ডিএইচএ থাকলে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাদামঃ আলমন্ড বা যে কোন বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তবে বিশেষ করে কাজুবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড । তাই সন্তানকে বাদাম খাওয়াতে ভুলবেন না।
আপেলঃ আপনার শিশুকে নিয়মিত আপেল পরিবেশন করতে পারে। এই ফলটি মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। আপনার শিশুর স্কুলের টিফিনে আপেল দিতেই পারেন। এমনকি জলখাবারের সময়ও দিতে পারেন।
শেষ কথাঃ
আশা করি উপরের আর্টিকেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাবারের তালিকা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। তাছাড়া এ বিষয়ে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
যাতে আপনাদের সাথে সাথে অন্যরা পড়ার সুযোগ পায়। এতক্ষণ ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং এরকম নিত্যনতুন টপিক পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটি ভিজিট করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url