OrdinaryITPostAd

লিচুর শহর দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

দিনাজপুরের বিখ্যাত খাবারহ্যালো বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনারা দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে জানতে চান এবং অনেক খোঁজাখুঁজির করে সেই রকম কোন তথ্য খুঁজে পাননি। তাই আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে যত খুঁটিনাটি তথ্য আছে সব কিছু বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাই দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে তথ্য পেতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকার পড়তে হবে।

আজকে আর্টিকেলে আমরা ঢাকা থেকে দিনাজপুরে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ সহ আরও অন্যান্য পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

লিচুর শহর দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ভূমিকাঃ

দিনাজপুর একটি ঐতিহ্যপূর্ণ জেলা। রংপুর বিভাগের অন্তর্গত দিনাজপুর জেলাটি আবহমান কাল ধরে ধারণ করে আসছে উত্তরবঙ্গের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। রাজধানী থেকে ৪১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সদর উপজেলার প্রধান নদী কোন হাওয়া পুনর্ভবা। 

জনশ্রুতি অনুযায়ী জয়নুদ্দিনাস জৈনক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজ পরিবারে্র প্রতিষ্ঠাতা। এই জেলার পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় এবং দক্ষিণে রয়েছে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলা। ১৭৮৬ সালে দিনাজপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

 দিনাজপুর জেলায় ঘোরার মত অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে । তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ কোথায় এবং কিভাবে যাওয়া যায় সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

ঢাকা থেকে দিনাজপুরের যাতায়াত ব্যবস্থাঃ

ঢাকা থেকে দিনাজপুরে রেলপথে আসতে হলে একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এ পথে চলাচল করে। ভাড়া সাধারণত ৩৯০-১৩৯০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সড়কপথে নাবিল হানিফ এস আর ট্রাভেল এ পথে চলাচল করে। কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে উঠতে হয় বাসে।

 ভাড়া সাধারণত ৫০০-৬০০ টাকা। আকাশ পথে যেতে গেলে সরাসরি দিনাজপুরে যাওয়া যাবেনা। কারণ দিনাজপুরে যাওয়ার জন্য আকাশ পথে কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নাই।আর এজন্য আকাশপথে যেতে গেলে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আপনাকে নামতে হবে।

দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহঃ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের দিনাজপুর জেলা। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন ধরনের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেগুলি একবার দেখলে আপনার মন ভরে যাবে এবং বারবার আসতে ইচ্ছা করবে এই দিনাজপুর জেলায়। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে-

রামসাগর দিঘীঃ

বাংলাদেশের বৃহত্তম দিঘী হিসেবে পরিচিত এই জলাশয়টি মূলত একটি কৃত্রিম দিঘী। পলাশী বিপ্লবের কিছু পূর্বে রাজা রামনাথ রাজ্যের পানির চাহিদা মেটাতে খনন করেছিলেন এই দিঘী। রাজা নামানুসারেই দিঘীটি পরবর্তীতে পরিচিতি পায়। 

বর্তমানে এটি দিনাজপুর পর্যটন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে। প্রায় ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯২ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল এবং ১০ মিটার গভীরতার এই দীঘির আশেপাশে বিকেলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য দারুন জায়গা। এখানে সাঁতার কাটারও ব্যবস্থা আছে।

 পূর্ণিমার সময় ক্যাম্পেইন করার জন্য রামসাগর বেশ জনপ্রিয় একটি স্থান।শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অটো রিক্সা ভাড়া নিয়ে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে যেতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

কান্তজির মন্দিরঃ

বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় এই বিখ্যাত স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল ১৮ শতকে, যার আরও একটি নাম নবরত্ন মন্দির। এটি টেপা নদীর তীরে কান্তনগর গ্রামে অবস্থিত। মন্দিরের শিলালিপি অনুসারে মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরের কাজ শুরু করেছিলেন।

 ১৭২২ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার পুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। প্রথমে মন্দিরটির উচ্চতা ছিল ৭০ ফুট। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতির কারণে এটি এখন ৫০ ফুট লম্বা।

 মহাভারত, রামায়ণ ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনী গুলো মন্দিরের বাইরের দেয়ালে প্রায় ১৫ হাজারটি বর্গাকার পোড়ামাটির ফলকে চিত্রিত করা। দিনাজপুর শহর থেকে অটো রিক্সা যোগে পৌঁছানো যায় কান্তজির মন্দিরে।

দিনাজপুর রাজবাড়ীঃ

শহরের উত্তর পূর্বে রাজারামপুর গ্রামের কাছে রাজবাটি এলাকায় অবস্থিত এই দর্শনীয় স্থানটি। দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির প্রতিনিধি বলতে এ রাজবাড়ীকে বোঝানো হয়। তাই সর্বসাকুল্য ভবনের অবস্থা নাজুক থাকা সত্ত্বেও ইতিহাস প্রেমীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে ঘুরতে আসেন রাজবাড়ী।

 ১৬০৮ হতে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত রাজবাড়ীটি ছিল বৃহৎ দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক। এখানকার ইতিহাস সমৃদ্ধ ভবন ও জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমার মহল, আয়না মহল, রানীমহল, লক্ষীর ঘর, আটচালা ঘর, কালিয়া জিউ মন্দির, আতুর ঘর, রানী পুকুর এবং চম্পা তলা দিঘী।

 শহর থেকে যেকোনো স্থানীয় গাড়িতে করে ঘুরে আসা যায় রাজবাড়িটি। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অটো রিক্সা ভাড়া নিয়ে রাজবাড়ী যেতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট।

স্বপ্নপুরীঃ

নান্দনিক সৌন্দর্যের এক স্বপ্নীল বিনোদন জগত স্বপ্নপুরী। দিনাজপুর শহর থেকে ৫২ কিলোমিটার দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাব গঞ্জে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই বিনোদন কেন্দ্র।

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পশু-পাখির অবিকল ভাস্কর্য, কৃত্রিম পাহাড়, কৃত্রিম ঝর্ণা এবং ইট-সিমেন্টে নির্মিত বাংলাদেশের এক সুবিশাল মানচিত্রের সমন্বয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, জীবন্ত পশুপাখিদের চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য পার্ক, বায়োস্কোপ ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে যেন এক অপূর্ব সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়

 যা আপনাকে বিমোহিত করবে এবং মনকে প্রফুল্ল করবে। পরিবারকে নিয়ে সময় কাটানোর এটি একটি উত্তম ও আদর্শ বিনোদন কেন্দ্র।

সীতাকোট বিহারঃ

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত এই বৌদ্ধবিহারটি পূর্ব-পশ্চিমে ৬৫.২৩ মিটার ও উত্তর-দক্ষিণে ৬৪.১১ মিটার দীর্ঘ। বিহারটিতে মোট ৪১ টি প্রায় সমআয়তনের কক্ষ ছিল। এই কক্ষগুলি একটি প্রশস্ত টানা বারান্দার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

 সীতাকোট বিহার আঙ্গিনার মধ্যবর্তী স্থানে কোন প্রধান মন্দির ছিল না। এখানে পাহাড়পুর, শালবনবিহার এবং আনন্দ বিহারের মতো ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির ফলক দেখা যায় না। তবে আকার আয়তনের দিক থেকে এই বিহারের সঙ্গে বগুড়ায় অবস্থিত ভাসু বিহারের অনেক মিল রয়েছে।

সীতাকোট বিহার থেকে প্রাপ্ত দুইটি ব্রোঞ্জ মুক্তির মূর্তির গঠন শৈলী থেকে অনুমান করা যায় যে, এগুলি ৭ম-৮ম শতাব্দীতে তৈরি।

নয়াবাদ মসজিদঃ

দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত এই মসজিদটি। বর্তমান প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক মসজিটি সংস্কার করা হয়েছে। 

মসজিদের প্রবেশদ্বারের উপরে ফারসি ভাষায় রচিত লিপি থেকে জানা যায় যে, সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সময় ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি আয়াতাকার।

 এর চার কোনায় রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির টাওয়ার। মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে রয়েছে তিনটি খিলান। মসজিদের সমস্ত দেয়াল জুড়ে আয়তাকার বহু পোড়ামাটির ফলক রয়েছে।

দীপশিখা মেটি স্কুলঃ

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় মঙ্গলপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত রুদ্রপুর গ্রামের এক ব্যতিক্রম স্কুল দীপশিখা মেটি স্কুল। ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর দীপশিখা নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। তবে ভিন্নধর্মী শৈল্পিক স্থাপনার কাজ শুরু হয় ২০০৫-এর সেপ্টেম্বরে।

 অপূর্ব এর শিল্পকর্মের মূল উপাদান হচ্ছে মাটি, খড়, বালি, বাঁশ, দড়ি ও কাঠ। শুধুমাত্র ভিত ছাড়া আর কোথাও ইদ ব্যবহার করা হয়নি। পুরো স্কুলটি ছয় কক্ষ বিশিষ্ট একটি দোতলা ভবন, যার আয়তন ৮ হাজার বর্গফুট। পরিবেশবান্ধব শ্রেণীকক্ষ গুলোতে শিক্ষার্থীরা গরম- শীতের তীব্রতা অনুভব করে না।

 দিনাজপুর শহরের টেকনিক্যাল মোড় থেকে বোছাগঞ্জগামী বাসে উঠে নেমে যেতে হবে মঙ্গলপুর। আর সেখান থেকে অটোতে করে সরাসরি মেটি স্কুল পৌঁছে যাবে।

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

এটি রংপুর বিভাগের মধ্যে প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তেভাগা আন্দোলনের জনক হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর নাম ধরে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা। তবে শুরুতে এটি কলেজ হলেও ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল এটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

 ১৩০ একর আয়তনের এ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে জিমন্যাশিয়াম, মসজিদ, পোস্ট অফিস, ব্যাংকের শাখা, একাডেমিক ভবন, মেডিকেল সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, হোস্টেল, সেমিনার কক্ষ এবং দুইটি অডিটোরিয়াম। 

এছাড়া আরও রয়েছে লাল-সাদা ইটের সমন্বয় তৈরি দৃষ্টিনন্দন ভবন, শিশু পার্ক, খেলার মাঠ, ডি-বক্স চত্বর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, টিএসএসসি, লাইব্রেরী, শহীদ মিনার এবং ক্যান্টিন।

 বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। দিনাজপুর শহর থেকে অটোরিক্সা যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছে যাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসে চড়েও যাওয়া যেতে পারে।

নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানঃ

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৫১৮ হেক্টরের পঞ্চবটীর বনটি জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর। বর্তমানে বিশাল শালবনটি শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান নামে পরিচিত। বনের মাঝখানে প্রায় ৬০০ একরের আশুরার বিল দেশীয় মাছের অভয়াশ্রম।

 এই বিলের উপরে নির্মাণ করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় কাঠের ব্রিজ। স্থানীয়দের মতে সিন্ধি লাভের পর দস্যু রত্নাকর এই বনেই বাল্মীকি মুনিরূপে খ্যাতি লাভ করেন। এখানেই রয়েছে সীতার কোট বৌদ্ধবিহার, যাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল কিংবদন্তির শিবের কৈলাশবাস আর সীতার বনবাসের গল্প।

 দিনাজপুর থেকে নবাবগঞ্জ এর পথে বাস আছে। বাসে উঠলেই নবাবগঞ্জ পৌঁছে দেবে। নবাবগঞ্জের পৌঁছার পর কাঠের ব্রিজের কথা জিজ্ঞেস করলেই যে কেউ পঞ্চবটী বনে রাস্তা দেখিয়ে দিবে।

লিচু বাগানঃ

দিনাজপুরের দেশব্যাপী সুখ্যাতি মূলত এর লিচুর জন্য। এখানকার ১৩ টি উপজেলাতেই চাষ হয় লিচুর। ছোট- বড় সব মিলিয়ে গোটা দিনাজপুর জেলায় মোট ৩ হাজার ১২৮ টিরও বেশি লিচু বাগান আছে, যেখানে লিচু গাছের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ২৯ হাজারের মতো।

 দিনাজপুরের প্রসিদ্ধ লিচুর বাজার এলাকার নাম পৌরসভা নিউ মার্কেট। লিচুর মৌসুমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে লিচুর কেনা-বেচা। চিরির বন্দরে কম করে হলেও আছে প্রায় ১ হাজার ২০০ লিচু বাগান। এছাড়া শহর থেকে রামসাগর দিঘির পথে যেতে মাশিমপুর এলাকাটি লিচুর জন্য অনন্য এক জায়গায়।

 এছাড়া কাহারন উপজেলার কান্তনগর এর নয়াবাদ গ্রামে দেখা যায় প্রচুর লিচুর বাগান। কান্তজির মন্দির ও নয়াবাদ যাওয়ার পথে অটোরিকশা থেকে চোখে পড়বে এই বাগান গুলো।

সিংড়া জাতীয় উদ্যানঃ

দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার ভগনগরে অবস্থিত এই বনাঞ্চলটি সিংড়া মৌজার অন্তর্গত বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে সিংড়া ফরেস্ট। ৮৫৬ একর বনাঞ্চলটির প্রায় ৭৫৬ একর জায়গাকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয় ২০১০ সালে। এরপর থেকে এটি পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে।

 বনের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির খনন করে দু ভাগে বিভক্ত হওয়া বনকে একসঙ্গে মেলাতে তৈরি করা হয়েছে সেতু। শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইডসসহ সরকারি উদ্যোগে বিনোদনের বিভিন্ন কার্যক্রম চালু হয়েছে। 

প্রতি শীতেই এখানে পিকনিক করার ধুম পড়ে যায়। দিনাজপুর শহর থেকে বীরগঞ্জ সড়কপথেই পৌঁছা যায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানে।

দিনাজপুর কিসের জন্য বিখ্যাতঃ

সুগন্ধি আতপ চাল সুগন্ধি কাটারি ভোগ চাল এবং সুস্বাদু ও রসালো লিচুর জন্য দিনাজপুর বিখ্যাত। তাছাড়া দিনাজপুরের চায়না ৩ লিচু সারা বাংলাদেশের বিখ্যাত তার স্বাদের জন্য। এ অঞ্চলের চিড়া ও খই এর সুনাম রয়েছে। 

এছাড়া এ অঞ্চলের সুস্বাদু খাবারের মধ্যে রয়েছে মুঘের ডালের পাপড়। পিঠাপুলির মধ্যে রয়েছে মুনিয়া পিঠা গুড়গুড়িয়া পিঠা (অনেকে একে কুকুর ঠেলা পিঠা বলে থাকে)। আর আছে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী শিদল।

পরিশেষেঃ

আদিকাল থেকে দিনাজপুরে কতটুকু দিনাজপুরের প্রতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে- ছিটিয়ে রয়েছে। আর এসব ঐতিহ্য ও ও দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখতে হলে এবং জানতে হলে অবশ্যই দিনাজপুরে আসতে হবে। তাই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি ঢাকা থেকে কিভাবে দিনাজপুরে আসতে হয় এবং দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে। 

তাই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা  উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শেয়ার করবেন। যাতে আপনাদের সাথে সাথে অন্যরাও জানার ও পড়ার সুযোগ পায়। আর এরকম নতুন নতুন টপিক পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটি শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url