OrdinaryITPostAd

ভালো গিজার চেনার উপায় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্রান্ডের গিজারের দাম জানুন

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাল গিজার কোনটি?শীতের শুরুতে নিশ্চয়ই আপনারা গিজার কেনার কথা ভাবছেন, কিন্তু ভালো গিজার চেনার উপায় আপনাদের জানা নেই। তাই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিভাবে ভালো গিজার চেনা যায়। আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে এ অতি প্রয়োজনীয় গিজার চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি।

ভালো গিজার চেনার উপায় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্রান্ডের গিজারের দাম জানুন

ভূমিকাঃ 

শীত তার আগমনী বার্তা দিয়ে চলে এসেছে। আর শীত আসলে মানুষ যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল কনকনে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা। আর পানি ফুটিয়ে গোসল করা অনেকের কাছে ঝামেলা মনে হয়। তারপর গরম পানি গায়ে পড়ে দুর্ঘটনা পড়ার ভয় তো রয়েছেই। তাই এসব সমস্যা এড়াতে অনেকেই চায় শীতে গিজার কিনতে।


 কিন্তু শুধু গিজার কিনতে চাইলে হবে না। গিজার কেনার আগে অবশ্যই ভালো গিজার চেনার উপায় জানতে হবে । তা না হলে নানা প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের গিজার পাওয়া যায়, সব গিজারই যে ভালো তা কিন্তু নয়।

গিজার কি?

ইংরেজি গিজার শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো উষ্ণ প্রস্রবণ পানি যেটা থেকে মাঝে মাঝে জল বা বাষ্প স্তম্ভে উঠে আসে। সহজ ভাবে বললে গিজার হচ্ছে পানি গরম করার যন্ত্র। এটি সাধারণত গোসলখানা বা বাথরুমে লাগানো হয় এবং বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে।

গিজারের প্রকারভেদঃ

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রকারের গিজার পাওয়া যায়। আর এসব গিজারে প্রকারভেদ নির্ভর করে জ্বালানি ধরন, কাজের ধরন ও আকারের উপর। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক গিজারের প্রকারভেদ সমূহ-

  • ইলেকট্রিক গিজার
  • গ্যাস গিজার
  • ইনস্ট্যান্ট গিজার
  • সোলার গিজার
  • স্টোরেজ গিজার
  • ট্যাংকলেস গিজার

গিজার এর সঠিক ব্যবহারঃ

যেকোনো জিনিসের স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার সঠিক ব্যবহারের উপর, ঠিক তেমনি গিজারেরও টেকসই নির্ভর করে তার সঠিক ব্যবহারের উপর। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে গিজার ব্যবহার করলে এটি অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাঃ গিজার সব সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চালানোর প্রয়োজন পড়ে না। প্রয়োজন অনুসারে তাপমাত্রা পরিবর্তন করুন। তবে চেষ্টা করবেন গিজারের তাপমাত্রা সব সময় ৫০-৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সেট করে রাখতে। কারণ গরম পানির জন্য অতিরিক্ত তাপমাত্রার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এতে করে জ্বালানি অপচয় বেশি হয় এবং যন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে বেশি।

গিজারের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণঃ আপনার অতি প্রয়োজনীয় গিজার কেনার পর ছয় মাস পর অন্তত বিশেষজ্ঞ দ্বারা গিজার সার্ভিস করান। গিজারের ট্যাংক সব সময় পরিষ্কার রাখুন বিশেষ করে স্টোরেজকে যারা ক্ষেত্রে। আর সোলার গিজারের ক্ষেত্রে গিজারের প্যানেল পরিষ্কার রাখুন।

পানির ব্যবহারঃ গরম পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব পানির অপচয় কমানোর চেষ্টা করুন। তাছাড়া ইনস্ট্যান্ট গিজার ব্যবহার করলে প্রয়োজনমতো পানি গরম করুন।

পাওয়ার সাপ্লাই এর সঠিক ব্যবহারঃ যখন দেখবেন বেশি বেশি বিদ্যুৎ যাচ্ছে বা লোডশেডিং হচ্ছে এমন সময় গিজার চালু থেকে বিরত থাকুন। আর পাওয়ার সুইচ ব্যবহার করার পর অফ করতে ভুলবেন না।

বাচ্চা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনঃ ডিজে আর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাচ্চা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করবেন। বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে কখনো একা গির্জার ব্যবহার করতে দিবেন না। বাচ্চারা যখন গিজারে গরম পানি ব্যবহার করবে তখন সব সময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবেন।

পরিবেশবান্ধব ব্যবহারঃ আপনার যদি সোলার গিজার থাকে, তাহলে আপনি এটি ব্যবহার করুন, কারণ এটি পরিবেশবান্ধব এবং খরচ কম হয়।

ছিদ্র পরীক্ষা করুনঃ গিজারের পানি লিক করছে কিনা বা কোন ছিদ্র হয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ছিদ্র বা লিক থাকলে তা দ্রুত ঠিক করুন, যাতে বিদ্যুৎ অপচয় কম হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে।

গিজার বারবার অফ অন থেকে বিরত থাকুনঃ গিজার বারবার আপন করবেন না। একবার চালু করলে যতক্ষণ পানি পুরোপুরি গরম না হয় তখন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি পুরোপুরি গরম হয়ে গেলে গিজার বন্ধ করে দিন। এভাবে গিজার ব্যবহার করলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

ভালো গিজার চেনার উপায়ঃ

আসছে শীতে আপনি ভাবছেন একটি ভালো মানের গিজার কেনার কথা। কিন্তু একটা ভালো মানের কিনতে গেলে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা আপনার জানা নাই। কারণ শুধু গিজার কিনলেই হবে না, গিজারটি যাতে ভালো মানের হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

 কেননা ভালো মানের গিজার হলে বিদ্যুৎ বিল যেমন কম আসবে এবং পানি গরম করতে সময় ও কম লাগবে। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক একটি ভালো মানের গিজার চেনার উপায় সমূহ-

বাজেট নির্ধারণ করাঃ একটি ভালো মানের গিজার কিনতে গেলে আপনাকে আগে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। আপনার বাজেট যদি কম হয় তাহলে আপনি ভালো মানের গিজার কিনতে পারবেন না। এজন্য শুরুতেই আপনাকে বাজে ঠিক করতে হবে।

 আপনি আপনার প্রয়োজনীয় গিজারটি কত টাকার মধ্যে কিনতে চাচ্ছেন সেটি আগে ঠিক করে নিন। এবার সেই বাজেট অনুযায়ী কোন কোন ব্রান্ডের গিজার আছে এবং সেগুলোর ফিচার বিশ্লেষণ করুন।

ব্র্যান্ডের গিজারঃ গিজার কেনার আগে একটা কথাই মাথায় রাখবেন সেটা হল সামান্য টাকা কমবেশি জন্য লোকাল ব্র্যান্ডের ডিজাইন না কিনে একটু বেশি টাকা দিয়ে ব্র্যান্ডের গিজার কেনাই ভালো। গিজার কেউ একদিনের জন্য কিনে না, দীর্ঘদিনের জন্য কেনে, তাই আমার মতে কেনার আগে দেখেশুনে ভাল ব্র্যান্ডের গিজার কেনাই উত্তম।

 আপনি টাকা বাঁচানোর জন্য সামান্য আপনি সামান্য টাকা বাঁচানোর জন্য লোকাল ব্রান্ডের গিজার কিনলেন কিন্তু সেটাতে অনেক ধরনের সমস্যায় দেখা দেয় এবং সেটা হয় ঝুঁকিপূর্ণ। আর এজন্য একটু খরচ বেশি হলেও ভালো ব্র্যান্ডের গিজার কেন ভালো। কেননা ব্রান্ডের গিজারে ওয়ারেন্টি থাকে, যা লোকাল গিজারে থাকে না।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীঃ বাংলাদেশে প্রায় সব গিজারই বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। যেহেতু একটি গিজার বিদ্যুতের সাহায্যে পানি গরম করে থাকে সেহেতু বিদ্যুৎ যাতে বেশি না হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে দেখা যাবে সবকিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও মাস শেষে গুনে গুনে অনেক টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে। এজন্য গিজার কেনার আগে দেখে নিতে হবে গিজারটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা।

ট্যাংকের ক্ষমতা বাছাইঃ আপনি যখন স্টোরেজ ইলেকট্রিক গিজার, গ্যাস বা সোলার গিজার কেনার কথা ভাবছেন, তখন এটাও মাথায় রাখুন তার স্টোরেজ ট্যাংকের ক্ষমতা কত। তবে ট্যাংকের ক্ষমতা নির্ভর করে আপনি কিভাবে গিজার ব্যবহার করছেন তার উপর। আপনি যদি ফ্ল্যাট বাড়ির জন্য গিজার কেনেন তাহলে ইলেকট্রিক গিজারই ভালো হবে। চারজন পরিবারের জন্য ভালো হয় ২৫ লিটার মডেলের গিজার।

গিজারের ডিজাইনঃ গিজার কিনতে গেলে বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের গিজার দেখতে পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ গিজার দুইটি ফর্মে হয় একটি নলাকার বা বর্গক্ষেত্র এবং অপরটি গোলাকার। আর আপনি কোন ডিজাইনের গিজার নিতে যাচ্ছেন সেটি নির্ভর করবে আপনি গিজারটি যেখানে সেট করবেন সেই স্থানের উপর।

তবে আমার মতে, আপনি আপনার বাথরুম আগে মিস্ত্রিকে দেখান। মিস্ত্রি বলে দিবে যে বাথরুমের কোন স্থানে গিজার লাগাতে হবে এবং সেই স্থানের মাপ অনুযায়ী কোন ধরনের গিজার লাগালে ভালো হবে সেটা মিস্ত্রিই বলে দিবে।

সেফটি ফিচারঃ আপনার কেনাগিজারটি ব্যবহারের সাথে সাথে গুরুত্ব দিতে হবে নিরাপত্তার দিকেও। কেনার সময় অটো-কাটঅফ ও সেফটি ভালভ ফিচার দুটি আছে কিনা তা দেখে নিন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গিজারের দামঃ

গিজারের দাম সাধারণত গিজারের ব্রান্ড, মডেল এবং ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্রান্ডের গিজার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের কয়েকটি জনে প্রিয় ব্র্যান্ডের গিজারের দাম সম্পর্কে-

ওয়ালটন (Walton):

WG - W 45L: ৮,৭০৩ টাকা

WG - W 30 L: ৮,০৮৭ টাকা

WG - Crystal 40 L: ১২,১৪৪ টাকা

WWH - WH 35 L: ১১,৫২৮ টাকা

আরএফএল (RFL):

Electric Instant Geyser Swift 1L: ২,৭০০ টাকা

Electric Geyser Glitter 6L: ৬,১৫০ টাকা

Tropica Geyser 67.5L: ৮,৮০০ টাকা

ভিশন (Vision):

Glossy Geyser 90L: ৯,০৫০ টাকা

15 Gallon Geyser 67.5L: ৯,৩৫০ টাকা

অন্যান্য ব্রান্ড:

Havells Monza EC 35L: ২১,০০০ টাকা

Shameem Tropica 67.5L: ৯,৩৫০ টাকা

Ariston Water Heater (আকার ও ফিচার অনুযায়ী)

গিজারের সুবিধাঃ

  • গিজার এর বিভিন্ন প্রকারের সুবিধা রয়েছে বিশেষ করে শীতকালে গরম পানির প্রয়োজন মেটাতে গিজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসল জেনে নেওয়া যাক গিজারের বেশ কিছু সুবিধা-

  • গিজারের সুবিধা হচ্ছে শীতকালে দ্রুত গরম পানি পাওয়া যায়, যা দিয়ে আমরা গোসল, রান্না এবং ঘরোয়া কাজকর্ম করতে পারি।
  • বৈদ্যুতিক এবং গ্যাস চালিত গিজার সহজলভ্য যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন এবং সাশ্রয়ের এর উপর নির্ভর করে।
  • গিজার সাধারণত সুইচ অন করলেই গরম পানি সরবরাহ করতে সক্ষম, তা ব্যবহার করা সহজ হয়।
  • গিজার বিভিন্ন লিটারে পাওয়া যায়। তাই আপনার পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী সাইজ নির্বাচন করতে পারবেন।
  • আধুনিক গিজারগুলোতে অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং অটো অফ ফিচার থাকে, যা দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারে।
  • আধুনিক গিজারগুলো মোবাইল অ্যাপ বা টাচ স্কিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা ব্যবহার আরও সহজ করে।
  • কিছু ইনস্ট্যান্ট গিজার আছে যেগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ায় বিল কম আসে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি খরচ কমায়।

গিজারের অসুবিধাঃ

 গিজারের যেমন সুবিধা আছে তেমনি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে-

  • বৈদ্যুতিক গিজারগুলো বিদ্যুৎ চলে গেলে আর কাজ করে না। আবার গ্যাস চালিত গিজার গ্যাসের সরবরাহ না থাকলে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
  • ওভারহিটিং বা শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি থাকতে পারে যদি নিম্নমানের গিজার ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া গ্যাস চালিত সিজারের ক্ষেত্রে গিজারের ক্ষেত্রে গ্যাস লিকেজের সম্ভাবনা থাকে, যা বিপদজনক হতে পারে।
  • উচ্চ ক্ষমতা বা উন্নত ফিচারসহ গিজারের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। এটি অনেকের জন্য আর্থিকভাবে চার তৈরি করতে পারে।
  • কিছু বড় আকারের গিজার প্রচুর স্থান দখল করে, যা ছোট বাথরুমে স্থাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
  • দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পর গিজারে ময়লা জমে যেতে পারে, যা পরিষ্কার করতে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়।

পরিশেষেঃ

উপরের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি ভালো গিজার চেনার উপায় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গিজারের দাম। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনারা গিজার সম্বন্ধে সবকিছু জানতে পেরেছেন। এবং আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি আপনার জন্য কোন গিজারটি কিনবেন সেটা খুব সহজে চিনতে পারবেন 

 তবে গিজার কেনার আগে অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সস্তা বানানোর গিজার না কিনে একটু বেশি টাকা খরচ করে ভালো মানের গিজার কেনার চেষ্টা করবেন। তাহলে অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। 

যদি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন এবং আপনাদের কোন মতামত থাকলে কমেন্টস করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url