অ্যালার্জি কি খেলে ভালো হয় এবং অ্যালার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা জানুন?
কোন কোন ডালে অ্যালার্জি আছে?অ্যালার্জি এমন একটি সমস্যা যা কম-বেশি সবার মধ্যেই রয়েছে। আর
প্রত্যেকের মনে একটা প্রশ্ন জাগে এলার্জি কি খেলে ভালো হয়। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন
জায়গায় সার্চ করেন কিন্তু কথাও সেরকম কোন তথ্য পান না।
অ্যালার্জি একটি অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা
আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি কি খেলে অ্যালার্জি ভালো হয় এবং অ্যালার্জি জাতীয়
খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
ভূমিকাঃ
অ্যালার্জি একটি কমন সমস্যা। ছোট বড় প্রত্যেকেই এই সমস্যায় ভুগে
থাকেন। একেক জনের অ্যালার্জি একেক রকম হয়ে থাকে। এলার্জির আবার বিভিন্ন ধরন
রয়েছে যেমন কারো ঠান্ডায় অ্যালার্জি, কারো ধুলিবালিতে
অ্যালার্জি, কারো আবার খাবারে এলার্জি। কারো ক্ষেত্রে এলার্জি আবার
বংশগতভাবে হয়ে থাকে।
এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে হলে যে জিনিসটা জানতে হবে সেটি হল অ্যালার্জির লক্ষণ
গুলো ভাল ভাবে জানতে হবে। তাছাড়া আরো জানতে হবে কি খেলে অ্যালার্জি ভাল
হয় সে খাবার গুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং অ্যালার্জি হলে কোন কোন খাবার
খাওয়া যাবে না সেটাও জানতে হবে।
অ্যালার্জি কি?
বহিরাগত কোন বস্তুর বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার একটি প্রতিক্রিয়া
হলো অ্যালার্জি। অন্যান্য মানুষের পক্ষে সেই বহিরাগত বস্তুটি কিন্তু ক্ষতিকর
নয়। স্বাস্থ্যবান মানুষের ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জীবাণুর
আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
অ্যালার্জি লক্ষণঃ
অ্যালার্জি লক্ষণ একের জনের কাছে একেক রকমের হয়ে থাকে। তবে অ্যালার্জির কিছু
কমন লক্ষণ আছে যেগুলো সবার মধ্যে দেখা যায়। নিম্নে সেগুলো দেওয়া হলো-
- ত্বকে চুলকানি
- বিভিন্ন র্যাশ
- চাকা চাকা দাগ
- সর্দি
- হাঁচি
- কাশি
- নাক দিয়ে পানি পড়া
- চোখ দিয়ে পানি পড়া
- চোখে চুলকানি
- মাথা ব্যথা
- ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়া বা ফাটা
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি
- গলায় খুসখুস ভাব
- বমি বা বমি বমি ভাব
- পেট ব্যথা
- ডায়রিয়া
- হজমের সমস্যা
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ইত্যাদি।
অ্যালার্জি কি কারনে হয়?
অ্যালার্জি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের একটি অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া প্রতিক্রিয়া,
যা কিছু নির্দিষ্ট উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠায় কারণে হয়। এই উপাদান
গুলোকে অ্যালার্জেন বলা হয়। অ্যালার্জি হওয়ার প্রধান কারণ গুলো হল-
খাবারে অ্যালার্জিঃ কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের এমন কিছু খাদ্য আছে যেমন-
দুধ, ডিম, বাদাম, ইলিশমাছ, সী ফুড, গম, সয়াবিন, চিংড়ি, মিষ্টি কুমড়া, শিম
ইত্যাদি খাবারের সংবেদনশীলতা রয়েছে। এই ধরনের খাবার গ্রহণে তাদের এলার্জি হয়।
যার ফলে তাদের মধ্যে চুলকানি, বমি ভাব বা ফোলা ভাব দেখা দেয়।
ধুলিবালিতে অ্যালার্জিঃ অনেকের আবার ধুলো বা বাড়ির ধূলিকণায় ডাস্ট
মাইটস, ছত্রাক বা পোষা প্রাণীর লোম অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
পরাগ কণাঃ গাছবা ফুলের পরাগকণা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থেকে এলার্জি
সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এটি বেশি দেখা যায়।
প্রাণীজ উপাদানঃ পোষা প্রাণীর লোম বা লালার মাধ্যমে অনেক সময় এলার্জির
উদ্ভব ঘটে। বিশেষ করে বিড়াল বা কুকুরের সাথে বেশি সময় কাটালে এ ধরনের এলার্জি
দেখা দেয়।
কেমিক্যাল বা কসমেটিক্সঃ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল বা কসমেটিক্স যেমন
পারফিউম, ডিটারজেন্ট সাবান বা প্রসাধনীতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ সংবেদনশীল
ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি হতে পারে।
ঔষধপত্রঃ কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ যেমন- পেনিসিলিন বা অন্যান্য
এন্টিবায়োটিকঅ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাছাড়া কিছু কিছু ইনজেকশন
ও ভ্যাকসিনের কারণে অ্যালার্জি হতে পারে।
মানসিক চাপঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে দেয়, যার ফলে
অ্যালার্জি বেড়ে যায়।
জিনগত কারণঃ আপনার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি কারো অ্যালার্জি থাকে
তাহলে উত্তরাধিকারী সূত্রে সেই অ্যালার্জি পাওয়ার সম্ভাবনা আপনার মধ্যে থাকে।
অ্যালার্জি কি খেলে ভালো হয়?
অ্যালার্জি হলে খাদ্যাভাসে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু খাবার আছে যা
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া
কমায়। এলার্জির প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার যেমন- দই,
টক দই ইত্যাদি খেতে হবে, যা শরীরের অন্ত্রকে উন্নত করে এলার্জির প্রতিকার ও
প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ( মাছ, ফল, বাদাম ইত্যাদি), হলুদ
(কারকুমিন যুক্ত), আনারস (ব্রোমালিনযুক্ত) এলার্জির প্রদাহ কমার পাশাপাশি
ইনফ্লামেশন কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
অ্যালার্জি চুলকানি দূর করার উপায়ঃ
অ্যালার্জি থেকে হওয়া চুলকানি খুবই অস্বস্তি হতে পারে আপনার জন্য, তবে কিছু
সহজ পদ্ধতিতে এটি দূর করা বা উপশম করা সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক অ্যালার্জির
চুলকানি কমানোর কিছু কার্যকর উপায়-
- একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করুন,এতে করে ত্বকের অ্যালার্জির চুলকানি ও লালভাব কমবে।
- অ্যালার্জি চুলকানি কমাতে আপনার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল লাগান। কেননা এটি চুলকানি প্রশমিত করে এবং ত্বক ঠান্ডা রাখে।
- ত্বকে যদি সরাসরি লেবুর রস লাগান তাহলে এটি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করবে। তবে কারো ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, তাহলে সে ত্বকে এটি সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
- যাদের ত্বকে চুলকানি খুব বেশি হয় তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি-হিস্টাসিন ট্যাবলেট বা সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন।
- যাদের ত্বকে অ্যালার্জি চুলকানি আছে তারা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এটি ব্যবহারে ত্বকে ঠান্ডা অনুভূতি দেয় এবং চুলকানি কমায়।
অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
অ্যালার্জি দূর করার অনেক ঘরোয়া উপায় বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। আর এই
ঘরোয়া উপায়গুলো মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এলার্জি দূর করতে খুবই কার্যকর হতে
পারে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ
সম্পর্কে-
তিতা জাতীয় খাবারঃ আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তিতা জাতীয় খাবার
রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন করলা ও নিম
পাতা ভাজা। সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, যা ত্বকে বিভিন্ন
ধরনের সংক্রমণসহ এলার্জি প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ঠান্ডা এড়িয়ে চলাঃ যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা এ সমস্যা থেকে
বাঁচতে শীতকালে ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটবেন না। তাছাড়া গরম কালে মেঝেতে
শোবেন না। আর যারা কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন তারা গোসলে বেশি সময়
নেবেন না।
ট্রি-ট্রি ওয়েলঃ ত্বকের অ্যালার্জিতে ট্রি-ট্রি ওয়েল দারুন কাজ করে।
এতে অ্যান্ট্রিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি- ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা
ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়।
অ্যালোভেরা জেলঃ ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা এবং
কার্যকর উপায় হল অ্যালোভেরা জেল। এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং অ্যালার্জি থেকে
মুক্তি দেয়।
হলুদঃ ভেষজ উপাদান হলুদ দারুন কাজ করে অ্যালার্জির সমস্যায়। গরম ভাতে
তাই হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এটি অ্যালার্জির সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করবে।
বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যহীনতাকে মোকাবিলা করতে
পারে এবং আপনার ত্বকের অ্যালার্জি প্রশমিত করতে প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অ্যালার্জি কমাতে এটি
সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে
নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন। তাছাড়া বাইরে বের হওয়ার
সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। তাহলে ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাবেন।
অ্যালার্জি কি ছোয়াচে রোগ?
জি, অ্যালার্জি একটি ছোঁয়াচে রোগ। আপনার বাড়িতে যদি একজন সদস্য এ রোগে
আক্রান্ত হয় তাহলে বাকি সদস্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া যারা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কম থাকে, তাদের এ রোগ বেশি হয়।
অ্যালার্জি জাতীয় খাবারের তালিকাঃ
এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে এমন খাবারের তালিকা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে।
তবে সাধারণত যে সব খাবার বেশি মানুষে এলার্জি অনুভব করেন সেগুলো নিম্নে দেওয়া
হলঃ
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারঃ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন-গরুর দুধ, পনির, মাখন,
দই ইত্যাদি ইত্যাদিতে বেশিরভাগ মানুষের এলার্জি অনুভূত হয়। বিশেষ করে শিশুদের
মধ্যে দুধ- সংক্রান্ত অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়।
ডিমঃডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকার কারণে বেশি এলার্জি হতে পারে। আর এই
ডিম -সংক্রান্ত এলার্জিও শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।
গমঃ বেশিরভাগ মানুষই গ্লুটেন সংবেদনশীলতাকে অ্যালার্জি ভেবে ভুল করে।
প্রথমটি গমের নির্দিষ্ট প্রোটিনের কারণে ঘটে। যে কোন খাবারে পাওয়া গ্লুটেনের
কারণে সিরিয়াক নামক রোগ দেখা দিতে পারে। আর যদি আপনার গমের কারণে অ্যালার্জি
দেখা দেয় তাহলে আপনি আপনার খাবারের তালিকা থেকে গম বাদ দিন।
চিনা বাদামঃ আরেকটি অ্যালার্জি জনিত খাবার হলো চিনা বাদাম। যা মারাত্মক
প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনের আসল কারণ এখনো
জানা যায়নি। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনা বাদামের অ্যালার্জি বংশগত হতে
পারে।
লেবুঃ লেবু হল অন্যতম সাইট্রাস জাতীয় ফল যা অ্যালার্জির ক্ষেত্রে দারুন
কাজ করে থাকে। পানি এবং মধুর সাথে লেবুর রস মিশালে দারুন এক ডিটক্সিফাইং পানীয়
তৈরি হয়ে যায়। নিয়মিত এই পানীয় পান করলে শরীরের টক্সিক পদার্থগুলো বের হয়ে
যেতে সাহায্য করবে এবং অ্যালার্জির সমস্যা কমে আসবে।
ভিটামিন সি এবং কমলা জাতীয় ফলঃ অনেক সময় পাকস্থলীতে খুব বেশি পরিমাণে
প্রোটিনের আধিক্য হলেও অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে থাকে। সে ক্ষেত্রে
এসির জাতীয় খাদ্য অর্থাৎ ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
ফল ও সবজিঃ বেশ কিছু ফল ও সবজি আছে যেগুলো থেকে অনেকের এঅ্যালার্জি হয়
থাকে। যেমন-বেগুন, গাজর, টমেটো, পিচ, কলা ইত্যাদি থেকে অনেকেই এলার্জি সমস্যা
ভোগেন।
মাছঃ অনেকের কোন এক বিশেষ প্রকার মাছে অ্যালার্জি থাকে, আবার অনেকের
স্যালমন, টুনা, ম্যাকরলে জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খেলে অ্যালার্জি হয়।
পরিশেষেঃ
উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি অ্যালার্জির লক্ষণসমূহ এবং কি খেলে
এলার্জি ভাল হয় সে সম্পর্কে। আরো আপনাদেরকে জানিয়েছি অ্যালার্জি জাতীয় খাবার
সম্পর্কে। তাছাড়া আগে আপনি খুঁজে বের করুন আপনার কোন খাবারে অ্যালার্জি হয়,
তারপর সেই খাবার আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন।
অ্যালার্জি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় দিয়েছে আশা করি এগুলো প্রয়োগ
করলে অ্যালার্জি থেকে আপনারা খুব তাড়াতাড়ি রেহাই পাবেন। আজকে আর্টিকেলটি
যদি আপনাদের কাছে তথ্যবহুল ও উপকারী মনে হয় থাকে তাহলে আপনাদের সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন। আর এরকম নতুন নতুন টপিক পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে
চোখ রাখবেন।
সাফান বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url