পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় এবং দোয়া জানুন
রেজাল্ট ভালো হওয়ার দোয়াসুশিক্ষিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়াশোনা।অনেকেরই পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না, আর এই মনোযোগ কিভাবে বাড়ানো যায় এজন্য পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার বেশ কিছু ইসলামিক উপায় ও দোয়া রয়েছে। যা আমাদের মধ্যে অনেকেরাই জানা নেই। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামী উপায় ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষা অর্জন করতে হলে প্রয়োজন পড়াশোনার। অনেকেরই পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না, পড়াশোনা করতে গেলেই ঘুম পায়। নানান ধরনের আজেবাজে উদ্ভট চিন্তাধারা মনের মধ্যে উঁকি মারে।
আর এসব চিন্তাধারা থেকে বের হওয়ার জন্য এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য বেশ কিছু ইসলামী উপায় এবং দোয়া রয়েছে। আশা করি সেগুলো যদি আপনারা আমল করেন এবং মেনে চলেন তাহলে আপনারা এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়ঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের পড়াশোনায় মন বসে না। পড়তে বসলেই অলসতা পেয়ে বসে, ঘুম পায় নানা ধরনের উদ্ভট চিন্তা -ভাবনা মনে আসে। এতে করে আমরা মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করতে পারি না। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো পড়াশোনা মনোযোগী হওয়ার কিছু কার্যকর উপায়। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই উপায় সমূহ-
পড়াশোনা জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত করুনঃ আপনার প্রতিদিনের রুটিনে পড়াশোনা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বের করুন। আপনি যদি প্রতিদিন একই সময়ে পড়াশোনা করতে বসেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে এবং এটা অভ্যাসে পরিণত হবে।
পড়ার পরিবেশ তৈরি করাঃ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি পড়াশোনা করার জন্য একটি শান্ত এবং সুশৃংখল স্থান নির্ধারণ করুন এবং সেই স্থানে পড়তে বসুন। চেষ্টা করুন যাতে আপনার টেবিলে মোবাইল ও অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু না থাকে কেবলমাত্র বই ও আপনার প্রয়োজনীয় নোট থাকে। এরকম পরিবেশ তৈরি করলে আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে।
লক্ষ্য নির্ধারণঃ প্রতিদিনের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, যেমন একটি অধ্যায় বা একটি নির্দিষ্ট সংবাদ পৃষ্ঠা পড়া। আপনি যদি আপনার লক্ষ্য পূরণ করেন তাহলে আপনার মনে আত্মবিশ্বাস আসবেন। আর আত্মবিশ্বাসেই পারবে আপনাকে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে।
প্রমোডারা পদ্ধতির অবলম্বন করুনঃ পড়াশোনায় হওয়ার জন্য আপনি প্রমোডারা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। ২৫ মিনিট পড়াশোনা করে ৫ মিনিট বিরোধী নিন এবং চারটি চক্রপূর্ণ হলে একটু বড় বিরতি নিন। এভাবে পড়ালেখা করলে মনোযোগ ধরে রাখা খুব সহজ হয়ে যাবে।
মূল বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুনঃ বইয়ের পড়া শুধু মুখস্থ করা বাদ দিয়ে প্রতিটি পড়া এবং নোটস ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন তারপর মুখস্ত করুন। এতে করে যে পড়াটা পড়ছেন সেটা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান ও ধারণা পরিষ্কার হবে যার ফলে বিষয়গুলো মনে থাকবে এবং পুনরাবৃত্তি করার সহজ হবে
নোটস তৈরি করুনঃ নিজের মতো করে নোটস তৈরি করুন। তৈরিকৃত এই নোটস পুনরায় পড়লে সহজে মনে থাকবে এবং পরীক্ষার সময়ও কাজে আসবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্তঘুমঃ শরীর ও মন ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত ঘুম এবং খাদ্য গ্রহণ আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে।
উৎসাহ এবং ইতিবাচক চিন্তা রাখুনঃ আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন পড়াশোনা একটি ধৈর্য মনোযোগের কাজ। নিজেকে উৎসাহিত করুন, পড়ার মনোযোগ বৃদ্ধি এবং উন্নতির জন্য ইতিবাচক চিন্তা রাখুন এবং ধৈর্য ধরে ধরে লক্ষ্য পূরণের জন্য এগিয়ে যান।
নেমোনিক পদ্ধতি অবলম্বন করাঃ অনেক ছোট তথ্য মনে রাখার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। ছড়া, গল্প, ছবি ইত্যাদির মধ্যে তথ্য যুক্ত করে মনে রাখাকে আরও সহজ করাই হচ্ছে এই পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য। মূলত ভোকাবুলারি, বিভিন্ন সাল কিংবা যে কোন ছোট তথ্য মনে রাখার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য বেশ কার্যকর।
হাল না ছাড়াঃ আপনি যদি কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে কখনোই হাল ছাড়া যাবে না। তেমনি যে কোন কিছু মুখস্ত করার ক্ষেত্রে শুরুটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয় বটে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সব কিছুর সাথে মানিয়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে হাল না ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
পড়া মনে রাখার সহজ উপায় কি?
পড়া মনে রাখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। নিম্নে কয়েকটি সহজ উপায় দেওয়া হল-
- পড় মনে রাখার জন্য একটানা পড়া যাবে না, পড়ার মাঝে মাঝে কিছু সময় বিরতি দিতে হবে। কেননা দীর্ঘ সময় একটানা পড়া ঠিক নয়।
- পড়ার কৌশল পরিবর্তন করতে হবে, যেমন বইয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাইলাইট করার পরিবর্তে শর্ট নোট রাখুন।
- একই পড়া বারবার রিভিশন দিন মনে রাখার জন্য। কারণ পোড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে রিভিশনের কোন বিকল্প নেই।
- নিয়মিত অনুশীলন করুন। কেননা পড়া মনে রাখার জন্য অনুশীলনেরও কোনো বিকল্প নেই।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়ঃ
ইসলামে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া ও জ্ঞান অর্জনের প্রতি অনেক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বেশ কিছু ইসলামিক উপায় আছে যা পড়াশুনায় পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক উপায় উল্লেখ করা হলো-
ইখলাস (বিশুদ্ধ নিয়ত করা): যেকোনো ভালো কাজে লাগে বিশুত নিয়ত বা ইখলাস থাকা জরুরি। তাই পড়াশোনা শুরু করার আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জ্ঞান অর্জনের নিয়ত করুন। কেননা ইখলাস পড়াশোনায় আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
দোয়া করাঃ পড়াশোনার আগে ও পরে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য এই দোয়াটি পড়তে পারেন: " রাব্বি জিদনি ইলমা" অর্থাৎ, " হে আমার রব! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দিন।"
নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াতঃ নিয়মিত নামাজ আদায় ও কোরআন তেলাওয়াত আপনার হৃদয় এবং মনকে প্রশান্ত করবে, যা আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
সঠিক সময় নির্ধারণ করাঃ সকালে পড়াশোনা আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি প্রভাবকালীন বরকতময় সময় হিসেবে পরিচিত।
পরিবেশ তৈরি করাঃ আপনি এমন একটি পরিবেশে পড়ুন যেখানে মনোযোগ ভাঙ্গার সম্ভাবনা কম থাকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থান ও সুশৃংখল পরিবেশ পড়াশোনা জন্য সহায়ক।
মাঝে মাঝে বিরতি নিনঃ দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করলে মনোযোগ হারাতে পারেন। তাই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিন, এতে করে মন ও শরীর পুনরুজ্জীবিত হবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ আসবে।
তাহাজ্জুদ পড়াঃ রাতে তাহাজ্জুদ পড়লে এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলে আপনার পড়াশোনায় বরকত আনবে। হাদিসে এসেছে, তাহাজ্জুদের সময় দোয়া করলে আল্লাহ তা'আলা দ্রুত সেই দোয়া কবুল করেন।
নিজেকে ধৈর্যশীল বানানোঃ পড়াশোনায় ভালো করতে ধৈর্য প্রয়োজন। কেননা ইসলামের ধৈর্যশীলতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যা আপনার দীর্ঘমেয়াদী মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হবে।
আল্লাহর উপর ভরসা রাখাঃ পড়াশোনায় কোন সমস্যা বা মনোযোগের অভাব দেখা দিলে আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখুন এবং ধৈর্য রাখুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।
ইসলামে কিভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা যায়?
পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার জন্য আপনাকে সে কাজটি করতে হবে সেটি হল এশার নামাজের পরপরই বিছানায় যান এবং ফজর শুরু হওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন। অধ্যয়ন করার সময় সত্যিই মনোযোগ এবং মনোনিবেশ নামাজ পড়ার জন্য এই আশীর্বাদপূর্ণ সময়টি ব্যবহার করুন,
বিশেষ করে সেই বিষয়গুলি জন্য যা আপনার কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়। ফজরের ঠিক আগে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি উপকারিতা হলো এই সময়টা হল দোয়া করার জন্য উত্তম এবং সেরা সময়।
পড়াশোনার জন্য কোন দোয়া ভালো?
পড়াশোনা করার জন্য অনেক দোয়া আছে এর মধ্যে একটি হলো-আল্লাহুম্মা আখরিজনী মিন জুলুমাতিল ওয়াহ ওয়াহমি ওয়া আকরিম্নি বি নূরিল ফাহমি। হে আল্লাহ, আমাকে সন্দেহের অন্ধকারে থেকে বের করে আনুন এবং আমাকে বোঝার আলো দান করুন।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যা শিখিয়েছেন তা আমার জন্য উপযোগী করুন এবং আমাকে এমন জ্ঞান শিক্ষা দিন যা আমার কাজে লাগবে।
কি খেলে পড়া মনে থাকে?
বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার আছে, যে খাবার গুলো নিয়মিত খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং পড়া মনে থাকবে। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক সে খাবারগুলো সম্পর্কে-
ডার্ক চকলেটঃ আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডাক চকলেট রাখতে পারেন কারণ ডার্ক চকলেট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ডার্ক চকলেট প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে এবং ক্যাফিন সহ প্রাকৃতিক উদ্দীপক থাকে যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
তৈলাক্ত মাছঃ আপনার ডায়েট চার্টে তৈলাক্ত মাছ রাখুন কারণ তৈলাক্ত মাছ খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
বাদামঃ প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ বাদামে ভিটামিন ই সহ ব্রেইনের জন্য উপকারী ফ্যাট বিদ্যমান থাকে।
মধুঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য মধু সাহায্য করে। মধুতে থাকা বিভিন্ন যৌগ সরাসরি ভালো স্মৃতিশক্তির জন্য উপকারী।
মিষ্টি কুমড়ার বীজঃ এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে যা ব্রেইনের জন্য উপকারী।
কি ফল খেলে বুদ্ধি বাড়ে?
পালং শাক, সবুজ আপেল, শসা, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি সবুজ শাক ও ফলের রস মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এসব ফল ও সাক্ষাতের মধ্যে শাকপাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো বা জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়াঃ
পড়াশোনায় মনোযোগ বা জ্ঞান বৃদ্ধির অনেক দোয়া কোরআন ও হাদিসে এসেছে। তার মধ্যে একটি অন্যতম কার্যকারী দোয়া হলো-
আরবি:
ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
বাংলা উচ্চারণ: সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আলিমুল হাকিম।
অর্থ: (হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদিগকে যা শিখিয়েছেন (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয়ই আপনিই এই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (২/৩২)
মন্তব্যঃ
জীবনে কৃতকার্য হওয়ার ক্ষেত্রে পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। আর এই পড়াশোনা করতে গেলে প্রয়োজন পড়াশোনায় মনোযোগ। নিশ্চয়ই উপরের আর্টিকেল পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো যায় এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর জন্য কি ধরনের খাবার খেতে হয় এবং কি কি দোয়া পড়তে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে।
আশা রাখা যায় আপনারা যদি আমাদের দেওয়া উপায় গুলো মেনে চলে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনারা সাফল্য অর্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে আমাদের পাশে থাকবেন।
আর কি কি বিষয়ে জানতে চান আমাদের কমেন্টস করে জানাবেন। পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url