ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা শুধু ইসবগুলের একটি ব্যবহারই ভালো জানেন সেটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইসবগুলের ভুসি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, কিন্তু ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর উপকারিতা ঠিকমতো জানেন না। তাই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরও অন্যান্য অনেক গুণ সম্পর্কে।
ইসবগুলের ভুসির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ইসবগুলের ভুসি প্রায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারবে। যদিও ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে, তবে সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তাছাড়া এটি সকালে খালি পেটে খেলে অনেক রোগের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
ইসবগুলের ভুসি কি?
ইসবগুলের ভুসি একপ্রকার দ্রবণীয় ফাইবার যা সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা। রেচক বা ল্যাক্সোটিভ হিসেবেও পরিচিত।ইসবগুলের ভুসি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ, হার্ট বা হৃৎপিণ্ড এবং অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণিত।
ইসবগুলের পুষ্টিগুণঃ
ইসবগুলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। উপাদান যেসব পুষ্টি উপাদান মানব দেহের অনেক উপকার করে থাকে। যেমন, ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে-
- ক্যালোরি ৫৩ শতাংশ
- ফ্যাট ০ শতাংশ
- সোডিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম
- আয়রন ০.৯
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক নিয়মঃ
ইসবগুলের ভুসি খাবার কিছু নিয়ম রয়েছে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলো-
পরিমাণঃ ইসবগুলের ভুসি প্রতিদিন ১-২ চা চামচ (৫-১০ গ্রাম) পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে। তবে শুরুতে কম পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এতে কিছু মানুষের পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি হতে পারে।
পানির পরিমাণঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সাধারণত ১-২ গ্লাস পানির সাথে খেতে হয়।এটি ভুসিকে ফুলিয়ে পেট ভরাতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে কার্যকর হয়।
খাওয়ার সময়ঃ ইসুবগুলের ভুসি সাধারণত খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা খাওয়ার পর খাওয়া যেতে পারে। এটি খাবারের আগে খেলে পেট ভরানোর অনুভূতি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
খালি পেটে খাওয়াঃ কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে এটি খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে সকালে।
দৈনিক ব্যবহারঃ প্রতিদিন নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেলে হজমের সমস্যা কমে এবং শরীরে ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয়। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য না খেয়ে মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া ভালো।
অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ দই, জুস, দুধ বা হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাবার খেতে কিছু সতর্কতা ও নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যার সহায়ক হতে পারে, তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। নিচে গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলো-
ডাক্তারের পরামর্শ নিনঃ গর্ভাবস্থায় যে কোন খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রতিটি গর্ভবতীর প্রয়োজন আলাদা হতে পারে, তাই ডাক্তার আপনার শরীরের অবস্থার ভিত্তিতে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।
পরিমাণঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত ১ চা চামচ পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি দিনে ১ বার খাওয়া যেতে পারে। এটি হালকা গরম পানি বা দুধের সাথে খাওয়া ভালো। বেশি পরিমাণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কেননা এটি অতিরিক্ত ফোলা ভাব বা গ্যাস তৈরি করতে পারে।
পানির পরিমাণঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, কারণ এটি শরীরে প্রচুর পানি শোষণ করে। পানি কম খেলে পেট ভারী ও অস্বস্তিকর লাগতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
সময়ঃ রাতে ঘুমানোর আগে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া আপনার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে, কারণ এটি রাতে হজমের সহায়তা করে এবং সকালে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। তবে দিনের যে কোন সময়ও খাওয়া যেতে পারে, যদি আপনার ডাক্তার খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
খাদ্যাভাসে পরিবর্তনঃ ইসবগুলের পাশাপাশি আপনার খাদ্যাভাসে আঁশযুক্ত খাবার, তাজা শাকসবজি এবং ফলমূল যোগ করা উচিত। এতে হজম ভালো হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ
সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে দিনে দুইবার ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে. তুমি যেকোনো দুই বেলা খাবার খাওয়ার পর ইসবগুলের ভুসি খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। মনে রাখা জরুরি, ইসবগুলের ভুসি খেলে সারাদিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে।
ইসবগুলের ভুসি খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে গলনালি এবং অন্ত্রের মুখ আটকে যায়। অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রে খাবারের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
ওজন কমাতে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ
আপনি যদি ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে ইসবগুল খান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাওয়ার ঠিক আগে খেতে হবে। এছাড়াও ১ এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে গ্রহণ করলেও উপকার পাওয়া যায়।
ইসবগুল কোন সময় খাওয়া উচিতঃ
ওজন কমানোর জন্য ২ চা চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিটার পানি ও ১-২ চামচ লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এর ফলে বেশ খানিকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। কেননা ইসবগুল খাদ্যনালী পরিষ্কার করে ও শরীরের চর্বি কমায়।
ইসবগুল কি কাজ করে?
ইসবগুলের ভুসি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্য আঁশ থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো। তাছাড়া এটি ডায়রিয়া ও পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায়। এমনকি অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর করে।
প্রতিদিন ইসবগুল খেলে কি ক্ষতি হয়?
ইসুবগুল খাওয়ার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। এটি খেলে শরীরের কোন ধরনের সমস্যা হয় না। তাই ইসবগুল প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ করে ৩ বার খাবার অভ্যাস করতে পারেন। তবে এটি পানির সাথে গুলে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
ঘুমানোর আগে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কি হয়?
যেকোনো ধরনের ওষুধ পেটকে কেমিক্যালাইস করে; আর ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতি রাতে ইসুবগুলের ভুষি খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে আমাশয় রোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
ইসবগুল আমাশয়ের জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না, তবে বের করে দিতে পারে। তাই যারা আমাশয় রোগী আছেন যারা প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক গ্লাস ইসুবগুলের শরবত খেলে উপকার পাবেন।
ইসুবগুল খেলে গ্যাস কি কমে?
কেউ কেউ ইসুবগুল গ্রহণ করার সময় গ্যাস, ফোলা ভাব বা পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ করতে পারে যদি এটি খাওয়ার পর পর্যাপ্ত জল না খাওয়া হয় বা ডোজ খুব বেশি হয়।
ইসুবগুলের ভুসি কি বাচ্চাদের খাওয়ানো যাবে?
ইসবগুলের ভুসি দুই বছর বয়েসর বেশি যেকোনো ধরনের বাচ্চাদের খাওয়ানো যায়। কিন্তু বাচ্চাদের ইসবগুলের ভুসি খাওয়ানোর কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন, ছোট বাচ্চাদের অল্প পরিমাণে ইসবগুলের ভুসি খাওয়াতে হবে এবং খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে দিতে হবে। কেননা পানি না দিলে এটি অন্ত্রে শুকিয়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটাতে পারে। যদি আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ইসবগুলের ভুসি খাওয়ানো যেতে পারে।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ইউসুবগুলের ভুষি বাচ্চাদের দই, জুস বা অন্য কোন তরল খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চাদের জন্য খেতে সহজ হয়।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতাঃ
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে এটি হজম ও পরিপাকতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনাদের সুবিধার্থে জেনে নেয়া যাক ইসবগুলের বেশ কিছু উপকারিতা-
- ইসবগুলের ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রের গতি বাড়িয়ে মল নরম করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে বেশ কার্যকরী।
- এটি হজম শক্তি উন্নত করে এবং পাকস্থলীর কাজ সহজ করে। গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।
- ইসবগুল খেলে পেট ভরা অনুভূতি দেয়, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাবার প্রবণতা কমায়। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
- ইসবগুলের ভুসি রক্ত খারাপ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- ইসবগুল ধীরে ধীরে শর্করা শোষণ করে এবং রক্তের শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- নিয়মিত ইসবগুল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
- ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সহায়ক।
- ইসবগুলের ভুসি মন নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে, যা পাইলসের রোগীদের জন্য উপকারী।
- প্রসাবের ইনফেকশন থাকার কারণে অনেকেরই মাঝে মধ্যে প্রসাবের জ্বালাপোড়া হয়। আর এই সমস্যার সমাধানে নিয়মিত ইসুবগুলের ভুষি খেতে পারেন।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতাঃ
ইসবগুলের ভুষির উপকারিতার সাথে সাথে সামান্য কিছু অপকারিতা রয়েছে। নিম্নে সেই অপকারিতা সমূহ দেওয়া হলো-
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাঃ ইসবগুলের ভুসি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অস্বস্তি হতে পারে। এটি সাধারণত খাবারের সঙ্গে বেশি জল না খাওয়ার কারণে হয়।
ডিহাইড্রেশনঃ ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পানি শোষণ করে, তাই যথেষ্ট পানি না খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের পানির প্রভাত ফেলতে পারে।
খনিজ শোষণে বাধাঃ ইসবগুলের ভুসি খাদ্য থেকে আয়রন, ক্যালসিয়াম জিংক ইত্যাদি খনিজ শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যারা খনিজের অভাবজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ইসবগুলের ভুসি নিয়মিত খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত।
এলার্জির ঝুঁকিঃ কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসিতে এলার্জি হতে পারে। এতে ত্বকে র্যাশ, শ্বাসকষ্ট বা চুলকানি হতে পারে।
শেষ কথাঃ
এক কথায় বলা যায় ইসবগুল হচ্ছে প্রায় অনেক রোগের মহা ওষুধ। সঠিকভাবে ইসবগুলের ব্যবহার জানলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ।
আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং উপকারী মনে হয়েছে। আর যদি আর্টিকেলটি সত্যিই আপনাদের কাছে উপকারী মনে হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করবেন। আর এরকম নতুন নতুন টপিক পেতে আমাদের সাথে থাকবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url