ব্যবসা কি? গ্রামে ব্যবসার জন্য ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানুন
পাইকারি ব্যবসার আইডিয়ানিশ্চয়ই আপনি গ্রামে থাকেন এবং গ্রামে করা যায় এরকম ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন কিন্তু কোথাও এরকম সেরকম ভালো আইডিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি গ্রামে ব্যবসার জন্য বেশ কিছু ব্যবসার আইডিয়া। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারবেন।
নিচে আর্টিকেলে আমরা ব্যবসা কি, ব্যবসা করার টিপস ও গ্রামের ব্যবসা করার আইডিয়া সহ আরো অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ভূমিকাঃ
অনেক ছেলেপেলে আছে যারা লেখাপড়া শেষ করার পর চাকরি না পাওয়ার কারণে ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকে। বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকে। তারা বুঝতে পারে না গ্রামে থেকে কি ধরনের ব্যবসা করা যায়। কেননা শহরে গিয়ে ব্যবসা করবে এরকম কোন আইডিয়া এবং টাকা কোনটাই তাদের নেই।
তাই তারা খুঁজতে থাকে অল্প পুঁজিতে গ্রামে বসে কিভাবে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়। তাই এসব ছেলেপেলেদের কথা চিন্তা করে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি গ্রামে বসে অল্প পুঁজিতে কি ব্যবসা করা যায় সে বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা দিয়েছি এবং অনেকগুলো ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ব্যবসা কি?
ব্যবসা হল পণ্য (যেমন পণ্য এবং পরিষেবা) উৎপাদন বা ক্রয় এবং বিক্রয় করে নিজের জীবনযাপন বা অর্থ উৎপাদনের অনুশীলন। দেখতে মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবদ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বণ্টন এবং সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিপূর্ণ যে ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে ব্যবসা বলে।
ব্যবসা করার টিপসঃ
আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে আপনি সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারবেন না। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-
ধৈর্যশীল হতে হবেঃ বর্তমান প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনার মধ্যে প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে অর্থাৎ আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। কখনো লস হবে আবার কখনো লস এর চেয়েও দ্বিগুণ লাভ হবে তাই কোনভাবেই হতাশ হওয়া চলবে না।
সঠিক পরিকল্পনাঃ যে কোন ব্যবসার শুরু করার আগে আপনাকে সবার প্রথম যেই কাজটি করতে হবে সেটি হল পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কোথায়, কিভাবে, কত মূলধন বিনিয়োগ করবেন, কর্মী কতজন রাখবেন, কি পরিমান লাভের আশা করছেন, মার্কেট ভ্যালু এসব কিছু মিলিয়ে একটি পরিকল্পনা করতে হবে।
পরিকল্পনা ছাড়া ব্যবসা শুরু করলে আপনার ব্যয় যেমন বাড়বে, তেমনি সফল হওয়ার আশাটাও অনেকটাই কমে যাবে। কারণ একমাত্র পরিকল্পনাই আপনার কাজকে সহজ করে দিতে পারে।
অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ঃ যে ব্যবসাটি শুরু করতে যাচ্ছেন সেই সম্পর্কে কিছুটা হলেও আগে থেকেই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনার যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকবে আপনি তত সহজে সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
মূলধনঃ ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয় তাই হলো মূলধন। আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী আপনার মূলধন কমবেশি হতে পারে।
ঝুঁকি নেওয়া শিখতে হবেঃ কোন কিছুর অনিশ্চয়তা ও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাকেই ঝুঁকি বলে। আর যেখানে ব্যবসা আছে সেখানে ঝুঁকি থাকবেই। ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসা করার চিন্তা অনর্থক। তার ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই ঝুঁকি নিয়ে ভাবতে হবে এবং ঝুঁকি নেওয়া শিখতে হবে।
কৌশলী হতে হবেঃ প্রতিযোগিতার এই বাজারে আপনাকে ব্যবসা ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে। কেননা কৌশলী হতে না পারলে বর্তমানে ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।
মার্কেটিং ও প্রচারঃ বর্তমান ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে মার্কেটিং। আর এর মাধ্যমে ক্রেতা আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনি যত বেশি মার্কেটিং করবেন তত বেশি ক্রেতা জানবে, আর যত বেশি ক্রেতা জানবে তত বেশি আপনার বিক্রি হবে। ক্রেতা যদি পণ্য বা সেবা সম্পর্কে না জানে তাহলে আপনার কোন যতই ভালো হোক না কেন আপনি ব্যবসায় সফল হতে পারবেন না।
গ্রামে ব্যবসার জন্য ১৫ টি আইডিয়াঃ
অনেকেই মনে করেন ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত স্থান হচ্ছে শহর। গ্রামে বসে ব্যবসা করা সম্ভব নয় তাদের এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এমন কিছু ব্যবসা আছে সেগুলো আপনি গ্রামে বসেই নিশ্চিন্তে করতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রামের ব্যবসার জন্য ১৫ টি আইডিয়া।
দুধের ব্যবসাঃ
গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা গরু, মহিষ, ছাগল পালন করে থাকে দুধের জন্য। তাদের পরিবারের প্রয়োজনীয় দুধের চাহিদার পূরণ করার পর অবশিষ্ট দুধ তারা বিক্রি করে থাকেন। এমন অনেক মানুষ আছে যারা তাদের দরকারে দুধের যোগান পায় না।
আর আপনি যদি অবশিষ্ট দুধ সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতে পারেন এবং সেগুলো বিক্রি করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনি এই দুধ বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কয়েকটি বড় পাত্রের। তাছাড়া এগুলো আপনি প্যাকেট করে বিক্রি করতে পারেন।
মৌসুমী ব্যবসাঃ
মৌসুমী ব্যবসা হলে এমন একটি ব্যবসা, যেগুলি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে করা যায়। যেমন-দীপাবলীর সময় আতশবাজির ব্যবসা, গরমে আইসক্রিমের ব্যবসা এবং অন্যান্য ঠান্ডা জাতীয় খাবারের ব্যবসা, হোলির সময় রঙের ব্যবসা, রাখি বন্ধন এর সময় রাখি ব্যবসা এগুলো আপনি করতেই পারেন। কারণ এসব ব্যবসায় লস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
মিষ্টির দোকানের ব্যবসাঃ
গ্রামে করার জন্য একটি অন্যতম ব্যবসা হলো মিষ্টির দোকানে ব্যবসা। গ্রামে অনেক বাড়িতে গরু, মহিষ পালন করা হয়। আর সেখান থেকে খুব সহজেই দুধ সংগ্রহ করা যায়। আর এইসব খাটি দুধ দিয়ে খুব সহজে ভালা মানের মিষ্টি তৈরি করতে পারবেন।
আপনার মিষ্টির মান ভালো হলে গ্রামে মিষ্টির দোকান খুব ভালো চলবে তাছাড়া শহরে আপনি এই মিষ্টি বিক্রি করতে পারবেন।
মৌসুমীর ফলের ব্যবসাঃ
একেক মৌসুমে একেক ধরনের ফল পাওয়া যায়। আর আপনি এই ফল দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন- আম, লিচু ও কাঁঠাল এর সময় এসব মৌসুমী ফলের ব্যবসা। আবার জামের সময় জামের ব্যবসা, পেয়ারার সময় পেয়ারার ব্যবসা, আখের সময় আখের রসের ব্যবসা, আনারসের সময় আনারসের ব্যবসা ইত্যাদি করতে পারেন।
কারণ এসব ব্যবসায় লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বরং সরাসরি মালিকের কাছ থেকে এসব ফল কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
মাছের ব্যবসাঃ
গ্রামে করার মত আরেকটি লাভজনক ব্যবসা হল মাছের ব্যবসা। আপনার যদি নিজের পুকুর থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। আর যদি নিজের পুকুর না থাকে তাহলে আপনি পুকুর লিজ নিয়ে মাছের ব্যবসা করতে পারবেন।
আর একটু পরিশ্রম করে ঠিকমতো মাছের পরিচর্যা করলে ছয় মাসের মধ্যে মাছ বিক্রির উপযুক্ত হবে এবং সেই মাছ বিক্রি করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আরেকটু লাভ করতে চাইলে মাছের সাথে সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে হাঁস চাষ করতে পারেন যাতে আপনার বাড়তি আয় আসবে।
পাটের ব্যাগ তৈরি ব্যবসাঃ
বর্তমানে গ্রাম ও শহরে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন। আর এজন্যই বর্তমানে পাটের ব্যাগের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমতাবস্থায় আপনি পাঠের ব্যাগ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আর এজন্য পাটের বেগ তৈরি করার জন্য আপনাকে একটা মেশিন কিনতে হবে আর এখানে কাঁচামাল হিসেবে পাট ব্যবহার করলে অটোমেটিক পাটের ব্যাগ তৈরি হতে থাকবে। আর আপনি এসব ব্যাগ গ্রাম -শহর সব জায়গায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
উপহার ব্যবসাঃ
বিভিন্ন ধরনের শুভ অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, জন্মদিন, আকিকা, অন্নপ্রাশন ইত্যাদিতে বিভিন্ন রকম উপহারের প্রয়োজন হয়। আর আপনি যদি একটি উপহার সামগ্রী দোকান খুলতে পারেন তাহলে বহু লোক আপনার দোকান থেকে উপহার সামগ্রী কিনতে পারবে আর আপনার বিক্রি করার জিনিসগুলির কোয়ালিটি যদি ভাল হয়, তাহলে দিনে দিনে আপনার ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে এবং আপনার লাভ ও বেশি হবে।
ঝাড়ু তৈরির ব্যবসাঃ
গ্রাম থেকে শহর প্রতিটি বাড়িতেই ঝাড়ু একটি নিত্য প্রয়োজনীয় অপরিহার্য সামগ্রিক। তবে প্রকৃত যে ঝাড়ু সে ঝাড়ুগুলো তৈরি হয় গাছ থেকে। বর্তমানে যদিও প্লাস্টিকের ঝাড়ু বাজারে এসেছে কিন্তু সেগুলো অরজিনাল ঝাড়ুর মতো সুন্দর করে পরিষ্কার ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে পারে না।
আর এসব ঝাড়ু তৈরির গাছগুলো সাধারণত গ্রামের দিকেই হয়, বিশেষ করে যেখানে নদী আছে তার আশেপাশে বেশি হয়। এই গাছগুলো সংগ্রহ করে আপনি যদি ভারু তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটি গ্রামের বাজারে বা শহরের বাজারে সহজে বিক্রি করতে পারবেন। আর এটি আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হবে।
মসলার ব্যবসাঃ
রান্না এটি অপরিহার্য উপাদান হলো মসলা। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সব জায়গাতেই রান্নার জন্য মসলা ব্যবহার করা হয়, না হলে রান্নার স্বাদ রয়ে যায় অপরিপূর্ণ। অনেকে আছে যারা ঝামেলা মনে করে মসলা তৈরি করতে চায় না। তাই তারা বাজার থেকে কিনে তরকারিতে মসলা ব্যবহার করে।
আর আপনি যদি মসলার কাঁচামাল শহর থেকে কিনে এনে বাসায় গুঁড়া করে গ্রামের বাজারে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি প্রত্যেক মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
রড সিমেন্টের ব্যবসাঃ
বর্তমানে রড সিমেন্টের ব্যবসায় অনেক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামে। কেননা বর্তমানে গ্রাম শহরের মতো উন্নত হচ্ছে। প্রচুর ঘরবাড়ি হচ্ছে, বিল্ডিং হচ্ছে তাই রড সিমেন্ট এর চাহিদা প্রচুর এখন গ্রামে। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। কেননা এই ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ আছে।
কোয়েল পাখির ব্যবসাঃ
কোয়েল পাখি একটি জনপ্রিয় পাখি। কেননা এই পাখির ডিম এবং গোশত খেতে অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করে। বর্তমানে কোয়েল পাখির ব্যবসা করে লাভ করতে পারবেন। কারণ কোয়েল পাখির ডিম এবং গোস্তের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে, কোয়েল পাখি খুব অল্প সময়ে ডিম দেওয়া শুরু করে। যার কারণে কোয়েল পাখি চাষ করে দ্রুত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।
বালি বিক্রির ব্যবসাঃ
এটি একটি চাহিদাপূর্ণ পণ্য। কেননা ঘরবাড়ি নির্মাণ করার সময় অবশ্যই এই বালুর প্রয়োজন হয়। ভালো ছাড়া ঘরবাড়ি তৈরি করা যায় না। অতএব অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে, এই বালু কতটুকু চাহিদা পূর্ণ। অতএব আপনি নির্দ্বিধায় এই চাহিদাপূর্ণ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
এ ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছুটা ইনভেস্ট করতে হবে। তবে আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর আপনার আশেপাশে যদি নদী থাকে তাহলে সেখান থেকে ভালো তুলে তা বিক্রি করতে পারেন। কেননা এ ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি।
রাইস মিলের ব্যবসাঃ
এ ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে আপনার খরচ পড়বে ৫০ হাজার টাকা, আর আপনার যদি একটি জায়গা থাকে সেখানে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসাটির জন্য আপনাকে একটি রাইস মিল হেমা মিল এই মেশিনটি কিনতে হবে। নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই মেশিনটি দিয়ে কি করতে লাগবে। আমাদের দেশে যে জিনিসের চাহিদা বেশি সে ব্যবসার লাভও তত বেশি।
আমাদের দেশে প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত, এরপর আটা। আপনাদের কাছে মনে হতে পারে এ তো অনেক টাকার ব্যবসা তা কিন্তু নয়। ব্যবসা করতে আপনি এখন শুরু করতে পারেন মাত্র ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। অল্প টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে আপনি গ্রামে বসে দিনে ১ থেকে ২ হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
কাপড়ের দোকানঃ
গ্রামাঞ্চলে আপনি একটি কাপড়ের দোকান করতে পারেন খুবই ভালো চলবে। কারণ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কাপড় কেনার জন্য বা জিনিস কেনার জন্য শহরে চলে আসে। কেননা গ্রাম অঞ্চলে কাপড়ের ভালো দোকান নাই। আপনি যদি একটি ভাল মানের কাপড়ের দোকান করেন এবং নতুন নতুন ডিজাইনের ভালো মানের অন্য রাখেন তাহলে দেখবেন আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনবে।
তো একটি কাপড়ের দোকান গ্রাম অঞ্চলে খুলতে পারেন। গ্রামের ব্যবসা আইডিয়া হিসেবে আপনি এ ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন কারণ এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা।
ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির দোকানঃ
আপনি আপনার এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান করতে পারেন। আর সেখানে বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট রাখতে পারেন। যেমন: সুইচ বোর্ড, এলইডি বাল্ব, এলইডি টিউব লাইট এবং তার পাশাপাশি আরো অনেক রকম ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম হয়ে থাকে সেসব প্রোডাক্ট আপনি আপনার দোকানে রাখতে পারেন। এ ব্যবসা খুবই ভালো চলে এবং লাভও ভালো হয়।
পরিশেষেঃ
কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। গ্রামে আর শহর যেখানেই হোক না কেন আপনার যদি ইচ্ছে শক্তি থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ব্যবসা করতে পারবেন। ব্যবসা করার জন্য আপনার মধ্যে থাকতে হবে পরিশ্রম ও ধৈর্য শক্তি। আর যার মধ্যে এসব গুণ আছে তারা অবশ্যই ব্যবসার সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
তাছাড়া আজকের আর্টিকেলে আমরা গ্রামের করা যায় এরকম ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া দিয়েছি আর এ ব্যবসা গুলো করে আপনারা অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন এবং সাথে উপকৃত হয়েছে।
আর উপকৃত হয়ে থাকলে আর্টিকেলটি আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন। তাছাড়া এরকম নতুন নতুন টপিক পেতে আমাদের www.safanbd.com ওয়েবসাইটটি শেয়ার করবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url