OrdinaryITPostAd

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ১৫টি উপায় এবং উদ্যোক্তা হওয়ার সমস্যা জানুন

ঘরে বসে কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়?হ্যালো বন্ধুগণ, উদ্যোক্তা কি এবং একজন সফল উদ্যোক্ত হওয়ার উপায় কি সে বিষয়গুলো জানার জন্য আপনারা অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কিন্তু কোথাও মনের মত সমাধান পাননি।  আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের কথা মাথায় রেখে উদ্যোক্তা নিয়ে আপনাদের মনে যত ধরনের প্রশ্ন আছে সব প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

নিচে আর্টিকেলে আমরা উদ্যোক্তা কি, উদ্যোক্তা হওয়ার কারণ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতিবন্ধকতারসহ আরও  অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ১৫টি উপায় এবং উদ্যোক্তা  হওয়ার সমস্যা জানুন

ভূমিকাঃ

বর্তমানে নারী- পুরুষ সকলেই এখন  উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নানান ধরনের কাজে কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।  সংসার চালানোর সাথে সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মানুষ দিন দিন চেষ্টা করছে। কিন্তু উদ্যোক্তা হতে গেলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  তবে হাল ছেড়ে দিলে হবে না।

উদ্যোক্তা হতে গেলে পরিশ্রমী হওয়ার সাথে সাথে আত্মবিশ্বাসীও হতে হবে এবং নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন এবং জীবনের সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উদ্যোক্তা হওয়া খুবই জরুরী।

উদ্যোক্তা কিঃ

যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও উদ্ভাবন বা প্রযুক্তিকে পণ্য ও সেবায় রূপান্তর করতে পারে তাদেরকে উদ্দক্তা বলে। এক দিক থেকে ব্যবসার উদ্যোগ অনুষ্ঠিত ব্যবসা বা নতুন ব্যবসা উভয়ের কর্মকাণ্ডকেই নির্দেশ করে।

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ১৫ টি উপায় জানুনঃ

একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, তাহলেই সে সফল উদ্যোক্তা হতে পারবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন সফলতা হতে হলে তার মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে-

ঝুঁকি গ্রহণের মন মানসিকতাঃ 

সফর উদ্যোক্তার মধ্যে যেই বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে সেটি হল ঝুঁকি গ্রহণের মন মানসিকতা। কেননা উদ্যোক্তার কাজটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী কাজ। তাই তার উৎপাদিত পণ্য বা সেবার বাজারও অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকি গ্রহণের মন মানসিকতা থাকতে হবে।

 তা না হলে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে না। কারণ ঝুঁকি গ্রহণের পরিমাণ যেখানে বেশি যেখানে লাভের অংকটাও সবসময় বেশি হয়ে থাকে।

কঠোর পরিশ্রম করুনঃ

 আপনাকে ভাগ্যের উপর নির্ভর না করে নিজের ওপর নির্ভর করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে হবে। আপনাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালান, সাফল্য একদিন অবশ্যই আপনার কাছে ধরা দিবে।

অধ্যবসায়ঃ 

সফল উদ্যোক্ত হতে হলে আপনাকে অবশ্যই অধ্যবয়াসী হতে হবে। যেকোনো বাধা দূর করা অথবা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে বারবার পদক্ষেপ নিতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প পথের সন্ধান করতে হবে।

আত্মবিশ্বাসঃ

 নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো কঠিন কাজ বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য নিজের ক্ষমতার ওপর বা নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।

জ্ঞানঃ

 কথায় আছে, জ্ঞান সাফল্যের চাবিকাঠি। একজন উদ্যোক্তাকে  তার নিশ এবং ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ একজন মানুষ একমাত্র তার জ্ঞানের সাহায্যেই তার সকল ধরনের সমস্যার সমাধান এবং সংকট মোকাবেলা করতে পারে। জ্ঞান একজন উদ্যোক্তাকে ক্রমাগত পরিবর্তন এবং বৃদ্ধি নজরত সাহায্য করে। 

একজন ভালো উদ্যোক্তা সর্বদা তার জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা করবে সেজন্য একজন উদ্যোক্ত হলেন সব সময় স্টুডেন্ট। একজন উদ্যোক্তা তার ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে যত ভালো জানবেন তিনি তত বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ব্যর্থতাকে ভয় না পাওয়াঃ 

ব্যর্থতা সাফল্যের একটি অপরিহার্য অংশ। প্রত্যেকটি উদ্যোক্তা জীবনে ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ব্যর্থতাকে কাটিয়ে সফলতা নিয়ে আসাই একজন উদ্যোক্তার প্রধান বৈশিষ্ট্য। আর এজন্য একজন উদ্যোক্তাকে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের পথে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে সাফল্য আসবেই।

নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখাঃ

 একজন উদ্যোক্ততাকে সব সময় নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখতে হবে। যে যাই বলুক নিজের প্রতি কখনো বিশ্বাস হারানো চলবে না। কেননা আপনার যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না। প্রতি আপনার আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে একদিন না একদিন আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেনই।

সমালোচনাকে গ্রহণ করুনঃ 

সমালোচনাকে কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। সমালোচনাকে গ্রহণ করতে শিখুন। কারণ সমালোচনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেই আপনি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

ভালো সুযোগের অপেক্ষাঃ

 একজন সফল উদ্যোক্তা সবসময় ভালো সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। কারণ ভালো একটি সুযোগ কোন উদ্যোক্তার হাত থেকে খসে পড়ে না। তাহলে তারা আর সফল উদ্যোক্ত হতো না। ভালো সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকা সকল উদ্যোক্তার আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

লক্ষ্য নির্ধারণ করাঃ 

সব কাজের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকা। এসব ছাড়া কোন কাজের সফলতা অর্জন করা যায় না। বিশ্বাস করুন আপনার লক্ষ্য যদি নির্ধারণ করা থাকে তাহলে আপনি ব্যতিক্রম কিছু করতে অবশ্যই সক্ষম হবেন।

কৌতুহলী থাকাঃ

 কৌতুহল যেকোনো সফল উদ্যোক্তার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি বাজার যাচাই করুন, সমস্যা শনাক্তকরণ এবং সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ব্যবসায় নতুন শিল্পকৌশল বিকাশের সহায়তাও দেয়।

চ্যালেঞ্জ গ্রহণঃ

 একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে তৎপর থাকতে হবে সব সময়। কারণ ব্যবসার প্রকৃতি এবং পরিবেশ সময়ের সময়ে পরিবর্তিত হয়। ব্যবসা শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা দরকার। এমনকি যারা আপনার বিরোধী তাদের সঙ্গেও চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে হবে।

ধৈর্য ধরাঃ 

উদ্যান উদ্যোক্তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধৈর্য ধরা। নিরলস ধৈর্য ধরে ব্যবসার পথকে গতিময় করা দরকার। ব্যবসায় সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও ধৈর্য সহকারে মোকাবিলা করতে হবে।

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাঃ

 বেশিরভাগ মানুষের ব্যর্থতার কারণ হচ্ছে সঠিক সময়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব। তাই কোন কাজের আগে একটি নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট পরিকল্পনা স্থির করুন। এটি আপনাকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেবে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। 

পরিকল্পনাটি খাতায় লিখুন। আপনার উদ্দেশ্য, কৌশল এবং পদক্ষেপগুলো পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনাটি একপাতার বেশি হওয়া উচিত না।

টিম গঠনঃ

 যেকোনো ধরনের কাজ টিম গঠন করে করলে খুব তাড়াতাড়ি সফল হওয়া যায়। এককভাবে কাজ করার চেয়ে টিম গঠন করে করলে সফলতা সুনিশ্চিত। টিমের সদস্যরা কর্মঠ হলে আপনার ওপর কাজের চাপ কমবে।

কারণ ব্যবসায়ের অনেক কাজ টিমের সদস্যরা সম্পন্ন করতে পারবে।টিমের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, বাজারজাতকরণ প্রকৃতি কাজগুলো খুব সহজেই করা যায়।

উদ্যোক্তা হওয়ার সমস্যাঃ

 একজন উদ্যোক্তা যখন সমাজে নিজেকে সফল বা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চেষ্টা করে তখন তাকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এসব সমস্যা সামাজিক দিক থেকেও আসে আবার পারিবারিক দিক থেকেও আসে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে যে সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা গুলো দেখা যায়-

অর্থনৈতিকভাবে লেনদেনের সমস্যাঃ একজন উদ্যোক্তার মধ্যে অর্থের সমস্যা হতে পারে কিন্তু সেটা বাধা হতে পারে না। যা বাধা হতে পারে সেটা হল লেনদেন। তাছাড়া একজন উদ্যোক্তার জন্য ব্যাংক লোন পর প্রদান কাগজপত্র তৈরি এসার সমস্যা হতে পারে যদি তার এসব সঠিক ধারণা থাকে।

 তবে শুরুর দিকে এসব বিষয়ে কারো ধারণা থাকে না এটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এসব বিষয়ে উদ্যোক্তাদের জন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই।

আত্মবিশ্বাসের অভাবঃ উদ্যোক্তা জীবনে সফলতা পাওয়া একটা লম্বা প্রসেস। উদ্যোক্তাদের প্রচুর ধৈর্যের অধিকারী হতে হবে। কারণ ধৈর্য ধরে একটু একটু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কেউ কেউ ব্যবসায়ী কোন ক্ষেত্রে কোন কিছুতে অসফল হলে নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। 

এই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা একজন উদ্যোক্তার জন্য বিশাল বাধা। কারণ একজন উদ্যোক্তা যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তখন বাকি বাধাগুলো কোনভাবে সে অতিক্রম করতে পারে না। 

তাই যত বাধা আসুক তাই একজন অজ্ঞতার জীবনে যতই বাধায় আসুক শতভাগ নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সেই সকল বাঁধা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কখনো কখনো উদ্যোক্তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়।
 
ব্যাংক লোন সমস্যাঃ স্বাভাবিকভাবেই একজন উদ্যোক্তার পুঁজি কম থাকে। সে ক্ষেত্রে অনেকেরই ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয় তাকে ঋণ পেতে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

 অথচ এই পথটা মসৃণ হলে অনেক উদ্যোক্তারাই আরো কয়েক ভাব কম সময়ে এগিয়ে যেতে পারে এবং উদ্যোক্তার প্রতিবন্ধকতা কমে আসত।

কর্মচারী নিয়োগ সমস্যাঃ আপনার প্রতিষ্ঠানটি যদি নতুন হয় সেক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বল্প পুঁজির মধ্য থেকে যাদের নিয়োগ দেবেন সেই সঠিক যোগ্য কর্মচারী খুঁজে বের করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এরপরও তাদেরকে ধরে রাখা সেটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।

সেক্ষেত্রে তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতি লয়াল এবং একনিষ্ঠ কিনা সে ব্যাপারেও আপনি সন্দিহান থাকেন। এটি অবশ্যই একজন উদ্যোক্তার প্রতিবন্ধকতা।

বিদেশে আমদানি ও রপ্তানিঃ যে সকল হত্যাকারা উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে চায় বা বিদেশ থেকে কোন পণ্য এ দেশে এনে বিজনেস করতে চায় তাদের অনেক ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

 যারা বাংলাদেশের বৈধ এবং সেবামূলক পণ্য নিয়ে কাজ করতে চায় এবং আমদানি রপ্তানি করতে চায় তাদের জন্য সহজ পদ্ধতি প্রণয়ন ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অত আদান প্রদানের সহজ ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। এই ধরনের বাঁধাগুলো একজন উদ্যোক্তার মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

পরিশেষেঃ

সত্যি কথা বলতে উদ্যোক্তা কথাটি যতটা সহজ কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়া তার চেয়েও কঠিন। আর একজন উদ্যত হতে হলে অনেক গুণে গুণান্বিত হতে হবে। আর উপরের আলোচনায় আমরা উদ্যোক্তা হতে হলে কি কি গুন থাকতে হবে এবং একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে কি কি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

 আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন। আর এ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

 আর এ ধরনের নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করবেন। আর এতক্ষণ ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url