OrdinaryITPostAd

ভিটামিন সি এর অভাবে কোন কোন রোগ হয় এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা জানুন?

ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর নাম কি?আপনারা অনেকেই ভিটামিন সি এর অভাবে ভোগেন। কিন্তু আপনারা বুঝতে পারেন না যে, ভিটামিন সি এর অভাবে কোন রোগ হয়। ভিটামিন সি বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ভিটামিন সি এর অভাবে কোন কোন রোগ হয় এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা জানুন

ভিটামিন সি যে আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী তা বলে শেষ করা যাবেনা। তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি ভিটামিন সি এর অভাবে কোন কোন রোগ হয় এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা সম্পর্কে।

ভূমিকাঃ

আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কারণ ভিটামিন সি তে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন ক্ষত এবং ঘা শুকাতে সহায়তা করে। এমনকি ভিটামিন সি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধও সহায়তা করে।আমাদের শরীরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি-র প্রয়োজন হয়। 


তাই প্রতিদিনই নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি খেতে হয়। যেমন, শিশুদের ৩০-৩৫ মিলিগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্কদের ৪৫ মিলিগ্রাম এবং গর্ভবতী মায়েদের ৫৫ মিলিগ্রাম খেতে হবে। এর চেয়ে বেশি পরিমাণে খেলে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। তাই আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত।

ভিটামিন সি কি?

ভিটামিন সি জলে- দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (Ascorbic Acid)। এটি একটি জৈব অম্ল, যা শাকসবজি, ফল প্রভৃতিতে পাওয়া যায়। ভিটামিন সি মানুষসহ বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

ভিটামিন সি এর অভাব হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায়ঃ

শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে নানা ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কেননা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য একটি অতি অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন সি তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

 তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়া। তবে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। চলুন তবে শরীরে নেই ভিটামিন সি এর ভালো হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়-

মাড়ি ও দাঁতের সমস্যাঃ ভিটামিন সি এর অভাব হলে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন সি এর অভাব হলে দাঁতের গোড়ায় ক্যালসিয়াম জমাট বেঁধে মাড়িকে দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে এমনকি মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

ত্বকের সমস্যাঃ শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। কোন কারনে যদি ত্বকে আঘাত লাগে তাহলে সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কালো দাগ বা বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ভিটামিন সি এর অভাব হলে ত্বকের বাইরের স্তর (এপিডার্মিস) পাতলা ও ফ্যাকাসে হতে পারে।

অস্থি ও পেশির ব্যথাঃ ভিটামিন সি এর ভাবে শরীরের বিভিন্ন হাড়ের গঠনে সমস্যা দেখা দেয়, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়। তাছাড়া দুর্বল হয় ব্যথা অনুভূত হয়।

চুলের সমস্যাঃ ভিটামিন সি এর অভাব চুলের গোড়াকে আলগা করে এবং চুল পাতলা করে তোলে। আপনার যদি কোন অসুখ ছাড়াই ঘনঘন চুল ওঠে তাহলে তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব হয়েছে। কারণ ভিটামিন সি এর ভ অভাব হলে চুলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়ঃ ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে শরীরে ঘন ঘন সংক্রমণ বাসা বাঁধে। শরীরে ঠান্ডা, কাশি ও সর্দির মত রোগ শরীর নিয়মিত লেগেই থাকে।

হঠাৎ মেদ বেড়ে যায়ঃ অনেক সময় অপর্যাপ্ত ভিটামিন সি এর অভাবে হঠাৎ করে শরীরের মেদ বেড়ে যেতে পারে।

ভিটামিন সি এর কাজঃ

ভিটামিন সি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন সি এর বিভিন্ন কাজ নিম্নে দেয়া হলো-

  • ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরের কোষগুলো রক্ষা করে। বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এবং দ্রুত ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।
  • দাঁত ও ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাড়ের গঠনে এর অবদান রয়েছে। দাঁতের পাশাপাশি এটি মাড়িকেও কেউ সুস্থতা প্রদান করে।
  • ভিটামিন সি একটি প্রাকৃতিক যৌগ, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। কেননা এটি শরীরের বাড়তি চর্বি পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়ার উন্নতি করে এইভাবে আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন সি।

ভিটামিন সি এর অভাবে কোন কোন রোগ হয়ঃ

শরীরের সুস্থতা রাখার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় খাদ্য অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া শরীরের সুস্থতার জন্য ভিটামিন সি এর অবদান যথেষ্ট পরিমাণে আছে। কেননা ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে নানা ধরনের রোগ হয়ে থাকে। নিম্নে সেই রোগ গুলো হল-

স্কার্ভিঃ স্কার্ভি হল ভিটামিন সি-র অভাবের সাথে যুক্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোগ। খাদ্যে ভিটামিন সি এর অভাব হলে দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। এছাড়া দুর্বলতা ক্লান্তি ফুসকুড়ি এবং আরও অনেক কিছু হয়। প্রাথমিক উপসর্গ গুলির মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, খিদে কম হওয়া, বিরক্তি এবং জয়েন্টেও ব্যথা হতে পারে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে রক্তস্বল্পতা, মাড়ির প্রদাহ, ত্বকের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে।

রক্তস্বল্পতাঃ আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য উপকারিতা ছাড়াও ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতার মত রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যাবশক। যা শরীরের লোহিত কণিকা কমে যাওয়ার একটি কারণ। এই রোগের উপসর্গ গুলো হল ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি।

ত্বকের রোগঃ ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কোলাজেন উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন একটি প্রোটিন যা ত্বক, চুল ও জয়েন্ট ইত্যাদির মত সংযোজন টিস্যুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মাড়ি থেকে রক্তপাতঃ দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু আপনার দাঁতকেই মজবুত করবে না সাথে মাড়িকেও রক্ষা করবে। আর ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ির রোগ হতে পারে।

কিভাবে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করা যায়ঃ

আপনার শরীরে যদি ভিটামিন সি এর ঘাটতি হয় তাহলে আপনি সেটা বিভিন্ন উপায় পূরণ করতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণের উপায় গুলো-

  • আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। যেমন-লেবু, পেয়ারা, আমলকি, কমলা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি বাঁধাকপি, পালং শাক, ক্যাপসিকাম, টমে, কাঁচামরিচ ইত্যাদি ভিটামিন সি সমস্যা সমৃদ্ধ খাবার। আর এসব খাবার নিয়মিত খেলে আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ হবে।
  • খাদ্যের মাধ্যমে যদি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পূরণ না হয়ে থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
  • ভিটামিন সি তাপ সংবেদনশীল, তাই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রান্নার সময় অতিরিক্ত তাপমাত্রা এড়িয়ে চলুন। পারতো পক্ষে কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ খাবার চেষ্টা করুন, কেননা এসব খাবার বেশি পুষ্টির সংরক্ষণ করে।
  • তাজা লেবুর রস বা ফ্রুট স্মুদি পান করতে পারেন, আমার শরীরে অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে।
  • প্রতিদিন সুষম খাদ্যাভাসের অভ্যাস করুন এবং প্রসেস ফুড বা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যদি ভিটামিন সি এর ঘাটতি অনেক বেশি হয় (যেমন, চামড়ায় ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া, ক্লান্তি বা রক্তক্ষরণ) তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

কোন খাবারে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়?

আপনাদের মনে নিশ্চয়ই আগ্রহ জাগে ভিটামিন সি কোন খাবারে বেশি আছে। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি ভিটামিন সি সবচেয়ে বেশি থাকে সব ধরনের বেল পেপারে যেমন-সবুজ,  হলুদ, লাল ইত্যাদি। 

একটি কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি থাকে বেল পেপারে। একটি উদাহরণে দেখা গেছে যে, যেখানে হলুদ বেল পেপারে ভিটামিন সি আছে ৩৪১ মিলিগ্রাম সেখানে সবুজ বেল পেপারে ভিটামিন সি আছে ৯৫ মিলিগ্রাম।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাবারের তালিকাঃ

ভিটামিন সি মানব শরীরের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ রক্ত চলাচল থেকে শুরু করে শিরা ও ধমনীর কর্মক্ষমতা বজায় রাখা, কোষ গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি সবকিছুতেই ভিটামিন সি এর উপস্থিতি অপরিহার্য। 

আর এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। তবে জেনে নেওয়া যাক যেসব খাবার খেলে শরীরে ভিটামিন সি পাওয়া যায় তার তালিকা সম্পর্কে-

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিনের পরিমাণ:
  • বেলপেপার = ১৮৪ মিলিগ্রাম
  • কমলা = ৪০ মিলিগ্রাম
  • আমলকি = ৪৬৩ মিলিগ্রাম
  • বেদানা = ২৬
  • তরমুজ =২৪ মিলিগ্রাম
  • কাঁচা পেঁপে = ৬২ মিলিগ্রাম
  • পেয়ারা = ২২৮ মিলিগ্রাম
  • স্ট্রবেরি = ৫৯ মিলিগ্রাম
  • কিউই = ৯৩ মিলিগ্রাম
  • জাম্বুরা = ১০৫ মিলিগ্রাম
  • লিচু = ৩১ মিলিগ্রাম
  • পাকা আম = ৪১ মিলিগ্রাম
  • আনারস = ৩৪ মিলিগ্রাম
  • লেবু = ৪৭ মিলিগ্রাম
  • মালটা = ৫৪ মিলিগ্রাম
  • কালোজাম =৬০ মিলিগ্রাম
  • দেউয়া = ৬৬ মিলিগ্রাম
  • জলপাই = ৩৯ মিলিগ্রাম
  • লিচু = ৩১ মিলিগ্রাম
  • বরই = ৫১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাকসবজি এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিনের পরিমাণ:
  • কাঁচা মরিচ = ১২৫ মিলিগ্রাম
  • ধনেপাতা = ১৩৫ মিলিগ্রাম
  • সজনে পাতা = ২২০ মিলিগ্রাম
  • পাকা টমেটো = ২৭ মিলিগ্রাম
  • ফুলকপি = ৭৩ মিলিগ্রাম
  • মিষ্টি কুমড়া = ২৬ মিলিগ্রাম
  • শালগম = ২৫ মিলিগ্রাম
  • সজনে = ৭০ মিলিগ্রাম
  • কাঁচা কলা = ২৩ মিলিগ্রাম
  • পুঁইশাক = ৬৪ মিলিগ্রাম
  • চিচিঙ্গা = ১৯ মিলিগ্রাম
  • লাল শাক = ৪৩ মিলিগ্রাম
  • মুলা শাক = ৬৯ মিলিগ্রাম
  • বাঁধাকপি = ১৬ মিলিগ্রাম
  • পাট শাক = ৫৪ মিলিগ্রাম
  • কচু শাক = ৪৮ মিলিগ্রাম
  • কাঁচা টমেটো = ৩১ মিলিগ্রাম
  • পুদিনা পাতা = ২২ মিলিগ্রাম
  • আলু = ১৯ মিলিগ্রাম
  • মিষ্টি আলু = ৩৫ মিলিগ্রাম
  • ব্রকলি = ৮৯ মিলিগ্রাম

মন্তব্যঃ

উপরের আর্টিকেল পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন ভিটামিন সি এর অভাবে কোন কোন রোগ হয় এবং এসব রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। কিভাবে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দূর করা যায় এবং প্রতিদিন কি পরিমাণে ভিটামিন সি খেতে হয়? তাছাড়া আরও জানতে পেরেছেন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা।

 কিন্তু ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি  গ্রহণ করা যাবে না। কারণ এতে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে যেমন, বমি বমি ভাব বা বমি, ডায়রিয়া, অনিদ্রা, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি। 

তাই আপনাদের ভালোর জন্য অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। পরে আপনারা আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক জানা ও অজানা তথ্য জানতে পেরেছে এবং উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url